ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
এসটিএফ সূত্রে জানা যাচ্ছে, বর্ধমানের বাসিন্দা আসদুল্লাহ খাগড়াগড়কাণ্ডে অভিযুক্ত ইউসুফের হাত ধরে জেএমবিতে নাম লেখায়। শিমুলিয়া মাদ্রাসায় তার জেহাদি কার্যকলাপের প্রশিক্ষণ হয়। পরে এখানে সে প্রশিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হয়। বর্ধমান, বীরভূমের একাধিক তরুণকে সে মগজ ধোলাই করে জেএমবিতে নিয়োগ করেছে। খাগড়াগড়কাণ্ডের পর দলছুট হয়ে পড়ে সে। দক্ষিণ ভারতে আশ্রয় নেয়। ২০১৬ সাল থেকে এই ঘটনায় অভিযুক্তরা নতুন করে নেটওয়ার্ক তৈরি শুরু করে। পুরনো জেএমবি সদস্যরা আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে। জেএমবির বাংলাদেশের প্রধান সালাউদ্দিনও দক্ষিণ ভারতে এসে আশ্রয় নেয়। তার সঙ্গে আসাদুল্লাহ চেন্নাই, বেঙ্গালুরু কেরল সহ দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। সেখানে রাজমিস্ত্রি বা অন্য পেশায় নিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে জেহাদি ভাবধারা প্রচার করতে শুরু করে তারা। কওসর আসদুল্লাহ ও সালাউদ্দিন নতুন মডিউল তৈরি করে বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণ ঘটায়।
ধৃত অফিসারদের জানিয়েছে, সংগঠনে প্রথম থেকে তার সঙ্গে মতবিরোধ ছিল কওসরের। তার কাজকর্ম পচ্ছন্দ করত না আসাদুল্লাহ। সালাউদ্দিন বেঙ্গালুরু ছেড়ে চলে আসার পর চেন্নাইতে ঘাঁটি গাড়ে অভিযুক্ত। সেখানে স্লিপার সেল তৈরির কাজ করছিল। গোয়েন্দারা জেনেছেন, চেন্নাইয়ের একধিক জায়গায় জেহাদি প্রশিক্ষণ শিবির খুলেছিল আসাদুল্লাহ। সেখানে অস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণ দিচ্ছিল। কিছুদিন আগে এনআইএর হাতে ধৃত হবিবুরের প্রশিক্ষণ হয়েছে তার হাতে। আসাদুল্লাহর হাতে প্রশিক্ষণ নেওয়া একাধিক জেহাদি এরাজ্যে বিভিন্ন মডিউলে কাজ করছে বলে জানা গিয়েছে। সালাউদ্দিন ছাড়াও আরিফ নামে এক বাংলাদেশি যুবকের সঙ্গেও সে যোগাযোগ রাখছিল। তার মাধ্যমে জেএমবির বিভিন্ন বিষয় আদানপ্রদান করা হত।
কিছুদিন আগে সে চেন্নাই ছেড়ে চলে আসে গয়ায়। সেখানে ইজাজের সঙ্গে থাকতে শুরু করেছিল। কিন্তু সে ধরা পড়ে যাওয়ার কয়েকদিন আগে এখান থেকে আসানসোলে পালায় আসাদুল্লাহ। সেখান থেকে ফের চেন্নাইতে চলে যায়। ইজাজের সহযোগী কাশেম গ্রেপ্তার হওয়ার পরই তার হদিশ পান এসটিএফের অফিসাররা। জানা যায়, চেন্নাইতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছে সে। জাল পরিচয়পত্র জমা দিয়েছে। এখানে বিস্ফোরক তৈরির কারখানা খুলেছে। এরপরই তদন্তকারী অফিসারদের একটি টিম সেখানে রওনা হয়। যে বাড়িতে থাকছিল আসদুল্লাহ, সেখান থেকেই তাকে ধরা হয়। ধৃত জেরায় জানিয়েছে, তার অধীনে একাধিক মডিউল কাজ করছে এরজ্যে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটকে ব্যবহার করে চলছিল নতুন জেহাদি নিয়োগ।