ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
মোবাইলে অজিতবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতারণা ও জালিয়াতির কথা স্বীকার করে বলেন, গত ২৯ আগস্ট বিকেল সওয়া ৫টার ঘটনা। ওইদিন চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র আমার নাতির জন্য অনলাইনে একটি খেলনা কেনা হচ্ছিল। খেলনাটির দাম ছিল ৮২০ টাকা। আমার অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের কার্ড থেকে খেলনার টাকা মেটানো হয়। কিন্তু তারপর থেকেই কোনও এক রহস্যজনকভাবে আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে পরপর ১৩ দফায় মোট ১০ হাজার ৮৬২ টাকা ৯৫ পয়সা কেটে নেওয়া হয়েছে। বাধ্য হয়েই আমি ১ সেপ্টেম্বর কালীঘাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।
কলকাতা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর দাদা তথা এরাজ্যের ক্রীড়া সংগঠক অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে কালীঘাট থানার পুলিস অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ৪২০ (প্রতারণা), ৪৬৭ (জালিয়াতি), ৪৬৮ (প্রতারণার উদ্দেশ্যে জালিয়াতি), ৪৭১ (জাল নথিকে আসল বলে চালানো)-এর মতো একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার মতো স্পর্শকাতর বিষয় জড়িয়ে থাকায় এই জালিয়াতি ও প্রতারণা মামলার তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে কলকাতা পুলিসের কোনও কর্তাই মন্তব্য করতে চাননি। তবে লালবাজারের এক সূত্র জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাদা তথা বেঙ্গল ওলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রতারণা ও জালিয়াতি মামলার তদন্ত স্থানীয় কালীঘাট থানার পাশাপাশি লালবাজারের গোয়েন্দারা একযোগে চালাচ্ছেন।