ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা খারিজের পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে ময়দানে নেমেছে পাকিস্তান। রাষ্ট্রসঙ্ঘে বিষয়টি নিয়ে বৈঠকের আবেদন করে তারা। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। পরে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদকে চিঠিও দিয়েছিলেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। অন্যদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। যার মধ্যে লাদাখ সীমান্তবর্তী অঞ্চল হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চীন। গত মাসে পাকিস্তানের অনুরোধের পর চীন নিরাপত্তা পরিষদে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকের দাবি জানায়। বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও কাশ্মীর ইস্যুতে কোনও অবস্থান নিতে অস্বীকার করে বাকি সদস্য দেশগুলি। সম্প্রতি চীনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই ইসলামাবাদ সফরে গিয়েছিলেন। এরপরেই এই যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছে তারা।
এদিন এই প্রসঙ্গে রবীশ কুমার বলেন, ‘চীনা বিদেশমন্ত্রীর সাম্প্রতিক সফরের পর জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছে চীনও পাকিস্তান। আমরা ওই বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করছি। জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। শুরু থেকেই চীন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের বিরোধিতা করে আসছে ভারত। বিষয়টি নিয়ে ধারাবাহিকভাবে চীন ও পাকিস্তানের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। করিডরটি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। ১৯৪৭ সাল থেকে ভারতের ওই অংশটি বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছে পাকিস্তান।’ কয়েক দিন আগে চীন সফরে গিয়ে ইস্যুগুলি নিয়ে বেজিংকে সতর্ক করেছিলেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করও। রাষ্ট্রসঙ্ঘে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও সাফ জানিয়ে ছিলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে যদি কোনও আলোচনা করতে হয়, তাহলে তা হবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে।
এদিন রবীশ কুমারের গলাতেও তার প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছে। তিনি জানান, ‘অন্য কোনও দেশ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বদল আনতে চাইলে, তা রুখতে বদ্ধপরিকর ভারত। আমরা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে এমন কাজ বন্ধ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’