ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
এদিন এক বিবৃতিতে মুম্বই কংগ্রেসের পদাধিকারীদের তীব্র সমালোচনা করেছেন অভিনেত্রী। জানিয়েছেন, ‘আমি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিচ্ছি। আমাকে তুচ্ছ অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ব্যবহার করার চেষ্টা হচ্ছে। আমার রাজনৈতিক এবং সামাজিক চেতনা এটা মেনে নিতে পারছে না।’ তিনি যে এই প্রথম দলত্যাগের কথা ভেবেছেন, তা নয়। গত ১৬ মে মুম্বই কংগ্রেসের তৎকালীন সভাপতি মিলিন্দ দেওরাকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন ঊর্মিলা। কিন্তু, তার ভিত্তিতে দল কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রথমবার পদত্যাগের চিন্তা মাথায় এসেছিল তাঁর। চিঠিতে মুম্বইয়ের প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি সঞ্জয় নিরুপম ঘনিষ্ঠ সন্দেশ কোন্দভিলকর এবং ভূষণ পাটিলের ব্যবহারের সমালোচনা করেছিলেন তিনি। চিঠিটি সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়ে যায়। ঊর্মিলার কথায়, এটা বিশ্বাসঘাতকতা। বারবার প্রতিবাদ করা সত্ত্বেও পার্টির পক্ষ থেকে কেউ ক্ষমাপ্রার্থনা বা বিষয়টি জানতে চাওয়ার মতো ন্যূনতম সৌজন্যটুকুও দেখাননি। এমনকী, ভোটে খারাপ ফলের জন্য চিঠিতে কয়েকজনকে দায়ী করেছিলেন তিনি। উল্টে তাঁদের নতুন পদ দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে। অভিনেত্রীর মতে, এ থেকে স্পষ্ট যে মুম্বই কংগ্রেসের পদাধিকারীরা দলের উন্নতির স্বার্থে কাজ করতে হয় অনিচ্ছুক অথবা অপারগ।
আগামী মাসেই মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগে একাধিক কংগ্রেস নেতা বিজেপি বা শিবসেনায় যোগ দেওয়ায় অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগছে সোনিয়া গান্ধীর দল। এর মধ্যে তাদের আরও বড় ধাক্কা দিলেন ঊর্মিলা। ভোটের আগে তিনিও বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। বিবৃতিতে অবশ্য তা নিয়ে মুখ খোলেননি অভিনেত্রী। শুধু জানিয়েছেন, আদর্শে অবিচল থেকে আগামীদিনেও মানুষের সেবা করে যাবেন তিনি।