ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
বৈঠকে দুই লোকনাথ ধাম কচুয়া ও চাকলাকে ঘিরে উন্নয়নের মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হবে। শুধু দুই ধাম নয়, মুখ্যমন্ত্রী চান, সংলগ্ন ধান্যকুড়িয়া ও চন্দ্রকেতুগড় এলাকারও সার্বিক উন্নয়ন করা হোক। ওই সব এলাকার সঙ্গে অনেক ইতিহাস জড়িয়ে আছে। পুরো অঞ্চলটিকে ঘিরে একটি সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তার রূপরেখা তৈরি করতেই মুখ্যমন্ত্রী দুই লোকনাথ ধামের কর্তাব্যক্তিদের নিয়ে ওই উচ্চপদস্থ কমিটি গড়লেন। উল্লেখ্য, গত জন্মাষ্টমীর দিন পাঁচিল ভেঙে পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। তখন মুখ্যমন্ত্রী দুটি হাসপাতালে গিয়েছিলেন। ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। এরপরে গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার নবান্নে শীর্ষস্থানীয় কর্তাব্যক্তিদের নিয়ে এক বৈঠক করেন। সেখানে কচুয়া ও চাকলা লোকনাথ ধামের পরিচালন সমিতির কর্তাব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা তৈরি সহ নানা দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।
সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী সেখানকার নানা সমস্যার কথা শুনেছিলেন। ঠিক করেছিলেন, রাস্তা নির্মাণ সহ গোটা এলাকার চেহারা বদলে দেওয়া হবে। যেমন ভাবে দক্ষিণেশ্বর মন্দির চত্বর, তারাপীঠ মন্দির চত্বর, তারকেশ্বর মন্দির এলাকাকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে, ঠিক সেভাবেই বিভিন্ন পরিকাঠামো সহ এলাকার সার্বিক উন্নয়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর জন্য রাস্তাঘাট, আলো, বাস স্ট্যান্ড, বাস সার্ভিস, যাত্রী নিবাস, পানীয় জলের সুব্যবস্থা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যেভাবে গত আট বছরে পর্যটন ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, নতুন নতুন সার্কিট ট্যুরিজম তৈরি করা হয়েছে, ঠিক তেমনই কচুয়া ও চাকলা ধামকে ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজম গড়ে তোলা হবে। আগামী বছর লোকনাথ বাবার জন্মদিন ও জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানের আগে কাজ শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।