ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
বিশেষজ্ঞ কমিটি কলকাতা ও হাওড়া মিলিয়ে আটটি ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয়। তার মধ্যে বিজন সেতু বাদে বাকি সাতটি উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। বিজন সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা পুজোর পর হবে। কলকাতা ও দিল্লি মিলিয়ে তিনটি সমীক্ষক সংস্থা ওই পরীক্ষার কাজ করে। তারা সেই রিপোর্ট কেএমডিএ’র ব্রিজ অ্যাডভাইসরি কমিটির কাছে পেশ করেছে। তাদের পরামর্শে কালীঘাট ব্রিজে ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বাঘাযতীন উড়ালপুলে মেরামতির কাজ হয়েছে। উল্টোডাঙার ১৯ এবং ২০ নম্বর পিলারে লোহার বিম দিয়ে প্রোটেকশন দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় লোড টেস্ট হচ্ছে। বাকিগুলির রিপোর্ট এখনও জমা পড়েনি। শোনা যাচ্ছে, চিংড়িঘাটায় পুজোর পরে আরেকবার লোড টেস্ট হতে পারে।
শিয়ালদহ উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরেন সমীক্ষক সংস্থার ইঞ্জিনিয়াররা। তাঁদের মতে, চার দশকের পুরনো ট্রাম লাইন থাকার জন্য ব্রিজে চাপ পড়ছে। সেই ট্রাম লাইন তুলে ফেলা উচিত। সেই সঙ্গে বহুবার এই ব্যস্ত ব্রিজকে মসৃণ রাখার জন্য বিটুমিনের প্রলেপ দেওয়া হয়েছে। সেই প্রলেপও তুলে দিতে বলা হয়েছে। বিটুমিনের স্তরের জন্য ব্রিজের ওজন বাড়ছে। ব্রিজের ধারে হাঁটার জন্য ফুটপাত থাকলে, তা তুলে দিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, ওই সেতুতে ভারী যানবাহন চলাচল না করাই ভালো। তবে পিলারের অবস্থা খুব খারাপ নয়। কিছু মেরামত দরকার।
এ ব্যাপারে ব্রিজ অ্যাডভাইসরি কমিটির চেয়ারম্যান অমিতাভ ঘোষাল বলেন, কালীঘাট ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট আগেই চলে এসেছে। সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাঘাযতীন উড়ালপুলেও মেরামতির কাজ হয়েছে। শিয়ালদহ উড়ালপুলে ট্রাম লাইন তুলে দিতে বলা হয়েছে। ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে খুব বেশি উদ্বেগের কিছু নেই। পুরনো মডেলে এই উড়ালপুল তৈরি হয়েছে। চার দশকেরও বেশি সময় আগে তৈরি এই উড়ালপুলের পিলারে কিছু মেরামতি দরকার, পুজোর পর দোকানদারদের সরিয়ে তা করা হবে। তবে ভারী যানবাহন বন্ধ করা হবে কি না, তা পুলিসের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।