Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অজানা ভবিষ্যৎ
সমৃদ্ধ দত্ত

অপেক্ষা থাকে কবে প্রোমোটার ফ্ল্যাটের পজেশন দেবে। প্রতি মাসের অন্তে সামান্য হলেও অপেক্ষায় মন উচাটন থাকে কখন হবে স্যালারি ট্র্যান্সফার, আসবে মেসেজ। অপেক্ষা থাকে মেয়েকে গত রবিবার দেখে যাওয়া পাত্রপক্ষের ফোনের। অপেক্ষা করি ছেলেমেয়ের রেজাল্টের। অপেক্ষায় দিন গুনি কবে হবে ডিএ কিংবা পে কমিশন। আর কতদিন পুজোর? অপেক্ষা। একটা আই ফোন কিনব কবে? অপেক্ষা। আমার প্রিয় দল কবে বসবে ক্ষমতায়? অপেক্ষা করি। এসব নয়। রামশংকর সিং-এর প্রিয় অপেক্ষার নাম লাঞ্চ ব্রেক এবং টি ব্রেক। অপেক্ষা থাকে তাঁর কখন একটু বসবেন! রামশংকর সিং অপেক্ষা করেন বসার। দিল্লি লাগোয়া উত্তরপ্রদেশের এক উজ্জ্বল জনপদ বৈশালীর একটি ঝকঝকে শপিং মলে ভারতবিখ্যাত ব্র্যাণ্ড ক্লোদিং আউটলেটের পুরুষদের ট্রায়াল রুমের বাইরে ডিউটি রামশংকর সিং-এর। পরপর চারটি কাঠে ঘেরা ট্রায়াল রুম। ঠিক মুখেই তিনি দাঁড়িয়ে থাকেন। কোন কোন পোশাক নিয়ে সম্ভাব্য ক্রেতারা ঢুকছে এবং বেরচ্ছে সেদিকে খেয়াল রাখা এবং তাঁদের পছন্দ বা ফিট না হওয়া হেলাফেলায় একটা টেবিলে রেখে যাওয়া পোশাকগুলি নিয়ে আবার স্টোর সুপারভাইজারকে দেওয়া। সকাল ১০ টা থেকে রাত ১০ টা। ডিউটি। একটাই শর্ত। বসা যাবে না।
উত্তরপ্রদেশের খুর্জার এক গ্রাম থেকে শহরে চলে আসা ৫৩ বছরের রামশংকর সিং নিচুগলায় বললেন, মেরুদণ্ডে একটা গোলমতো কি যেন হয়েছে। খুব ব্যথা করে। রাতে ফিরে ঘুমাতে পারি না যন্ত্রণায়। ডাক্তার কিছু পরীক্ষা দিয়েছেন। আর বলেছেন, দাঁড়ানো বন্ধ করতে হবে। ম্লান হেসে রামশংকর সিং বলেছিলেন, কোনওটাই তো হল না। কেন? জানা গেল আটমাস আগে এই স্টোর চারজন সিকিউরিটি গার্ডকে সরিয়ে দিয়েছে। আর তার পরিবর্তে রামশংকর সিং-এর মতো কয়েকজনের আর ছুটি নেই। সপ্তাহে সাতদিনই ডিউটি। তাই মেরুদণ্ডের পরীক্ষা করবেন কখন। সাতদিন ১২ ঘণ্টা একমাস। ১২ হাজার টাকা। রামশংকর সিং-এর তাই একটাই অপেক্ষা লাঞ্চ ব্রেক। ৩০ মিনিটের। খাওয়ার অপেক্ষা? না। বসার। টি ব্রেক। ১৫ মিনিট।
একটু বসার অপেক্ষা। ১২ ঘণ্টার মধ্যে ১১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকা যায় বলুন? অন্য কোথাও যাচ্ছেন না কেন? রামশংকর সিং সিসিটিভির দিকে ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে দৃষ্টি নামিয়ে বললেন, সব ছাঁটাই হচ্ছে জানেন তো। সর্বত্র। ছেলে রয়পুরে কনস্ট্রাকশনের কাজ করত। কিন্তু সে তো সেই নোটবন্দির পর থেকে আর কাজ নেই তেমন। তাই ছেলে গ্রামে ফিরে কোনওমতে চাষ করে। গ্রামে কাজ নেই। এই চাকরিটা দরকার বড়। তাই মেরুদণ্ডের ব্যথার কথাও বলিনি। রামশংকর সিং-এর প্রিয় মুদ্রাদোষ ঘনঘন ঘড়ির দিকে তাকানো। কখন দুপুর দুটো বাজবে। লাঞ্চ। একটু বসবেন। ওই যে অপেক্ষা করছেন ভারতের রামশংকর সিংরা। সামান্য চাহিদা নিয়ে। বসার।
মুম্বইয়ের মাহিমে ৪০০ স্কোয়ার ফিট ঘরে ৩৫ জন জরিশিল্পীর মধ্যে সারাদিন খুব বন্ধুত্ব। সন্ধ্যার পর সেই বন্ধুত্বে ফাটল ধরে। তখন প্রতিযোগী পরস্পরের। কে আগে রাতের খাওয়া সেরে আসতে পারবে। আর এসেই শুয়ে পড়বে কয়েকটি বিশেষ জায়গায়। ৪০০ স্কোয়ার ফুট ঘরে তিনটি ফ্যান। ৩৫ জনের প্রত্যেকেই চায় ফ্যানের নীচে শুতে। আর তা নিয়েই বাদানুবাদ, তর্কাতর্কি আর মতান্তর।
একটা রুটিন করে দিয়েছেন মালিক। সোম থেকে রবি। প্রত্যেকের নামের তালিকা করা হয়েছে যে কে কবে ফ্যানের নীচে। রোটেশন করে। যেখানে ১২ ঘণ্টা ধরে শাড়িতে মেটালিক থ্রেড, প্লাস্টিকের ফুল, পাতা লাগাতে হয় ছোট ছোট নিডল দিয়ে। মুম্বইয়ের জরি শিল্পের নিয়ম হল ১২ ঘণ্টার মধ্যে প্রথম ৬ ঘণ্টার জন্য জরিশিল্পীরা পায় ২২৫ টাকা। পরবর্তী ৪ ঘণ্টার জন্য ২২৫ টাকা। আর একেবারে শেষে ২ ঘণ্টার জন্য ১০০ টাকা। একে বলে নাফরি। মাসে ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা আয়। নিজেদের খরচ চালাতে ব্যয় হয় ৪ হাজার টাকা। বাকি টাকা আসে বিহারে, ঝাড়খণ্ডে, পশ্চিমবঙ্গে, উত্তরপ্রদেশে, দিল্লিতে। অর্থাৎ পরিবারের কাছে ৪৫০ টাকা নেওয়া সয় ১২ টা মিলের জন্য।
গত সাড়ে তিন বছরে এই মজুরি বহু ওয়ার্কশপে এক পয়সাও বাড়েনি। আর অন্যদিকে নাফরি কমে যাচ্ছে। কারণ অর্ডার নেই। জিএসটির কারণে সুরাত, দিল্লি, দেরাদুন, হায়দরাবাদ, আমেদাবাদ, কেরল, ভোপাল, বিলাসপুর সর্বত্র বাজার মন্দা হওয়ায় মুম্বইয়ের প্রতিটি ওয়ার্কশপে কমে যাচ্ছে অর্ডার। আর তাই এখন আর একজনকে ১২ ঘণ্টা ডিউটি দেওয়া যাচ্ছে না। হয়তো ৬ ঘণ্টা ডিউটি পাচ্ছে। অন্য কেউ পাচ্ছে বাকি ৬ ঘণ্টা। এক ধাক্কায় আয় কমেছে। কিন্তু জানা যাচ্ছে বিহার আর উত্তরপ্রদেশের কয়েকটি জেলা থেকে যাওয়া কর্মীরা উভয়সঙ্কটে। কারণ আয় অর্ধেক হয়ে গেলেও তাঁরা নিজেদের গ্রামে ফিরেও আসতে পারছেন না। কারণ গ্রামে ১০০ দিনের কাজ করলেও নাকি সেই টাকা পাওয়া যাচ্ছে না।
সীতাপুর জেলায় গ্রামের পর গ্রামে গ্রামবাসীর কাছে ফোন এসেছিল এখনই আধার নম্বর মোবাইলে লিংক করো, তা না হলে সিম বন্ধ হয়ে যাবে। দেডোরিয়া গ্রামের প্রমোদ কুমার গ্রাম থেকে চার কিলোমিটার দূরে মোবাইল শপে সেকথা বললে, দোকানি একটা কালো মেশিনে প্রমোদ কুমারের আঙুল রাখতে বলে দুবার পুশ করেন এবং বলেন যাও, হয়ে গেল। প্রমোদকুমার ফিরে এলেন। চারমাস ধরে তিনটে পুকুর কাটার কাজ করেছেন। মোট প্রাপ্তি ৪২০০ টাকা। ব্যাঙ্কে সেই টাকা আর আসে না। ৬০ টাকা খরচ করে টেম্পোতে চেপে যেতে হয়েছিল শহরের দপ্তরে। সেখানে কম্পিউটার দেখে বলা হল তোমার টাকা তো ব্যাঙ্ক ট্র্যান্সফার হয়েছে। এই তো দেখাচ্ছে! প্রমোদকুমার মহা বিপদে পড়লেন।
টাকা কোথায় গেল? একের পর এক গ্রামবাসীর টাকা উধাও। তারা সকলে মিলে সেই অফিসে আবার গেলেন। তারা এবার ভালো করে কম্পিউটার চেক করে বললেন, তোমাদের আগে যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল সেটা তো চেঞ্জ হয়েছে। এখানে নতুন এক অ্যাকাউন্ট দেখাচ্ছে। ওখানেই গেছে টাকা। প্রমোদকুমাররা জানেই না কোথায় নতুন অ্যাকাউন্ট! এক সহৃদয় ব্যাঙ্ককর্মী আবিষ্কার করলেন মোবাইল সার্ভিস প্রভাইডার কোম্পানি পেমেন্ট ব্যাঙ্ক চালু করেছে। ওই যে ফোনে আধার নম্বর চাওয়া হল এবং প্রমোদকুমাররা গিয়ে লিংক করিয়ে এলেন, আসলে ওই আধার নম্বরের মাধ্যমে তাঁদের অজ্ঞাতেই তাঁদের নামে পেমেন্ট ব্যাঙ্ক ‌অ্যাকাউন্ট চালু হয়ে গিয়ে সেই অ্যাকাউন্টই শো করতে শুরু করেছে সরকারি দপ্তরে। আর সব টাকা সেখানে যাচ্ছে।
কিন্তু সেই ব্যাঙ্কের তো কোনও অবয়ব নেই। সবটাই অনলাইন। সেই মোবাইল কোম্পানির আউটলেটে গেলে তারা বলল,এখন ২১০০ টাকা দেওয়া যাবে। বাকি টাকা একমাস পর। প্রমোদকুমার তাই নিলেন। এবং একমাস পর গিয়ে তাঁকে দেওয়া হল ২০৫০ টাকা। ৫০ টাকা তখনও রয়ে গেল। গ্রাম থেকে প্রত্যেকবার এখানে আসতে তাঁর খরচ ৬০ থেকে ৭০ টাকা। খাওয়া আলাদা। সারাদিনের ধাক্কা। আর পরের মাসে যখন আনতে গিয়েছিলেন তখন তাঁকে বলা হল ওই ৫০ টাকা তো তোলা যাবে না! কেন? কারণ ১০০ টাকার কমে টাকা উইথড্র হয় না। সুতরাং ওই ৫০ টাকা পেতে প্রমোদকুমারদের আবার ১০০ দিনের কাজ করতে হবে। সেই টাকা আবার জমা পড়তে হবে। কবে পাওয়া যাবে ঠিক নেই। সীতাপুর জেলার বহু গ্রামেব বাসিন্দারা তাই ১০০ দিনের কাজে আর অ্যাপ্লাই করছে না। কারণ টাকা পাওয়ার ঠিক নেই।
সাধারণত এইসব গ্রামের মানুষের একাংশ চলে যান মুম্বইয়ে কাজের খোঁজে। যেমন জরিশিল্প। অথবা দিল্লি নয়ডা গুরুগ্রাম। কনস্ট্রাকশন সাইটে। আর অন্যরা গ্রামেই কৃষি বা ১০০ দিনের কাজে থেকে যান। এখন উভয় সঙ্কট। গ্রামে ১০০ দিনের কাজে টাকার নিশ্চয়তা নেই। কৃষিতে লাভ নেই। আবার শহরের রিয়াল এস্টেট স্তব্ধ। মুম্বইয়ের জরি শিল্প সঙ্কটে। সুরাতের টেক্সটাইল মিলে কাজ নেই। গোটা দেশের সমান্তরাল ইকনমি আসলে চালায় মাইগ্রেটেড লেবাররা। ওড়িশা দলে দলে যায় গুজরাত। বাংলা যায় গোটা দেশেই। আজও ভদোদরা গেলে দেখা যাবে সেখানে গণেশ চতুর্থীর প্রতিমা নির্মাণের কারিগর হিসাবে সবথেকে বড় চাহিদা যাঁকে ঘিরে, তাঁর নাম তপন মণ্ডল। আর সবথেকে বড় ধাক্কা এই আর্থিক মন্দায় খেয়েছে এই মাইগ্রেটেড লেবাররাই।
এই কাহিনীগুলি উল্লেখের কারণ হল জিডিপি বৃদ্ধির হার বিগত ৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হয়ে কত পার্সেন্ট হল অথবা ম্যানুফাকচারিং রেট ১ শতাংশের নীচে নেমে গেল এগুলো অবশ্যই সাংঘাতিক উদ্বেগজনক। কিন্তু নেহাত এসব দিয়ে অর্থনীতির সঙ্কট যে কতটা গভীরে তা বোঝা যাবে না। আর্থিক মন্দার অন্যতম প্রধান কারণ একদিকে গ্রামীণ অর্থনীতি প্রায় ডুবে যাচ্ছে ভারতে, আবার অন্যদিকে শহরাঞ্চলে কাজের সুযোগ কমছে। আর এই দুটির জন্যই দায়ী দুটি অবিমৃশ্যকারী সিদ্ধান্ত। নোটবাতিল এবং সম্পূর্ণ অপরিকল্পিত জিএসটি। ২০১৮ সালে তামিলনাড়ু সরকার বিধানসভায় বিবৃতি দিয়ে বলেছে ওই রাজ্যে নোটবাতিলের ফলে ৫০ হাজার ক্ষুদ্র শিল্প বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সাড়ে ৬ লক্ষ মানুষ কর্মহীন হয়েছেন।
তাহলে গোটা দেশের চিত্রটা কেমন? নোটবাতিল আর জিএসটি সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল এই প্রচারে অনড় থেকে কেন্দ্রীয় সরকার এই দুটির যে কোনও বিরুদ্ধমতকেই অসত্য বলে পাল্টা আক্রমণ করে এসেছে বরাবর। কিন্তু তাহলে এখন কেন দফায় দফায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে শুধুই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য হাজারো আর্থিক প্যাকেজ দিতে হচ্ছে? কেনই বা জিএসটির রেট বারংবার পরিবর্তন করে,পূর্বঘোষিত তাবৎ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হচ্ছে? সুতরাং সরকারও পরোক্ষে স্বীকার করছে ওই সিদ্ধান্তগুলি ভুল ছিল। ডঃ মনমোহন সিং অথবা নরেন্দ্র মোদি—কোনও প্রধানমন্ত্রীই তো কখনও চাইবেন না যে দেশের অর্থনীতির সর্বনাশ হোক! তিনি তো চাইবেন যাতে অর্থনীতির উন্নতি হয়, কর্মসংস্থান বেড়ে যায়। যাতে তিনি মানুষের সমর্থন পান। আবার ভোটে জেতেন। এটা তো স্বাভাবিক।
তাহলে তাঁরা কারা, যাঁরা এসব সিদ্ধান্ত প্রয়োগ করতে বলেছিল মোদি সরকারকে? তাঁরা কী উপকার করেছে এই সরকারের? নাকি ভুল সিদ্ধান্ত দিয়ে শুধু দেশকে নয়, সরকারকেও বিপাকে ফেলেছে। তাঁদেরও কিন্তু চিহ্নিত করা দরকার। তাঁদের কী উদ্দেশ্য ছিল? এসবকে ছাপিয়ে যে প্রশ্নটা আরও বড় আকারে সামনে আসছে সেটি হল তাহলে এরপর কী? দুনিয়া জুড়ে অর্থনীতির সঙ্কট চলছে অনেকদিন হল। আমেরিকা, রাশিয়াতেও আর্থিক মন্দা। কিন্তু তাদের সুবিধা আছে। অস্ত্রবিক্রির ব্যবসা। অসংখ্য কর্পোরেট। আর তেল। এই তিনটি কর্পোরেশন ওই দুই দেশকে বাঁচিয়ে দেয়। যখনই আর্থিক মন্দা আসে তখনই এশিয়ার বিভিন্ন দেশে অস্থিরতা তৈরি হয়। আর আমেরিকা রাশিয়াদের অস্ত্রবিক্রির চুক্তি বেড়ে যায়। ব্যালান্স হয়ে যায় তাদের। কিন্তু ভারত কী করবে?
লক্ষ করা যাচ্ছে সবরকম প্যাকেজ, সবরকম উদার অর্থনীতির সুযোগ ঘোষণা করা সত্ত্বেও অর্থনীতির বেহাল দশা থেকে মুক্তি পাওয়া যাচ্ছে না। কর্মীছাঁটাই হয়ে চলেছে, ক্রয়ক্ষমতা কমার ফলে পণ্য বিক্রি কমছে। মুদ্রার নিম্নমুখী প্রবণতা বিপজ্জনক। এ থেকে একটি প্রশ্ন বিশ্বজুড়ে তৈরি হচ্ছে। তাহলে কি অবশেষে ক্যাপিটালিজমের পথ এখানেই শেষ? নতুন কিছু উদ্ভাবনের আর ক্ষমতা নেই পুঁজিবাদের? প্রমাণিত হচ্ছে ক্যাপিটালিজম ব্যর্থ? সমাজতন্ত্রের পরীক্ষা তো আগেই ব্যর্থ। ক্যাপিটালিজম ব্যর্থ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা যাচ্ছে ডেমোক্রেসিও ক্রমেই কমছে। বাড়ছে ধনীদরিদ্র বৈষম্য। তাহলে কোনদিকে যাচ্ছে নতুন পৃথিবী? এরপর কী?
06th  September, 2019
রাষ্ট্রহীনতার যন্ত্রণা
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভিক্টর নাভরস্কি নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের লাইনে দাঁড়িয়ে আবিষ্কার করলেন, তিনি আচমকাই ‘রাষ্ট্রহীন’ হয়ে পড়েছেন। কারণ, তাঁর দেশ ক্রাকোজিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলির কাছে মানবিকতার নিরিখে ক্রাকোজিয়ার আর কোনও ‘অস্তিত্ব’ নেই।
বিশদ

10th  September, 2019
জাতির গঠনে জাতীয় শিক্ষানীতি
গৌরী বন্দ্যোপাধ্যায়

 অভিধান অনুসরণ করে বলা যায়, পঠন-পাঠন ক্রিয়াসহ বিভিন্ন অভিজ্ঞতালব্ধ মূল্যবোধের বিকাশ ঘটানোর প্রক্রিয়াই শিক্ষা। জ্ঞানকে বলা হচ্ছে অভিজ্ঞতালব্ধ প্রতীতি। শিক্ষা দ্বারা অর্জিত বিশেষ জ্ঞানকে আমরা বিদ্যা বলি। কালের কষ্টিপাথরে যাচাই করে মানুষ আবহমান কাল ধরে নিজ অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানরাশিকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য পুস্তকের মধ্যে লিখে সঞ্চিত করে গেছে।
বিশদ

09th  September, 2019
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের শতবর্ষে ভারত প্রান্তিক রাষ্ট্র থেকে প্রথম দশে, লক্ষ্য শীর্ষস্থান
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তির মুখে উড্রো উইলসন সমেত বিশ্বের তাবড় নেতারা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে শঙ্কিত হয়ে পড়েন। যুদ্ধের রাহুর গ্রাস থেকে এই সুন্দর পৃথিবীকে কীভাবে রক্ষা করা যায় তা নিয়ে তাঁরা চিন্তিত ছিলেন। উইলসন বুঝতে পেরেছিলেন মানুষের মগজে রয়েছে যুদ্ধের অভিলাষ। যুদ্ধভাবনা মুছে ফেলে শান্তিভাবনা প্রতিষ্ঠা করা দরকার।
বিশদ

09th  September, 2019
পুজোর মুখে বিপর্যয়: ঘরে বাইরে

 দুর্ঘটনা বিপর্যয় তো আর জানান দিয়ে আসে না! নেপালের ভূমিকম্প কি আমাদের আয়েলার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কত মানুষ ঘর-সংসার সব হারিয়ে রাতারাতি সর্বস্বান্ত হয়েছেন, কত সংসার উজাড় হয়ে গেছে—শত চেষ্টাতেও সেই ক্ষত পুরোটা পূরণ করা গিয়েছে কি? যায়নি। এই বউবাজারে রশিদ জমানার সেই ভয়ানক বিস্ফোরণের পর কত লোকের কত সর্বনাশ হয়েছিল—কজন তার বিহিত পেয়েছিলেন? মেট্রো রেলের সুড়ঙ্গ কাটতে গিয়ে সেপ্টেম্বরের শুরুতে বউবাজারে বাড়ি ধসে যে ক্ষতি বাসিন্দাদের হল তাতে তাই ‘অপূরণীয় ক্ষতি’ বললে কিছুমাত্র ভুল হয় না। বিশদ

08th  September, 2019
বন্ধ হোক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পঞ্চায়েত দখল
তন্ময় মল্লিক

পঞ্চায়েত কারও চোখে স্থানীয় সরকার, কারও চোখে উন্নয়নের হাতিয়ার, কারও চোখে চোর তৈরির কারখানা। পঞ্চায়েত সম্পর্কে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন হলেও একটা ব্যাপারে প্রায় সকলেই এক মত, পঞ্চায়েত আসলে মধুভাণ্ড। এই মধুভাণ্ডের নাগাল পাওয়া নিয়েই যত মারামারি, বোমাবাজি, খুনোখুনি। এই পঞ্চায়েতই নাকি এবার পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা ভোটে ওলট-পালটের নাটের গুরু।
বিশদ

07th  September, 2019
নিজেকে জিজ্ঞেস করো, দেশের জন্য কী করতে পার
মৃণালকান্তি দাস

হোয়াইট হাউস-এর  পবিত্রতা নষ্ট করার দুর্নাম জুটেছিল কি না বেচারি বিল ক্লিন্টনের!‌ তখনও নাকি মার্কিন আম জনতা মুখ বেঁকিয়ে বলেছিল,  কোথায় মেরিলিন মনরো,  আর কোথায় মনিকা লিউইনস্কি!‌ তবে, মনরো–কেনেডির এই প্রেম রীতিমত ঢাক–ঢোল পিটিয়ে উদ্‌যাপিত হয়েছে মার্কিন গণজীবনে। ১৯ মে ১৯৬২। কেনেডির আসল জন্মদিনের ১০ দিন আগেই উৎসব হয়েছিল নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কোয়্যার গার্ডেনে। ১৫ হাজার অতিথির তালিকায় তাবড় রাজনীতিক ও হলিউড সেলেবদের ছড়াছড়ি। বিরাট কনসার্টে মারিয়া কালাস,  এলা ফিটজেরাল্ড-এর মতো ডাকসাইটে শিল্পীদের পাশাপাশি মেরিলিন মনরো!‌ ইতিহাস হয়ে গিয়েছে সেই সন্ধ্যায় মনরোর গাওয়া  ‘হ্যাপি বার্থডে টু ইউ মিস্টার প্রেসিডেন্ট’।  
বিশদ

06th  September, 2019
মানুষই কি মানুষের পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে দাঁড়াচ্ছে!
মেরুনীল দাশগুপ্ত

শেষের সেদিন কি আর খুব দূরে নয়? সাম্প্রতিককালে বিশ্বজুড়ে প্রকৃতির নজিরবিহীন খামখেয়াল, মানুষের লোভের আগুনে সবুজের নির্বিচার মৃত্যু এবং বহু বহু বছর ধরে সীমাহীন অপচয়ের ফলে ফুরিয়ে আসা পানীয় জলের ভাঁড়ার আমাদের মনে আজ এই ভয়ঙ্কর প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
বিশদ

05th  September, 2019
ব্যবহার একবার, দূষণ লাগাতার 
রঞ্জন সেন

সিঙ্গল-ইউজ-প্লাস্টিক (এসইউপি) বা একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক এখন দেশের পরিবেশের সামনে সবচেয়ে বড় বিপদ। খোদ প্রধানমন্ত্রীকে এর বিরুদ্ধে লালকেল্লা থেকে লড়াইয়ের ডাক দিতে হচ্ছে। নানা সতর্কতা ও নিষেধাজ্ঞা সত্বেও এই প্লাস্টিককে কিছুতেই কব্জা করা যাচ্ছে না।  
বিশদ

03rd  September, 2019
মুছে যাচ্ছে বাঙালির ব্যাঙ্ক-ব্যবসার উজ্জ্বল স্মৃতি
হারাধন চৌধুরী

গত অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০১৯) আয়কর জমার নিরিখে সেরাদের একটি তালিকা তৈরি করেছে আয়কর দপ্তর। তাতে বাংলার মাত্র চারজনের নাম রয়েছে। বলা বাহুল্য যে, তাঁদের কেউই বাঙালি নন। 
বিশদ

03rd  September, 2019
ব্যবহার একবার, দূষণ লাগাতার 

রঞ্জন সেন: ঙ্গল-ইউজ-প্লাস্টিক (এসইউপি) বা একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক এখন দেশের পরিবেশের সামনে সবচেয়ে বড় বিপদ। খোদ প্রধানমন্ত্রীকে এর বিরুদ্ধে লালকেল্লা থেকে লড়াইয়ের ডাক দিতে হচ্ছে। নানা সতর্কতা ও নিষেধাজ্ঞা সত্বেও এই প্লাস্টিককে কিছুতেই কব্জা করা যাচ্ছে না।  বিশদ

02nd  September, 2019
নীতির অভাবে ডুবছে দেশের অর্থনীতি 

সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়: খুব কঠিন একটা পরিস্থিতির মুখে পড়েছে ভারতের অর্থনীতি। গত এক বছরের মধ্যে আর্থিক বৃদ্ধির হার কমেছে ৩ শতাংশ, যা অভূতপূর্ব ও অভাবনীয়। পরিস্থিতিটা এমনই যে গ্রামবাংলায় মানুষের বিস্কুট কেনার টাকাতেও টান পড়ছে।   বিশদ

02nd  September, 2019
পুজোর বাজারেও কি এবার মন্দার টান লাগল?
শুভা দত্ত

আর মাত্র মাসখানেকের অপেক্ষা। তারপরই সংবৎসরে মহাপার্বণ এসে পড়বে বাঙালির ঘরে ঘরে পাড়ায় মহল্লায়। মা দুর্গার আরাধনায় মেতে উঠবে আসমুদ্রহিমাচল বাংলা। সারা বছর যে চারটে মহার্ঘ দিনের জন্য চাতকের মতো অপেক্ষা করে থাকে বাঙালি, আজকের এই পয়লা সেপ্টেম্বর তিরিশে গড়ালেই কার্যত তাদের নাগালে পেয়ে যাবেন তাঁরা।  
বিশদ

01st  September, 2019
একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ডিসি (পোর্ট) সৈয়দ ওয়াকার রেজা। শুক্রবার থেকে স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন (এসটিএম)-এ টানা চিকিৎসা চলেছে তাঁর। ট্রপিক্যাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডাঃ বিভূতি সাহার অধীনে ভর্তি হন রেজা সাহেব। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মঙ্গলবার ছিল মহরম। তাই সোমবার সন্ধ্যাতেই রেফারি দীপু রায়ের রিপোর্ট চেয়ে পাঠান আইএফএ সচিব। তিনি সাড়ে দশটা পর্যন্ত ছিল দপ্তরে। পুলিসের গাড়িতে ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জেএমবির অন্যতম বড় মাথা আসাদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। মঙ্গলবার ভোররাতে চেন্নাইয়ের একটি বাড়ি থেকে ধরা হয়েছে তাকে। ভুয়ো পরিচয় দিয়ে সে এখানে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল। তার কাছ থেকে মিলেছে একটি মোবাইল ফোন, ...

বিএনএ, সিউড়ি ও সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন: নানুরে নিহত বিজেপি কর্মী স্বরূপ গড়াইয়ের মৃতদেহ নেওয়া নিয়ে মঙ্গলবার দিনভর টানাপোড়েন চলল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের মর্গ থেকে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৬২- মার্কিন ছোট গল্পকার ও হেনরির জন্ম
১৮৯৩- শিকাগোর ধর্ম সম্মেলনে স্বামী বিবেকানন্দ ঐতিহাসিক বক্তৃতা করেন
১৯০৮- বিপ্লবী বিনয় বসুর জন্ম
১৯১১- ক্রিকেটার লালা অমরনাথের জন্ম
২০০১- নিউ ইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে এবং পেন্টাগনে বিমান হানায় অন্তত ৩ হাজার মানুষের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৮৪ টাকা ৭২.৫৪ টাকা
পাউন্ড ৮৬.৪২ টাকা ৮৯.৫৯ টাকা
ইউরো ৭৭.৫৭ টাকা ৮০.৫২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
10th  September, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৭১৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,২৬৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৭,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৭,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৫ ভাদ্র ১৪২৬, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বুধবার, ত্রয়োদশী ৫৯/১৩ শেষ রাত্রি ৫/৭। শ্রবণা ২১/২৫ দিবা ১/৫৯। সূ উ ৫/২৫/৩১, অ ৫/৪১/৩৮, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ৯/৩০ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ৩/১৩ গতে ৪/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৬/২৮ মধ্যে পুনঃ ৮/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১/৩১ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৮/২৯ গতে ১০/১ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৩ গতে ১/৫ মধ্যে, কালরাত্রি ২/৩০ গতে ৩/৫৮ মধ্যে।
২৪ ভাদ্র ১৪২৬, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বুধবার, ত্রয়োদশী ৫৮/৩৭/১১শেষরাত্রি ৪/৫১/৫৭। শ্রবণা নক্ষত্র ২৪/৫৬/২৬ দিবা ৩/২৩/৩৯, সূ উ ৫/২৫/৫, অ ৫/৪৩/৪৫, অমৃতযোগ দিবা ৭/২ মধ্যে ও ৯/৩১ গতে ১১/১০ মধ্যে ও ৩/১৮ গতে ৪/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৩৩ গতে ৮/৫৩ মধ্যে ও ১/৩১ গতে ৫/২৫ মধ্যে, বারবেলা ১১/৩৪/২৫ গতে ১/৬/৪৫ মধ্যে, কালবেলা ৮/২৯/৪৫ গতে ১০/২/৫ মধ্যে, কালরাত্রি ২/২৯/৪৫ গতে ৩/৫৭/২৫ মধ্যে। 
 ১১ মহরম

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। বৃষ: পারিবারিক অশান্তির ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮৬২- মার্কিন ছোট গল্পকার ও হেনরির জন্ম১৮৯৩- শিকাগোর ধর্ম সম্মেলনে ...বিশদ

07:03:20 PM

রাজ্যে এখনই চালু হচ্ছে না নয়া মোটর ভেইকেলস আইন 
রাজ্যে এখনই চালু হচ্ছে না নয়া মোটর ভেইকেলস আইন। আজ ...বিশদ

06:41:55 PM

এবার রেল স্টেশনেও নিষিদ্ধ হচ্ছে প্লাস্টিক
এবার একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিয়ে আর প্রবেশ করা যাবে না ...বিশদ

04:56:20 PM

কৈখালিতে গাড়ির ধাক্কায় মৃত যুবক 

04:17:00 PM

কলেজে ভর্তিতে দুর্নীতি রুখতে জেলায় সাহায্য কেন্দ্র খুলবে সরকার 
ভর্তি প্রক্রিয়া বেশ কিছু বছর ধরে অনলাইনেই চলছে। তবুও দুর্নীতি ...বিশদ

03:56:24 PM