Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নীতির অভাবে ডুবছে দেশের অর্থনীতি 

সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়: খুব কঠিন একটা পরিস্থিতির মুখে পড়েছে ভারতের অর্থনীতি। গত এক বছরের মধ্যে আর্থিক বৃদ্ধির হার কমেছে ৩ শতাংশ, যা অভূতপূর্ব ও অভাবনীয়। পরিস্থিতিটা এমনই যে গ্রামবাংলায় মানুষের বিস্কুট কেনার টাকাতেও টান পড়ছে। সংবাদে প্রকাশ, ভারতের সবচেয়ে বড় বিস্কুট কোম্পানি পার্লের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পাঁচ টাকার বিস্কুট কেনার চাহিদা এত কমে গেছে যে হাজার দশেক কর্মী ছাঁটাই করতে হবে। একই ছবি ব্রিটানিয়াতেও। মানুষ গ্রামবাংলায় খুব কোণঠাসা অবস্থায়। উদ্বৃত্ত টাকা হাতে ক্রমশ কমছে। কৃষকরা ফসলের দাম পাচ্ছেন না বহুদিন। চাষ করার খরচ এতটাই বেড়ে গেছে এবং ফসল বিক্রির পর হাতে যা মার্জিন তা দিয়ে সংসার চলে না। সরকারের কাছ থেকে ভর্তুকি আর সহায়ক মূল্যের সাপোর্ট ছাড়া কৃষকরা চাষের কাজে খুব একটা সাহস পাচ্ছে না। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে নাভিশ্বাস। ব্যাঙ্কের ঋণ তারা প্রয়োজন মতো পায় না, সরকার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে কিন্তু পরিস্থিতি বদলাচ্ছে না। কর্পোরেট সেক্টরে লগ্নি বাড়ছে না। ব্যাঙ্কের লক্ষ কোটি টাকার ঋণ এখন অনাদায়ী। এতে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হয়েছে। ঋণের দায়ে মুখ থুবড়ে পড়েছে বহু কর্পোরেট। রিলায়েন্স অনিল আম্বানি থেকে ভিডিওকন, জেট এয়ারওয়েজ থেকে ছোট মাঝারি বহু শিল্প সংস্থা দেউলিয়া হওয়ার মুখে। ক্রমশ চাহিদা কমছে নির্মাণ শিল্পে, গাড়ি শিল্পেও। অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে ৩০ টি শহরে ১২ লাখ ৮০ হাজার ফ্ল্যাট পড়ে আছে। তার মধ্যে শুধু কলকাতায় ২০ হাজারের বেশি ফ্ল্যাট অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে আছে। দাম অনেক কমিয়েও বিক্রি করা যাচ্ছে না। একই অবস্থা গাড়ি শিল্পেও। সাপ্তাহিক উৎপাদন অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে বিভিন্ন বড় বড় গাড়ি নির্মাতাদের কারখানায়। ব্যাঙ্কের টাকায় বড় বড় প্রজেক্ট নামানোর পর সেগুলি থেকে উদ্বৃত্ত তুলতে না-পারার ব্যর্থতায় কর্পোরেট ভারতের একটি বড় অংশ নতুন করে লগ্নিতে আর আগ্রহী নয়। এই সামগ্রিক পরিস্থিতিতে সরকার দেশের চাহিদা বৃদ্ধি করার রাস্তাটাও খুঁজে পাচ্ছে না। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমির তথ্য জানাচ্ছে, গত ২৫ বছরে এমন খারাপ অবস্থা এদেশের অর্থনীতিতে হয়নি।
এমন পরিস্থিতি হল কেন? সর্বশেষ বাজেট এবং তার আগের বছরের বাজেটের মধ্যে বাস্তবিক রিয়াল ফিগার অনুযায়ী ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি। সিএজির তথ্য বিশ্লেষণ করে এই সত্য ধরা পড়ছে। এর বড় কারণ, যে-হারে জিএসটি নেওয়া উচিত তার রেশনালাইজেশন হয়নি। জিএসটির মাত্রাতিরিক্ত হার অনেক ক্ষেত্রেই চাহিদা কমানোর ফলে বিক্রিবাট্টাও কমে গেছে। সরকারের আয় কমে গেছে। কোষাগারে ঘাটতি মেটাতে লাভজনক রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোকে বিক্রি করতে হচ্ছে। কিন্তু, এভাবে সম্পদ বিক্রি করে কতদিন চলবে? আগে বলা হতো, বেসরকারিকরণ করলে সরকারি সংস্থাগুলির পরিষেবা দেওয়ার ক্ষমতা ও মুনাফা দুটোই বাড়বে। কিন্তু, পরিষেবা এবং মুনাফায় যারা বেসরকারি সংস্থা থেকেও এগিয়ে সেই সমস্ত নবরত্ন ও মহামূল্যবান সরকারি সংস্থা বিক্রি করা হচ্ছে কেন?।
অর্থনীতির পরিচালনা দেশের আম জনতার স্বার্থে না কি একটি উচ্চবিত্ত শ্রেণী ও কতিপয় কর্পোরেটের স্বার্থে? একতরফা একচেটিয়া পুঁজির স্বার্থে মোদি এতটাই খুল্লামখুল্লা যে, নিজেই বলেছেন, চাষ করে লাভ না-পেলে দুর্বল কৃষক বড় বড় কোম্পানির কাছে জমিটা বিক্রি করে দিক। সেই কোম্পানির কাছে দুর্বল চাষি চাকরি করুক! অবাক হওয়ার কিছু নেই। এটাই কিন্তু অর্থনীতি নিয়ে মোদির ভাবনা বা মোদি ভিশন। যে ভিশন এ আম জনতার ভালো থাকার উপায় হিসেবে তিনি মনে করেন, বেসরকারি লগ্নির নেতৃত্বে থাকাটাই শ্রেয়। রাষ্ট্র খুব বেশি হলে মাস কাবারি কিছু অর্থ দিতে পারে, ডাইরেক্ট ট্রান্সফার করে আম জনতার বাজারটি টিকিয়ে রাখতে চান কর্পোরেটের পণ্য বিক্রির স্বার্থে, কিন্তু আম জনতার অধিকার বিস্তৃতিতে তাঁর বিশ্বাস নেই। ফলে, আম জনতার জমি কিংবা সরকারি সম্পত্তিতে রাষ্ট্রীয় অধিকার—সবকিছুতেই তিনি গণ অধিকার ও জনস্বার্থ সংক্রান্ত অধিকারের বিষয়গুলি সঙ্কুচিত করতে চান। পরিবর্তে সেসব ক্ষেত্রে বেসরকারি লগ্নির প্রসার বাড়াবার জন্য তিনি গোটাতে চান সরকারি ভূমিকা। আদানি-আম্বানিদের হাত দিয়ে যে লগ্নিগুলো হচ্ছে, কার্যত সেটিও কিন্তু ঘুরপথে সরকারি ব্যাঙ্কের টাকা যাচ্ছে তাদের কর্পোরেটের নামে। এভাবেই কিং ফিশার তৈরি হয়েছিল। জেট এয়ারওয়েজ, ভিডিওকন প্রভৃতি আজ বিরাট আর্থিক সঙ্কটে। ব্যাঙ্কের লক্ষ কোটি টাকা চলে যাচ্ছে বেসরকারি পকেটে। এটাই আজকের ভারতীয় অর্থনীতির করুণ চিত্র ও পরিণতি।
সমস্যার গোড়াটা এইখানে। সরকার চেয়েছিল ৩০ কোটি উচ্চবিত্তের বাজারকে সামনে রেখে এদেশে ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতি গড়ে তুলবে। দেশের সর্বাধিক মানুষকে ভালো না-রেখে তাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখা! যে পরিকল্পিত পদক্ষেপ দরকার তার বিন্দুমাত্র কোনও লক্ষণ এই সরকারের আর্থিক কিংবা অর্থনৈতিক নীতিতে নেই। ভারতীয় পণ্যের রপ্তানি থেকে তাহলে অন্তত দেড় লাখ কোটি আয় হওয়া দরকার। বিদেশের বাজারে বহুদিন হল বিশেষভাবে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন এদেশের রপ্তানিকারকরা। তাঁদের দাবিগুলো বিশেষভাবে মেটাতে উদ্যোগী হওয়া দরকার ছিল। বিশেষত মার্কিন ও চীনের ট্যারিফ যুদ্ধে বিশ্ব-বাজারে চ্যালেঞ্জের মুখে রপ্তাতানিকারকরা এখন যেভাবে সমস্যায় পড়েছেন। দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারেও ভারতীয় পণ্যের অংশভাগ ক্রমশ কমছে। যে-সরকার নিজের দেশের অভ্যন্তরেই দেশীয় পুঁজির বিকাশ ঘটাতে পারে না, রপ্তানিকারকরা বিদেশের বাজার ধরতে পারে না শুধুমাত্র সরকারের নীতিগত ব্যর্থতায় তখন আশার আলো আসবে কোন দিক থেকে। শাসককুল দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে ও জনগণের সঞ্চয় বাড়ানোর দিকে নজর দেন না। খালি বেসরকারি লগ্নি বাড়িয়ে বৃদ্ধির ছবিটা দেখাতে চান। তাই একতরফা ঋণ দিয়ে দিয়ে প্রকল্প তৈরি হয়েছে, কিন্তু সেইসব প্রকল্পের পণ্য বাজার পাচ্ছে না ক্রেতার অভাবে। নতুন ক্রেতা বাড়াতে দরকার কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জনসাধারণের আয় বৃদ্ধিমূলক কর্মকাণ্ড, খরচ কমানো এবং সঞ্চয় বৃদ্ধি। নোট বাতিলের ধাক্কাতেই অর্থনীতির এই বুনিয়াদি ব্যবস্থা ভেঙে যায়। সেই থেকে কর্মসংস্থান, সঞ্চয় ও বৃদ্ধির হার গিয়েছিল কমে। কমপক্ষে ৫০ লক্ষ মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়েছে এর জন্য। আজিম প্রেমজি ইউনিভার্সিটির গবেষণাপত্রে এ তথ্য প্রকাশিত। এরপর জিএসটি যেভাবে চালু করা হল তা ধাক্কা দিল কোষাগারে। সরকার এখন আর-এক বিপজ্জনক পদক্ষেপ নিচ্ছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের টাকায় বাজেট ঘাটতি মিটিয়ে অর্থনীতিতে টাকার জোগান বাড়িয়ে চাহিদা বাড়ানোর। এতে মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে, টাকার দাম আরও পড়বে, কর্মসংস্থান আরও কমবে, সত্যিই এই সরকার বুঝতে পারছে না অর্থনীতির উন্নয়নের রোডম্যাপটা কী!
মুক্ত অর্থনীতিতে বিশেষ প্রয়োজন শক্তিশালী কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে আর্থিক ক্ষেত্রের সুনিয়ন্ত্রণ। মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের উপর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এমন পর্যায়ে গেছে যে রঘুরাম রাজন থেকে শুরু করে উর্জিত প্যাটেল ইস্তফা দিতে বাধ্য হলেন। সরকার ও দেশবাসী বাঁচাতে কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের রিজার্ভ ব্যবহার করা হয টাকার অবমূল্যায়ন রুখতে, দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যাবস্থাকে সুরক্ষা দিতে। সেই অর্থে সরকার চাইছে নিত্য খরচের বার্ষিক বাজেটের ঘাটতি কমাতে। এই অর্থ যদি পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ব্যবহার করে তাহলে অর্থনীতিতে কল্যাণমুখী বৃদ্ধি সম্ভব। মুশকিল হচ্ছে, এই সরকার অর্থনীতির বৃদ্ধির হার রাখতে পেরেছে ৬ থেকে ৭ শতাংশের মধ্যে, কিন্তু সামগ্রিক বেকারত্বের হার পৌঁছে গেছে সংসদে শ্রমমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ৬.১% এ, যা গত ৪৫ বছরে এই প্রথম। এর মধ্যে শিক্ষিত বেকারের হার ১১.৪%। বেকারত্ব কমাতে প্রয়োজনমতো ‘মুদ্রা ঋণ’ দিতেও ব্যর্থ হয়েছে সরকার। যে ১০০ দিনের কাজ গ্রামীণ কর্মসংস্থান সৃষ্টির একটি শক্তিশালী মাধ্যম, সরকার তাকেই সঙ্কুচিত করেছে। গত বছর কাজ সৃষ্টি হয় মাত্র ২৫৫ কোটি শ্রম দিবস, এর চাইতে অনেক বেশি হতে পারত। হয়নি শুধু অর্থাভাবে। বাজেটে অর্থ বরাদ্দ ছিল আগের বছরের থেকেও কম। ২০১৮-১৯ সালের বরাদ্দ শেষ হয় প্রথম তিন মাসেই। এরপর তাই প্রশ্ন ওঠে, সরকার সাধারণ মানুষের ক্রক্ষমতা বৃদ্ধি ও অর্থনীতির বিস্তার চায় না কি কিছু নির্দিষ্ট কর্পোরেটের মুনাফা ও তাদের দ্বারা অর্থনীতির পরিচালনা, সেটাই স্পষ্ট নয়।
সরকারের বোঝা উচিত, রাষ্ট্রায়ত্ত লগ্নি ও প্রকল্প ছাড়া কোনও পুঁজিবাদী অর্থনীতিতেও অর্থনীতির বুনিয়াদি কাঠামো, পরিষেবা ও উন্নয়নের প্রকরণ ধরে রাখা যায় না, আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানি, সুইডেনের অর্থনীতিতে রাষ্ট্রীয় লগ্নি ও প্রকল্পের গুরুত্ব কতটা তার তুলনামূলক আলোচনা করে দেখলে বোঝা যাবে এদেশের অর্থনীতির পরিচালকরা হাঁটছেন উল্টো পথে।
বেসরকারি লগ্নিকে অক্সিজেন জোগাচ্ছেন রাষ্ট্রীয় অর্থে। পরে সেই বেসরকারি লগ্নি মুখ থুবড়ে পড়ছে, লোপাট হচ্ছে ব্যাঙ্কের টাকা। রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের বেসরকারিকরণের মধ্যে এর কোনও সুরাহা নেই। তবু লাভজনক অন্তত ১২টা সেরা সংস্থা বেসরকারি করে দেওয়ার প্রস্তাব আনা হয়েছে। এটা কোনও উন্নয়নের মডেল হতে পারে না। সরকার নিজেই যদি কর্মসংস্থান বাড়াতে না-চায়, তাহলে অভ্যন্তরীণ বাজারে চাহিদা বাড়বে কী করে? কী করে চাহিদা বাড়বে অর্থনীতিতে? কিনবেন যাঁরা তাঁদের সেই গ্রাম ভারত ধুঁকছে, শহরের মধ্যবিত্ত কোণঠাসা। তাই ম্যানুফ্যাকচারিং পিএমআই সূচক আটকে ৫০-এর আশপাশে, যার অর্থ কোনও শিল্পেই জোর নেই অর্ডারে। রপ্তানি কমেছে সমতুল, গাড়ি, বস্ত্রসহ প্রধান শিল্পগুলো নতুন অর্ডারের অভাবে। বহু বস্ত্রকারখানা বন্ধ করে দিচ্ছেন মিল মালিকরা গুজরাতে। এদেশের শেয়ার বাজার থেকে হাত গোটাচ্ছে বিদেশি লগ্নি। এমন খারাপ অবস্থা যে সরকার এখন বাজেটের টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে। ঘাটতিপূরণে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মহার্ঘ সঞ্চিত অর্থ লাগাতে চাইছে। নীতিহীন অর্থনীতির পরিচালনার এর চাইতে বড় উদাহরণ নেই, যা দুর্নীতির মতোই ভয়ঙ্কর। আর অর্থনীতির পরিচালনা যেখানে হয় রাজনীতির স্বার্থে, সেখানে কোনও অর্থনৈতিক উন্নয়ন টিকতে পারে না! সরকারকে ভাবতে হবে। নতুন নীতি চাই ঘুরে দাঁড়ানোর। নইলে আরও বড় বিপর্যয় অবশ্যম্ভাবী। 
02nd  September, 2019
রাষ্ট্রহীনতার যন্ত্রণা
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভিক্টর নাভরস্কি নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের লাইনে দাঁড়িয়ে আবিষ্কার করলেন, তিনি আচমকাই ‘রাষ্ট্রহীন’ হয়ে পড়েছেন। কারণ, তাঁর দেশ ক্রাকোজিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলির কাছে মানবিকতার নিরিখে ক্রাকোজিয়ার আর কোনও ‘অস্তিত্ব’ নেই।
বিশদ

10th  September, 2019
জাতির গঠনে জাতীয় শিক্ষানীতি
গৌরী বন্দ্যোপাধ্যায়

 অভিধান অনুসরণ করে বলা যায়, পঠন-পাঠন ক্রিয়াসহ বিভিন্ন অভিজ্ঞতালব্ধ মূল্যবোধের বিকাশ ঘটানোর প্রক্রিয়াই শিক্ষা। জ্ঞানকে বলা হচ্ছে অভিজ্ঞতালব্ধ প্রতীতি। শিক্ষা দ্বারা অর্জিত বিশেষ জ্ঞানকে আমরা বিদ্যা বলি। কালের কষ্টিপাথরে যাচাই করে মানুষ আবহমান কাল ধরে নিজ অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানরাশিকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য পুস্তকের মধ্যে লিখে সঞ্চিত করে গেছে।
বিশদ

09th  September, 2019
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের শতবর্ষে ভারত প্রান্তিক রাষ্ট্র থেকে প্রথম দশে, লক্ষ্য শীর্ষস্থান
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তির মুখে উড্রো উইলসন সমেত বিশ্বের তাবড় নেতারা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে শঙ্কিত হয়ে পড়েন। যুদ্ধের রাহুর গ্রাস থেকে এই সুন্দর পৃথিবীকে কীভাবে রক্ষা করা যায় তা নিয়ে তাঁরা চিন্তিত ছিলেন। উইলসন বুঝতে পেরেছিলেন মানুষের মগজে রয়েছে যুদ্ধের অভিলাষ। যুদ্ধভাবনা মুছে ফেলে শান্তিভাবনা প্রতিষ্ঠা করা দরকার।
বিশদ

09th  September, 2019
পুজোর মুখে বিপর্যয়: ঘরে বাইরে

 দুর্ঘটনা বিপর্যয় তো আর জানান দিয়ে আসে না! নেপালের ভূমিকম্প কি আমাদের আয়েলার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কত মানুষ ঘর-সংসার সব হারিয়ে রাতারাতি সর্বস্বান্ত হয়েছেন, কত সংসার উজাড় হয়ে গেছে—শত চেষ্টাতেও সেই ক্ষত পুরোটা পূরণ করা গিয়েছে কি? যায়নি। এই বউবাজারে রশিদ জমানার সেই ভয়ানক বিস্ফোরণের পর কত লোকের কত সর্বনাশ হয়েছিল—কজন তার বিহিত পেয়েছিলেন? মেট্রো রেলের সুড়ঙ্গ কাটতে গিয়ে সেপ্টেম্বরের শুরুতে বউবাজারে বাড়ি ধসে যে ক্ষতি বাসিন্দাদের হল তাতে তাই ‘অপূরণীয় ক্ষতি’ বললে কিছুমাত্র ভুল হয় না। বিশদ

08th  September, 2019
বন্ধ হোক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পঞ্চায়েত দখল
তন্ময় মল্লিক

পঞ্চায়েত কারও চোখে স্থানীয় সরকার, কারও চোখে উন্নয়নের হাতিয়ার, কারও চোখে চোর তৈরির কারখানা। পঞ্চায়েত সম্পর্কে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন হলেও একটা ব্যাপারে প্রায় সকলেই এক মত, পঞ্চায়েত আসলে মধুভাণ্ড। এই মধুভাণ্ডের নাগাল পাওয়া নিয়েই যত মারামারি, বোমাবাজি, খুনোখুনি। এই পঞ্চায়েতই নাকি এবার পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা ভোটে ওলট-পালটের নাটের গুরু।
বিশদ

07th  September, 2019
অজানা ভবিষ্যৎ
সমৃদ্ধ দত্ত

টাকা কোথায় গেল? একের পর এক গ্রামবাসীর টাকা উধাও। সকলে সেই অফিসে আবার গেলেন। তারা এবার ভালো করে কম্পিউটার চেক করে বললেন, তোমাদের আগে যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল সেটা তো চেঞ্জ হয়েছে। এখানে নতুন এক অ্যাকাউন্ট দেখাচ্ছে। ওখানেই গেছে টাকা। প্রমোদকুমাররা জানেই না কোথায় নতুন অ্যাকাউন্ট! এক সহৃদয় ব্যাঙ্ককর্মী আবিষ্কার করলেন মোবাইল সার্ভিস প্রভাইডার কোম্পানি পেমেন্ট ব্যাঙ্ক চালু করেছে। ওই যে ফোনে আধার নম্বর চাওয়া হল এবং প্রমোদকুমাররা গিয়ে লিংক করিয়ে এলেন, আসলে ওই আধার নম্বরের মাধ্যমে তাঁদের অজ্ঞাতেই তাঁদের নামে পেমেন্ট ব্যাঙ্ক ‌অ্যাকাউন্ট চালু হয়ে গিয়ে সেই অ্যাকাউন্টই শো করতে শুরু করেছে সরকারি দপ্তরে। আর সব টাকা সেখানে যাচ্ছে।
বিশদ

06th  September, 2019
নিজেকে জিজ্ঞেস করো, দেশের জন্য কী করতে পার
মৃণালকান্তি দাস

হোয়াইট হাউস-এর  পবিত্রতা নষ্ট করার দুর্নাম জুটেছিল কি না বেচারি বিল ক্লিন্টনের!‌ তখনও নাকি মার্কিন আম জনতা মুখ বেঁকিয়ে বলেছিল,  কোথায় মেরিলিন মনরো,  আর কোথায় মনিকা লিউইনস্কি!‌ তবে, মনরো–কেনেডির এই প্রেম রীতিমত ঢাক–ঢোল পিটিয়ে উদ্‌যাপিত হয়েছে মার্কিন গণজীবনে। ১৯ মে ১৯৬২। কেনেডির আসল জন্মদিনের ১০ দিন আগেই উৎসব হয়েছিল নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কোয়্যার গার্ডেনে। ১৫ হাজার অতিথির তালিকায় তাবড় রাজনীতিক ও হলিউড সেলেবদের ছড়াছড়ি। বিরাট কনসার্টে মারিয়া কালাস,  এলা ফিটজেরাল্ড-এর মতো ডাকসাইটে শিল্পীদের পাশাপাশি মেরিলিন মনরো!‌ ইতিহাস হয়ে গিয়েছে সেই সন্ধ্যায় মনরোর গাওয়া  ‘হ্যাপি বার্থডে টু ইউ মিস্টার প্রেসিডেন্ট’।  
বিশদ

06th  September, 2019
মানুষই কি মানুষের পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে দাঁড়াচ্ছে!
মেরুনীল দাশগুপ্ত

শেষের সেদিন কি আর খুব দূরে নয়? সাম্প্রতিককালে বিশ্বজুড়ে প্রকৃতির নজিরবিহীন খামখেয়াল, মানুষের লোভের আগুনে সবুজের নির্বিচার মৃত্যু এবং বহু বহু বছর ধরে সীমাহীন অপচয়ের ফলে ফুরিয়ে আসা পানীয় জলের ভাঁড়ার আমাদের মনে আজ এই ভয়ঙ্কর প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
বিশদ

05th  September, 2019
ব্যবহার একবার, দূষণ লাগাতার 
রঞ্জন সেন

সিঙ্গল-ইউজ-প্লাস্টিক (এসইউপি) বা একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক এখন দেশের পরিবেশের সামনে সবচেয়ে বড় বিপদ। খোদ প্রধানমন্ত্রীকে এর বিরুদ্ধে লালকেল্লা থেকে লড়াইয়ের ডাক দিতে হচ্ছে। নানা সতর্কতা ও নিষেধাজ্ঞা সত্বেও এই প্লাস্টিককে কিছুতেই কব্জা করা যাচ্ছে না।  
বিশদ

03rd  September, 2019
মুছে যাচ্ছে বাঙালির ব্যাঙ্ক-ব্যবসার উজ্জ্বল স্মৃতি
হারাধন চৌধুরী

গত অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০১৯) আয়কর জমার নিরিখে সেরাদের একটি তালিকা তৈরি করেছে আয়কর দপ্তর। তাতে বাংলার মাত্র চারজনের নাম রয়েছে। বলা বাহুল্য যে, তাঁদের কেউই বাঙালি নন। 
বিশদ

03rd  September, 2019
ব্যবহার একবার, দূষণ লাগাতার 

রঞ্জন সেন: ঙ্গল-ইউজ-প্লাস্টিক (এসইউপি) বা একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক এখন দেশের পরিবেশের সামনে সবচেয়ে বড় বিপদ। খোদ প্রধানমন্ত্রীকে এর বিরুদ্ধে লালকেল্লা থেকে লড়াইয়ের ডাক দিতে হচ্ছে। নানা সতর্কতা ও নিষেধাজ্ঞা সত্বেও এই প্লাস্টিককে কিছুতেই কব্জা করা যাচ্ছে না।  বিশদ

02nd  September, 2019
পুজোর বাজারেও কি এবার মন্দার টান লাগল?
শুভা দত্ত

আর মাত্র মাসখানেকের অপেক্ষা। তারপরই সংবৎসরে মহাপার্বণ এসে পড়বে বাঙালির ঘরে ঘরে পাড়ায় মহল্লায়। মা দুর্গার আরাধনায় মেতে উঠবে আসমুদ্রহিমাচল বাংলা। সারা বছর যে চারটে মহার্ঘ দিনের জন্য চাতকের মতো অপেক্ষা করে থাকে বাঙালি, আজকের এই পয়লা সেপ্টেম্বর তিরিশে গড়ালেই কার্যত তাদের নাগালে পেয়ে যাবেন তাঁরা।  
বিশদ

01st  September, 2019
একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মঙ্গলবার ছিল মহরম। তাই সোমবার সন্ধ্যাতেই রেফারি দীপু রায়ের রিপোর্ট চেয়ে পাঠান আইএফএ সচিব। তিনি সাড়ে দশটা পর্যন্ত ছিল দপ্তরে। পুলিসের গাড়িতে ...

বিএনএ, সিউড়ি ও সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন: নানুরে নিহত বিজেপি কর্মী স্বরূপ গড়াইয়ের মৃতদেহ নেওয়া নিয়ে মঙ্গলবার দিনভর টানাপোড়েন চলল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের মর্গ থেকে ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ডিসি (পোর্ট) সৈয়দ ওয়াকার রেজা। শুক্রবার থেকে স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন (এসটিএম)-এ টানা চিকিৎসা চলেছে তাঁর। ট্রপিক্যাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডাঃ বিভূতি সাহার অধীনে ভর্তি হন রেজা সাহেব। ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দুর্গাপুজো ও কালীপুজোর সময়ে যাত্রীদের বাড়তি ভিড় সামাল দিতে সাপ্তাহিক ১৩ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিল দক্ষিণ-পূর্ব রেল। তারা জানিয়েছে, সাঁতরাগাছি-চেন্নাই-সাঁতরাগাছি রুটে ট্রেনগুলি চালানো হবে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৬২- মার্কিন ছোট গল্পকার ও হেনরির জন্ম
১৮৯৩- শিকাগোর ধর্ম সম্মেলনে স্বামী বিবেকানন্দ ঐতিহাসিক বক্তৃতা করেন
১৯০৮- বিপ্লবী বিনয় বসুর জন্ম
১৯১১- ক্রিকেটার লালা অমরনাথের জন্ম
২০০১- নিউ ইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে এবং পেন্টাগনে বিমান হানায় অন্তত ৩ হাজার মানুষের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৮৪ টাকা ৭২.৫৪ টাকা
পাউন্ড ৮৬.৪২ টাকা ৮৯.৫৯ টাকা
ইউরো ৭৭.৫৭ টাকা ৮০.৫২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
10th  September, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৭১৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,২৬৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৭,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৭,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৫ ভাদ্র ১৪২৬, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বুধবার, ত্রয়োদশী ৫৯/১৩ শেষ রাত্রি ৫/৭। শ্রবণা ২১/২৫ দিবা ১/৫৯। সূ উ ৫/২৫/৩১, অ ৫/৪১/৩৮, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ৯/৩০ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ৩/১৩ গতে ৪/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৬/২৮ মধ্যে পুনঃ ৮/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১/৩১ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৮/২৯ গতে ১০/১ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৩ গতে ১/৫ মধ্যে, কালরাত্রি ২/৩০ গতে ৩/৫৮ মধ্যে।
২৪ ভাদ্র ১৪২৬, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বুধবার, ত্রয়োদশী ৫৮/৩৭/১১শেষরাত্রি ৪/৫১/৫৭। শ্রবণা নক্ষত্র ২৪/৫৬/২৬ দিবা ৩/২৩/৩৯, সূ উ ৫/২৫/৫, অ ৫/৪৩/৪৫, অমৃতযোগ দিবা ৭/২ মধ্যে ও ৯/৩১ গতে ১১/১০ মধ্যে ও ৩/১৮ গতে ৪/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৩৩ গতে ৮/৫৩ মধ্যে ও ১/৩১ গতে ৫/২৫ মধ্যে, বারবেলা ১১/৩৪/২৫ গতে ১/৬/৪৫ মধ্যে, কালবেলা ৮/২৯/৪৫ গতে ১০/২/৫ মধ্যে, কালরাত্রি ২/২৯/৪৫ গতে ৩/৫৭/২৫ মধ্যে। 
 ১১ মহরম

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। বৃষ: পারিবারিক অশান্তির ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮৬২- মার্কিন ছোট গল্পকার ও হেনরির জন্ম১৮৯৩- শিকাগোর ধর্ম সম্মেলনে ...বিশদ

07:03:20 PM

রাজ্যে এখনই চালু হচ্ছে না নয়া মোটর ভেইকেলস আইন 
রাজ্যে এখনই চালু হচ্ছে না নয়া মোটর ভেইকেলস আইন। আজ ...বিশদ

06:41:55 PM

এবার রেল স্টেশনেও নিষিদ্ধ হচ্ছে প্লাস্টিক
এবার একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিয়ে আর প্রবেশ করা যাবে না ...বিশদ

04:56:20 PM

কৈখালিতে গাড়ির ধাক্কায় মৃত যুবক 

04:17:00 PM

কলেজে ভর্তিতে দুর্নীতি রুখতে জেলায় সাহায্য কেন্দ্র খুলবে সরকার 
ভর্তি প্রক্রিয়া বেশ কিছু বছর ধরে অনলাইনেই চলছে। তবুও দুর্নীতি ...বিশদ

03:56:24 PM