ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
বাংলার মতো বিষয়ে এক পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক প্রায় দু’বছর আগে চিঠি পেয়েও বসে রয়েছেন। পুরুলিয়ার এক গণিতের শিক্ষক কলকাতায় বদলির চিঠি পেয়েছেন গত বছর। কিন্তু এখনও শূন্যপদ পাননি। তফসিলি জাতির এক ফিজিক্যাল এডুকেশনের শিক্ষিকাও বহুদিন ধরে অপেক্ষায় রয়েছেন। এঁদের দাবি, বিশেষ বদলির আবেদন করা হয় জরুরি প্রয়োজনের জন্যই। জটিল অসুখ, সামাজিক কারণ এবং অস্বাভাবিক দূরত্বের কথা মাথায় রেখে এই বদলির অনুমতি দেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু শূন্যপদের জন্য যদি বসেই থাকতে হয়, তাহলে আর লাভ কী?
নিয়মটা হল, শিক্ষা দপ্তর থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে প্রার্থীর তথ্যাদি দিয়ে চিঠি আসে। কমিশনের চেয়ারম্যান তখন প্রার্থীর বাছাই করা জেলার ডিআইকে চিঠি লেখেন শূন্যপদ চেয়ে। ডিআই তখন কয়েকটি স্কুলের শূন্যপদ নিয়ে কমিশনে পাঠান। প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলে স্কুল চূড়ান্ত করে চিঠি দেয় কমিশন। কিন্তু ডিআইদের কাছ থেকে সেই শূন্যপদই আসছে না। প্রার্থীদের দাবি, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে দূরবর্তী স্কুলে চাকরি করে আসছেন। তাই নতুন প্রার্থীদের নয়, এই ধরনের শিক্ষকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হোক। শূন্যপদের একটা নির্দিষ্ট সংখ্যা ধরে রাখা হোক বদলির জন্যই। এবং তা আইন মেনে এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে। কোনও কোনও ডিআইয়ের বিরুদ্ধে অনৈতিক কারণেও ইচ্ছাকৃত দেরির অভিযোগ করছেন অনেকে। নির্দিষ্ট জায়গায় টাকা পৌঁছে গেলে শূন্যপদও দ্রুত পাওয়া যাচ্ছে বলে অভিযোগ প্রার্থীদের। কেউ কেউ বিকাশ ভবনে অভিযোগ জানানোর উদ্যোগও নিয়েছেন।
তবে, কোনও কোনও আধিকারিকের দাবি, একই সঙ্গে বদলি এবং নতুন নিয়োগ চলতে থাকলে দাড়িভিটের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। যদিও, প্রার্থীদের বক্তব্য, দু’ধরনের শূন্যপদ আগে থেকেই আলাদা করে রাখলে আর কোনও সমস্যা হবে না। কিন্তু তার জন্য নিয়ম পরিবর্তন করতে হবে সরকারকে।
ফের কাউন্সেলিং: কিছুতেই শূন্যপদ পূরণ হচ্ছে না। স্কুল সার্ভিস কমিশন শিক্ষক নিয়োগে ফের কাউন্সেলিং শুরু করছে। এবার মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের জন্য চতুর্থ দফার কাউন্সেলিং হবে। খুব তাড়াতাড়িই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এসএসসি চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার। এর পরে উচ্চ মাধ্যমিকের পঞ্চম দফা এবং প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য তৃতীয় দফার কাউন্সেলিংও করতে হবে। কারণ সেগুলিতেও এখনও যথেষ্ট শূন্যপদ রয়েছে। এসব মিটলে মিউচুয়াল ট্রান্সফার প্রক্রিয়ায় হাত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সৌমিত্রবাবু।