ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
পুলিস বিশ্বরূপবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, তাতে বিশ্বরূপবাবু জানিয়েছেন, ৪-৫ দিন আগে খাওয়ার পর থেকে দিদি আর কথা বলেননি। বিশ্বরূপবাবু নিজেকে আর জি কর থেকে পাশ করা চিকিৎসক বলেও পরিচয় দিয়েছেন। এমনকী তিনি প্র্যাকটিসও শুরু করেছিলেন বলে জানিয়েছেন। পরে তাঁর মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। নদীয়া জেলার পলাশীতে তাঁদের বাড়ি। রুমাদেবীর স্বামী অনেক দিন আগেই তাঁকে ছেড়ে চলে যান। বাবা-মা প্রয়াত হওয়ার পর থেকে ওই দিদি তাঁদের দুই ভাই বোনকে দেখাশোনা করতেন। যিনি দমদমেই অন্যত্র ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকেন। সেই দিদি পলাশী যাওয়ায় কয়েক দিনের শুকনো খাবার দিয়ে গিয়েছিলেন। বাইরে থেকে অনেকে ফ্ল্যাট দেখতে আসা সহ বিভিন্ন কারণে দরজায় ধাক্কা দিতেন বলে বিশ্বরূপবাবুরা বিরক্ত হতেন। তাই তিনিই ওই দিদিকে বলেছিলেন আমরা দুজনে তো বাইরে যায় না, তাই বাইরে থেকে তালা বন্ধ করে যেতে। তারপর থেকে সেটাই করা হত। এর আগে দমদমে অন্যত্র তাঁদের দুজনকে রাখা হয়েছিল। এদিন প্রতিবেশীরা পচা দুর্গন্ধ পান সেসময়ই ওই দিদির ছেলে সেখানে চলে আসেন। তিনিই চাবি দিয়ে তালা খোলেন। এদিন আর জি করে দিদির দেহের সঙ্গে যান বিশ্বরূপবাবু। তিনি হাঁটাচলাও করছেন। তবে তাঁর বক্তব্যের সত্যতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও এদিন রাত পর্যন্ত ওই ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলার সঞ্জয় দাস জানান, এলাকার লোকেদের কাছ থেকে খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখলাম ওঁদের ভাগনে এসে দরজা খুলেছেন। ভাই দেহের পাশে বসেছিল। দেহ থেকে পচা গন্ধ বেরোচ্ছিল।