ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
কীভাবে বাড়ল যাত্রী সংখ্যা? পূর্ব রেলের এক কর্তার কথায়, দূরপাল্লার ট্রেনের সফর আগের তুলনায় আরও বেশি স্বাচ্ছন্দের হয়েছে। যাত্রীদের সুরক্ষা অটুট রেখেই এই কাজটি করা হয়েছে। বিশেষত, চিরাচরিত রেকের পরিবর্তে বহু ট্রেনই চালানো হচ্ছে উন্নতমানের এলএইচবি রেক দিয়ে। ট্রেন-স্টেশনে বেড়েছে স্বচ্ছতাও। সার্বিকভাবে ট্রেনে সফর করতেন না এমন বহু যাত্রীও এখন ট্রেন সফরের দিকে ঝুঁকেছেন।
কিন্তু সময়ানুবর্তিতা? যাত্রীদের অভিজ্ঞতা বলছে, সময়ে ট্রেন না চলার পুরনো রোগ থেকে মুক্তি পায়নি রেল। দেরিতে চলার তালিকায় দূরপাল্লার ট্রেনের পাশাপাশি রয়েছে শহরতলির লোকাল ট্রেনও। বিশেষত, হাওড়া বিভাগে দিনের পর দিন ধরে নির্দিষ্ট কিছু লোকাল ট্রেন দেরিতে চলছে। সময়ে ট্রেন না চলায় গোটা দিনের রুটিন এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে যাত্রীদের। একই কথা প্রযোজ্য দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রীদের ক্ষেত্রেও।
সময়ানুবর্তিতা নিয়ে পূর্ব রেলের এক কর্তা বলেন, বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ আরও গুরুত্ব দিয়ে করা হচ্ছে। তার সঙ্গে চলছে নতুন পরিকাঠামো তৈরি, চালুর কাজও। এই কাজ পূর্ব রেলের এলাকায় যেমন চলছে, তেমনই চলছে অন্যান্য জোনেও। এসব কাজের জন্য ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে। কোথাও আবার নিয়ন্ত্রিত গতিতে ট্রেন চালাতে হচ্ছে। তার জের পড়ছে সময়ানুবর্তিতায়। যাত্রীদের বক্তব্য, সুরক্ষার সঙ্গে ট্রেন চালাতে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ যেমন জরুরি, তেমনই আবার সময়ে ট্রেন চালানোও দরকার। এই দুই দিকের ভারসাম্য রক্ষা করে পরিষেবা দেওয়া প্রয়োজন।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী বলেন, যাত্রীদের আরও ভালো পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা সব সময়েই চলে। সেই কারণেই নন-সাবার্বান ক্ষেত্রে যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে। সময়ানুবর্তিতাও উন্নত হয়েছে। তা আরও উন্নত করার চেষ্টাও চলছে।