ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
জ্যোতিরাদিত্য এবার লোকসভা ভোটে গুনা থেকে হেরে গিয়েছেন। অথচ রাজ্য রাজনীতিতে গুরুত্ব পেতে চান। তাই মধ্যপ্রদেশ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হতে চাইছেন তিনি। সেই মতো ১০ জনপথে বার্তাও পাঠিয়েছেন। এদিকে, কয়েকদিনের মধ্যেই ঘোষণা হবে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন। অক্টোবরের শেষে ভোট। তাই এখনই তাঁকে মধ্যপ্রদেশের রাজ্য সভাপতি করলে মহারাষ্ট্রের দিকে জ্যোতিরাদিত্য ঠিক মতো মন দিতে পারবেন না বলেই মনে করছে এআইসিসি। মহারাষ্ট্রে প্রার্থী বাছাই কমিটির চেয়ারম্যান হলেন জ্যোতিরাদিত্য। এছাড়া এআইসিসির পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা। যদিও সেই কাজে তাঁর খুব একটা মন নেই বলেই দলীয় সূত্রে খবর। তাঁর নজর মধ্যপ্রদেশ। তাই কমলনাথের কাছ থেকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ কেড়ে নিতে চাইছেন তিনি।
ওদিকে, কমলনাথ মুখ্যমন্ত্রী হয়ে গেলেও প্রদেশ কংগ্রেসের পদ ছাড়তে নারাজ। ছাড়লেও তাঁর কাছের লোক কাউকে বসাতে চান। কারণ, জ্যোতিরাদিত্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হয়ে যদি কমলনাথ সরকারের বিরুদ্ধেই কোনও কর্মসূচি নেন, তাহলে সরকার এবং দল, উভয়কেই অস্বস্তিতে পড়তে হবে। সরাসরি না হলেও সম্প্রতি সমর্থকদের দিয়ে জ্যোতিরাদিত্য কমলনাথ বিরোধী কিছু কর্মসূচি নিয়েছেন বলে অভিযোগ। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে নাজেহাল সোনিয়া।
পরিস্থিতি বুঝতে কয়েকদিন আগেই কমলনাথ সহ মধ্যপ্রদেশের পর্যবেক্ষক দীপক বাবারিয়াকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী। এবার ডেকেছেন জ্যোতিরাদিত্যকে। আজ তাঁকে সময় দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। তবে শেষ মুহূর্তে শারদ পাওয়ার এসে যাওয়ায় তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও জ্যোতিরাদিত্য আজ সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় দেওয়া বা পরে বাতিল করে দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। বলেছেন, আজ কংগ্রেস সভানেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের কোনও কথাই ছিল না। সোনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ না হলেও আজ দলের ‘ওয়াররুম’ নামে পরিচিত ১৫ গুরদোয়ারা রকাবগঞ্জের বাংলোয় মহারাষ্ট্রের প্রার্থী বাছাই বৈঠকে হাজির ছিলেন জ্যোতিরাদিত্য।