ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
পরিচালক এবারে থ্রিলার নিয়ে কাজ করতে চলেছেন। তাই ছবির বিষয় সম্বন্ধে খুব বেশি খোলসা করতে চাইলেন না। তাঁর কথায়, ‘নাম ভয় বলে এটাকে ভূতের ছবি মনে করার কোনও কারণ নেই। আসলে প্রত্যেকটা মানুষই জীবনে কখনও না কখনও ভয় পেয়েছেন। আমার মতে, ভয়ের বিপরীতেই কিন্তু সাহস আছে। সেই সাহস ফিরে পাওয়ার গল্পই বলবে এই ছবি।’ ছবিতে অঙ্কুশকে দেখা যাবে সাঁতার প্রশিক্ষক অয়নের ভূমিকায়। মতি নন্দীর উপন্যাসের ক্ষিদ্দাকে নিজের আদর্শ মনে করে অয়ন। সাঁতারই তাঁর বেঁচে থাকার লড়াই। ছবিতে অঙ্কুশের বোনের স্পিচ থেরাপিস্ট বৃন্দার ভূমিকায় দেখা যাবে নুসরতকে।
আপাতত সাঁতারের জন্য প্রয়োজনীয় লোকেশনের সন্ধানে ব্যস্ত পরিচালক। বেশকিছু অভিনেতার নামও চূড়ান্ত হওয়া বাকি। তবে রাজার দাবি, ‘দু’জনকেই আমি একদম নতুন অবতারে দেখাব যেটা দর্শকদের কাছেও একটা আকর্ষণের জায়গা হয়ে উঠবে।’ রোম্যান্টিক কমেডি বা অ্যাকশন বাদ দিয়ে হঠাৎ অঙ্কুশ এরকম ছবি বেছে নিলেন কেন? ‘আমি নতুন ধরনের চরিত্র নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে চাইছিলাম। আর এই চরিত্রটা আমাকে সেই সুযোগটাই এনে দিয়েছে’ বললেন অঙ্কুশ। অন্যদিকে দীর্ঘদিন পর এসভিএফ থেকে বেরিয়ে এসে কোনও ছবি করছেন অঙ্কুশ। তাঁর কথায়, ‘এসভিএফ আমার পরিবারের মতো। ভালো চিত্রনাট্য পেলে অন্য কারও ছবিতে কাজ করতে তো কোনও সমস্যা নেই। তাছাড়া এই ছবিটার জন্য আমি মণিদার (মহেন্দ্র সোনি) অনুমতি নিয়েছিলাম। তখন আমার জন্য ওদের তরফে নতুন কোনও ছবি না থাকায় উনি আমাকে এক কথায় রাজাদার ছবিটা করতে বলেন।’ ফারিয়াকে সাধারণত গ্ল্যামারাস চরিত্রে দেখেই দর্শক অভ্যস্ত। সেদিক থেকে এই ছবিতে তাঁর লুককে ‘চমক’ হিসেবেই উল্লেখ করছেন ফারিয়া। তাঁর কথায়,‘আজকাল মানুষ মোবাইল ছাড়া একমুহূর্ত থাকতে পারেন না। সেখানে এই ছবির চিত্রনাট্য পড়ার সময়ে আমি দু’ঘণ্টা মোবাইল ছুঁইনি, এতটাই ভালো গল্প।’ আর ‘বিবাহ অভিযান’-এর পর আবার অঙ্কুশের সঙ্গে ছবি করা প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘আশিকি ছবির হাত ধরে অঙ্কুশের সঙ্গে যে বন্ধুত্বটা তৈরি হয়েছিল সেটা আজও অটুট। আশা করি এই ছবিতে আমাদের নতুন ধরনের চরিত্রে দর্শক পছন্দ করবেন।’