ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
প্রিন্সেপ স্ট্রিটের আরেকটি হোটেলে রয়েছে বউবাজারের বেশ কিছু গৃহহীন পরিবার। সেখানে তিনতলার একটি ঘরে রয়েছেন প্রিয়ম বসাক ও সুমিতা বসাক নামে এক দম্পতি। তাঁদের দু’বছর দু’মাসের এক শিশু সন্তান রয়েছে। প্রিয়মবাবু বলেন, শহরেই একটি ছোট জায়গায় কাজ করি। সাতদিন অনুপস্থিত থাকার কারণে সেখান থেকে ফোন করে এখন আসতে বারণ করেছে। সংসারটা কীভাবে চলবে, তা ভেবেই অস্থির হয়ে যাচ্ছি। তাঁর স্ত্রী বলেন, আমাদের কূলদেবতা অষ্টধাতুর গোপালকে শত চেষ্টা করেও আনতে পারিনি। জানি না গোপালের মূর্তিটি মাটির তলায় চাপা পড়ে গিয়েছে কি না। হোটেলের আরেকটি ঘরে কথা হচ্ছিল চিন্ময় দত্ত ও অনিতা দত্তের সঙ্গে। তাঁরাও রয়েছেন একরাশ আতঙ্ক নিয়ে। ওই দম্পতির কথায়, ঘরে অনেক জিনিসপত্র রয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি যা, তাতে বুঝতে পারছি না শেষ পর্যন্ত আর কিছু উদ্ধার করা যাবে কি না।
হোটেলের আর এক আবাসিক ইন্দ্রজিৎ সেন বলেন, আমরা এক জায়গায়, জিনিসপত্র আরেক জায়গায়, তাই দুশ্চিন্তা তো থাকবেই। এখন বুঝতে পারছি না, আমরা কবে সেখানে ফিরে যেতে পারব, বা আদৌ পারব কি না। হোটেলেই কথা হচ্ছিল অভিনন্দন দত্ত নামে এক যুবকের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমাদের সকলের মন খারাপ। বাবার শরীরটাও ভালো নেই। কিছু জিনিসপত্র সেখান থেকে আনতে পেরেছি। বাকিগুলি তো আর আনতেই পারলাম না। আমি তখন বাইরে ছিলাম। ঝড়ের গতির মতো বাবা মা’কে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার নির্দেশ দেওয়া হল।