ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
কেএমআরসিএল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এলাকার মোট ৭৪টি বাড়ির অবস্থা খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। তার মধ্যে এদিন ১১টি বাড়ি তারা পরিদর্শন করেছে। আগামী সাত-আটদিনের মধ্যে খতিয়ে দেখার কাজ শেষ করে কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট দেওয়ার কথা রয়েছে তাদের। জানা গিয়েছে, এই বিশেষজ্ঞরা তিন ধরনের বাড়ির তালিকা তৈরি করবেন। প্রথমত, কিছু বাড়িতে অল্প ফাটল ধরেছে। আবার কিছু বাড়িতে কোনও ফাটল না দেখা গেলেও স্রেফ বাসিন্দাদের সুরক্ষার জন্য তাঁদের সরানো হয়েছে অন্যত্র। এই দু’ধরনের বাড়িকে একই তালিকাভুক্ত করা হবে। এই তালিকায় থাকা ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলিতে মেরামত করা হবে প্রথমে। তারপর বাসিন্দাদের ফেরানো হবে। দ্বিতীয় তালিকায় থাকছে লক্ষ্যণীয় ফাটল ধরেছে, এরকম বাড়িগুলি। তিন নম্বর তালিকায় রাখা হবে মেরামতির অযোগ্য হয়ে পড়া বাড়িগুলি। এগুলি ভেঙে ফেলতে হবে। প্রাথমিকভাবে কেএমআরসিএল সূত্রে জানা গিয়েছিল, মোট আটটি বাড়ি ভাঙা হতে পারে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের দু’নম্বর তালিকায় থাকা বাড়িগুলির মধ্যেও বেশ কয়েকটি পুরোপুরি ভাঙতে হতে পারে। তাই মোট কতগুলি বাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলা হবে, তা এখনও নিশ্চিত করে বলছেন না কেউ।
এদিন বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান নীতিন সোম বলেন, কয়েকটি পর্বে কাজটি করা হবে। নতুন করে যাতে সমস্যা না বাড়ে, তাও দেখা হবে। এদিন সকাল থেকেই ভেঙে ফেলার জন্য চিহ্নিত বাড়িগুলি ভাঙার কাজ শুরু হয়। তবে তা করতে হচ্ছে অত্যন্ত সাবধানে। এক কর্মী বলেন, বড় শাবল, হাতুড়ি দিয়েই ভাঙতে হচ্ছে ঘর। বুলডোজার বা ক্র্যাশারের মতো যন্ত্র কাজে লাগানোই যাচ্ছে না। কারণ বড়সড় ধাক্কায় ক্ষতি হতে পারে পাশের অল্প ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িরও। বাড়ি ভাঙার কাজ তাই এগচ্ছে বেশ শ্লথ গতিতে। পাশাপাশি স্যাকরাপাড়া লেনে যে বাড়িটি সোমবার সকালে ভেঙে পড়েছিল, তার ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজও এদিন শুরু করা যায়নি। যেভাবে বাড়িটি ভেঙে পড়েছে, সেটির ধ্বংসস্তূপ সরাতে গিয়ে আরও কোনও বিপর্যয় যাতে না ঘটে, সেদিকটি বিবেচনা করে, বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে তা সরানো হবে বলে জানান এলাকায় কর্মরত কেএমআরসিএল-এর এক আধিকারিক। এদিন ছুটি থাকায় এলাকায় উৎসুক মানুষের আনাগোনা অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশ কম ছিল। বেশ কিছু বাড়ির বাসিন্দা এদিনও আসবাব, মূল্যবান জিনিসপত্র সরিয়েছেন।
বউবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় চলছে সমীক্ষার কাজ। মঙ্গলবার তোলা নিজস্ব চিত্র