ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
দিব্যেন্দু বিশ্বাস, নয়াদিল্লি, ১০ সেপ্টেম্বর: কর্মচারী রাজ্য বিমার (ইএসআই) পেনশনভোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা সংক্রান্ত বহু নির্দেশ ঠিকমতো পালনই করছেন না সংশ্লিষ্ট নোডাল অফিসারেরা। যার জেরে পেনশনভোগীরা তো বটেই, তাঁদের উপর নির্ভরশীল পরিবারের সদস্যদেরও উপযুক্ত চিকিৎসা পেতে যথেষ্ট সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। ঠিক এই মর্মেই কর্মচারী রাজ্য বিমা নিগমের (ইএসআইসি) আঞ্চলিক অধিকর্তাদের চিঠি পাঠাল ক্ষুব্ধ কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের আওতাধীন ইএসআইসির সহায়ক নির্দেশকের পাঠানো ওই চিঠিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, অবিলম্বে যেন এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এই মুহূর্তে সারা দেশে কর্মচারী রাজ্য বিমার পেনশনভোগী রয়েছেন প্রায় ৫৭ লক্ষ। চিকিৎসা পরিষেবা সংক্রান্ত নিয়মকানুনের সঠিক প্রয়োগ না হওয়ার কারণে সমস্যায় পড়েছেন তাঁদেরই একটি বড় অংশ। আঞ্চলিক অধিকর্তাদের পাঠানো চিঠিতে ইএসআইসির সহায়ক নির্দেশক সাফ জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে কর্মচারী রাজ্য বিমা নিগমের প্রধান কার্যালয়ে প্রচুর অভিযোগ জমা পড়েছে।
কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পরেও যাতে একজন ইএসআই গ্রাহক নিগমের আওতায় থাকা চিকিৎসা পরিষেবা পান, সেই লক্ষ্যে ২০০৬ সালের ১ এপ্রিল ‘পেনশনার্স মেডিক্যাল স্কিম’ (পিএমএস) নামে একটি কর্মসূচি (ইএসআইসি-পিএমএস ২০০৬) চালু করে কর্মচারী রাজ্য বিমা নিগম। একজন অসরপ্রাপ্ত ইএসআই গ্রাহক এর আওতায় আসতে চাইলে তাঁকে অন্তত ছ’মাসের অগ্রিম প্রদেয় অর্থ (কন্ট্রিবিউশন) জমা দিতে হয়। যদিও পুরো বিষয়টিকে ঐচ্ছিক রাখা হয়েছে। অর্থাৎ চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর এই সরকারি স্বাস্থ্যবিমা কর্মসূচির একজন গ্রাহক ‘পেনশনার্স মেডিক্যাল স্কিমে’র অধীনে নাও থাকতে পারেন। যাঁরা এর অধীনে থাকবেন না, তাঁদের মাসে একটি চিকিৎসা ভাতা দেওয়ার বন্দোবস্ত চালু রয়েছে ইএসআইসিতে। পাশাপাশি ইএসআইসি-পিএমএস ২০০৬ কর্মসূচির আওতায় থাকা পেনশনভোগী এবং তাঁর উপর নির্ভরশীল পরিবারের সদস্যদের ইএসআই চিকিৎসায় খরচ হওয়া অর্থ পুনরায় তাঁকে ফেরত দেওয়ার (রি-ইমবার্স) ব্যাপারটি দেখভালের সম্পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট নোডাল অফিসারদের। এক্ষেত্রেই তাঁদের উপর বেজায় চটেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
কর্মচারী রাজ্য বিমা নিগমের এই পেনশনার্স মেডিক্যাল স্কিমের কন্ট্রিবিউশনের হার কত? এই ব্যাপারে ২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি যে সার্কুলার জারি করেছিল ইএসআইসি, সেখানে এই প্রদেয় অর্থের হারকে মোট পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন প্রতি মাসে যাঁরা ১৬৫০ টাকা পর্যন্ত পেনশন পান, তাঁদের জন্য এই কন্ট্রিবিউশনের হার মাসিক মাথাপিছু ৫০ টাকা করে। মাসে ১৮০০ টাকা, ১৯০০ টাকা, ২০০০ টাকা, ২৪০০ টাকা এবং ২৮০০ টাকা পেনশন পান যাঁরা, তাঁদের জন্য এই হার মাসে ১২৫ টাকা করে। মাসে ৪২০০ টাকা পর্যন্ত পেনশন পান যাঁরা, তাঁদের দিতে হয় ২২৫ টাকা করে। ৪৬০০ টাকা, ৪৮০০ টাকা, ৫৪০০ টাকা এবং ৬৬০০ টাকা পেনশনভোগীদের মাসিক হার ৩২৫ টাকা করে। এবং মাসে ৭৬০০ টাকা ও তার সর্বোচ্চ টাকা পাচ্ছেন যাঁরা, এক্ষেত্রে তাঁদের দিতে হয় মাসে ৫০০ টাকা করে। এই পরিস্থিতিতে পেনশনভোগীদের চিকিৎসা করাতে গিয়ে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, নোডাল অফিসারদের তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পরেও যাতে একজন ইএসআই গ্রাহক নিগমের আওতায় থাকা চিকিৎসা পরিষেবা পান, সেই লক্ষ্যে ২০০৬ সালের ১ এপ্রিল ‘পেনশনার্স মেডিক্যাল স্কিম’ (পিএমএস) নামে একটি কর্মসূচি (ইএসআইসি-পিএমএস ২০০৬) চালু করে কর্মচারী রাজ্য বিমা নিগম। একজন অসরপ্রাপ্ত ইএসআই গ্রাহক এর আওতায় আসতে চাইলে তাঁকে অন্তত ছ’মাসের অগ্রিম প্রদেয় অর্থ (কন্ট্রিবিউশন) জমা দিতে হয়। যদিও পুরো বিষয়টিকে ঐচ্ছিক রাখা হয়েছে। অর্থাৎ চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর এই সরকারি স্বাস্থ্যবিমা কর্মসূচির একজন গ্রাহক ‘পেনশনার্স মেডিক্যাল স্কিমে’র অধীনে নাও থাকতে পারেন। যাঁরা এর অধীনে থাকবেন না, তাঁদের মাসে একটি চিকিৎসা ভাতা দেওয়ার বন্দোবস্ত চালু রয়েছে ইএসআইসিতে। পাশাপাশি ইএসআইসি-পিএমএস ২০০৬ কর্মসূচির আওতায় থাকা পেনশনভোগী এবং তাঁর উপর নির্ভরশীল পরিবারের সদস্যদের ইএসআই চিকিৎসায় খরচ হওয়া অর্থ পুনরায় তাঁকে ফেরত দেওয়ার (রি-ইমবার্স) ব্যাপারটি দেখভালের সম্পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট নোডাল অফিসারদের। এক্ষেত্রেই তাঁদের উপর বেজায় চটেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
কর্মচারী রাজ্য বিমা নিগমের এই পেনশনার্স মেডিক্যাল স্কিমের কন্ট্রিবিউশনের হার কত? এই ব্যাপারে ২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি যে সার্কুলার জারি করেছিল ইএসআইসি, সেখানে এই প্রদেয় অর্থের হারকে মোট পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন প্রতি মাসে যাঁরা ১৬৫০ টাকা পর্যন্ত পেনশন পান, তাঁদের জন্য এই কন্ট্রিবিউশনের হার মাসিক মাথাপিছু ৫০ টাকা করে। মাসে ১৮০০ টাকা, ১৯০০ টাকা, ২০০০ টাকা, ২৪০০ টাকা এবং ২৮০০ টাকা পেনশন পান যাঁরা, তাঁদের জন্য এই হার মাসে ১২৫ টাকা করে। মাসে ৪২০০ টাকা পর্যন্ত পেনশন পান যাঁরা, তাঁদের দিতে হয় ২২৫ টাকা করে। ৪৬০০ টাকা, ৪৮০০ টাকা, ৫৪০০ টাকা এবং ৬৬০০ টাকা পেনশনভোগীদের মাসিক হার ৩২৫ টাকা করে। এবং মাসে ৭৬০০ টাকা ও তার সর্বোচ্চ টাকা পাচ্ছেন যাঁরা, এক্ষেত্রে তাঁদের দিতে হয় মাসে ৫০০ টাকা করে। এই পরিস্থিতিতে পেনশনভোগীদের চিকিৎসা করাতে গিয়ে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, নোডাল অফিসারদের তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
