সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
সত্যিই কি এই কারণ? শুরু হয় জল্পনা। কিন্তু সেই জল্পনাকেই সত্য প্রমাণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মকর সংক্রান্তিতে সাগরে স্নান করে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘সকলে মিলে প্রার্থনা করুন মা গঙ্গার কাছে, দ্রুত এরাজ্যে রামের সরকার হোক, হিন্দু সরকার হোক। তবেই গঙ্গাসাগর মেলা জাতীয় মেলার স্বীকৃতি পাবে।’
আর এই নিয়েই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এই বিষয়ে সুকান্তবাবুকে পাল্টা আক্রমণ করেছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তাঁর বক্তব্য, বিজেপি দিবা স্বপ্ন দেখছে। আগামী একশো বছরেও তারা এরাজ্যে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। সাধারণ মানুষই গঙ্গাসাগরকে জাতীয় মেলা হিসেবে ঘোষণা করেছে। ফলে, কেন্দ্রীয় সরকার সরকারিভাবে এই ঘোষণা না-করলেও কিছু যায় আসে না।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন আগামী বছরের গোড়ায়। তার আগে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই কি বিজেপির রাজ্য সভাপতি এমন মন্তব্য করলেন? নানা প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও। তবে এখানেই থামেননি সুকান্তবাবু। মুড়িগঙ্গার উপর সেতু তৈরির অর্থ সাহায্য ইস্যুতেও রাজ্যের ঘাড়ে দায় চাপিয়েছেন তিনি। সুকান্তবাবুর বক্তব্য, রাজ্য সরকার এই ব্যাপারে নিয়মমাফিক কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেনি। তারা উপযুক্ত কাগজপত্র দেখাতে পারলে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সঙ্গে তিনিই যোগাযোগ করিয়ে দেবেন বলে দাবি করেছেন। এনিয়েও কটাক্ষ করেছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সুকান্ত মজুমদার নিতান্তই একজন ‘জুনিয়র’ মন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর পিএমও দপ্তরই চিঠি লিখেছে। তার খবর উনি বোধহয় পান না। তাই এসব কথা বলছেন।’
মকর সংক্রান্তির পুণ্যলাভ করতে এসে যথারীতি রাজনৈতিক তরজাতেই ডুব দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এদিকে, এদিন মেলায় আসা এক তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি জানান, মৃত রামপ্রসাদ নন্দ গিরি উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা।