ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
বি টি রোড বাদ দিয়ে পানিহাটি পুরসভা এলাকার যে রাস্তাতেই ঢুকবেন, প্রায় সবই বেহাল। এই পুরসভা এলাকার সাতটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে খারাপ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ১) আগরপাড়া থেকে সাউথ স্টেশন রোড, ২) আগরপাড়া থেকে নর্থ স্টেশন রোড, ৩) মহাজাতি-নীলগঞ্জ রোড, ৪) শ্রীপল্লি রোড, ৫) ঘোলা থেকে বোমভোলা মোড়, ৬) অমরাবতী থেকে কাঠগোলা, ৭) স্বদেশি মোড় থেকে স্টেশন। এই সাতটি রাস্তাই চলাচলের অযোগ্য। এখানে কচ্ছপের গতিতে চলে যানবাহন। টোটো বা অটোতে বসলে দুলতে দুলতে যেতে হয় যাত্রীদের। এই রাস্তাগুলি ছাড়াও পুরসভার ৩৫ নং ওয়ার্ডের প্রায় সবকটি রাস্তাই ভেঙে চুরমার। পিচ উঠে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে পাথর, ইট, মাটি। পিচ ওঠা রাস্তায় অটোতে চেপেও যাওয়া যায় না। কিছু কিছু এলাকায় তাপ্পি দেওয়া হয়েছে বটে, তবে বৃষ্টির জলে তা উঠে গিয়েছে। অল্প বৃষ্টি হলেই গোড়ালি ডুবে যায় কাদায়। সাইকেল বা মোটর বাইক নিয়েও যাতায়াত করা যায় না।
সোদপুর স্টেশন থেকে বারাসত রোডে পর্যন্ত ঢালাইয়ের কাজ থমকে রয়েছে কোনও এক অজানা কারণে। একদিক ঢালাই হয়েছে ঘোলা পর্যন্ত। রাস্তার অন্যপ্রাপ্ত এখনও এবড়ো খেবড়ো। ওই বেহাল রাস্তায় এখন আর যানবাহন যাতায়াত করে না। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, যে ঠিকাদার সংস্থা এই রাস্তা ঢালাইয়ের দায়িত্ব পেয়েছিল, তারা কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই পালিয়ে গিয়েছে। ফলে রাস্তার কাজ বিশ বাঁও জলে।
অমরাবতীতে চায়ের দোকানি সাগর বিশ্বাস বলেন, রাস্তার কথা আর বলবেন না। যে রাস্তায় যাবেন, দেখবেন ছাল-চামড়া উঠে গিয়েছে। হাড়গোড় বেরিয়ে রয়েছে। বাইক, অটো, টোটো তো দূর, হেঁটেও যেতে পারবেন না। কোনও ওয়ার্ডের মানুষই পিচের রাস্তা ধরে যাতায়াত করতে পারেন না। কয়েকদিন আগে জল জমা নিয়ে এইচবি টাউনের বাসিন্দারা পথ অবরোধ করেছিলেন। এবার বেহাল রাস্তা নিয়ে রাস্তায় নামবেন মানুষ।
পানিহানির বাসিন্দা তথা বিজেপির উত্তর কলকাতা শহরতলি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক চণ্ডীচরণ রায় বলেন, পানিহাটিতে বাস করে পুর পরিষেবা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। এটি এমন একটি পুরসভা, যেখানে কিছুই মেলে না। প্রতিটি রাস্তা ভেঙে চৌচির। সাধারণ মানুষ হেঁটে যাতায়াত করতে পারেন না। তিন মিনিটের পর আধঘণ্টা লাগে। এখানে শাসকদলের ‘ঘোষ পরিবার’ নিয়ন্ত্রক। এই পরিবার নিজেদের স্বার্থটুকুই দেখে। পুর এলাকার মানুষের জন্য তাঁদের কোনও ভাবনা নেই।
পানিহাটি পুরসভায় বর্তমানে বোর্ড নেই। প্রাক্তন চেয়ারম্যান স্বপন ঘোষকে বারবার ফোন করা সত্ত্বেও ধরেননি। পুরসভার প্রশাসক তথা বারাকপুরের মহকুমা শাসক আব্দুল আলাম আজাদ ইসলাম বলেন, বেহাল রাস্তাগুলি সংস্কার করা হবে।