ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
বিপ্লব মিত্র বলেন, তৃণমূলের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। জেলায় বিজেপিকে ক্ষমতার অলিন্দে পৌঁছতে আমি কাজ শুরু করে দিয়েছি। দুর্গাপুজোর বিসর্জনের ঢাকে কাঠি পড়লেই জেলায় তৃণমূল বলে কিছু থাকবে না। আমি ১১ জন জেলা পরিষদ সদস্যকে যোগদান করিয়েছিলাম, এবারে পুজোর পর ১৪ জন সদস্য বিজেপিতে যোগদান করবেন। এবারে আর পুলিস দিয়ে তৃণমূল আমাদেরকে আটকাতে পারবে না। তৃণমূলের বর্তমান জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষের নাম না করে তিনি বলেন, বহিরাগত আসার পর জেলায় তৃণমূলের আর কোনও সংগঠন নেই। জেলায় যাঁরা তৃণমূল করেন তাঁদের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা না থাকায় বহিরাগতের নেতৃত্ব তাঁরা মানছেন। আমি তা পারিনি। তাই দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বেরিয়ে এসেছি। আমার হাতে তৈরি গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতিগুলি এবার নেওয়ার পালা শুরু হবে। এবারে বিজেপির হয়ে লড়াই করব। পুজোর পর জেলাবাসী সব দেখতে পাবেন। বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার বলেন, পুজোর আগে পর্যন্ত আমরা সাংগঠনিক সভা করছি। বিপ্লবদাকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সেই কাজ শুরুও করে দিয়েছি। বিপ্লবদার পিছনে এখনও যে তাঁর অনুগামীরা রয়েছেন ঠেঙ্গাপাড়ার সভা থেকে তা বুঝতে পেরেছি। বিপ্লবদা গা ঝাড়া দিয়েছেন। এবারে পুজোর পর তৃণমূল, পুলিস আমাদের ঠেকাতে পারবে না। আমরা তার জন্য রণনীতি তৈরি করে ফেলেছি। বিপ্লবদাকে সঙ্গে নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের দখল নেব।
তৃণমূলের জেলা নেতা তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা বলেন, বিপ্লববাবু আমাদের দলে নেই। তিনি কী বললেন তাতে আমাদের দলের কিছু যায় আসে না। জেলার সাধারণ মানুষ তৃণমূলের উপরই ভরসা রেখেছে। বিপ্লববাবু বিজেপির হয়ে দলে কোনও জায়গা করে উঠতে পারেননি। বিভিন্ন সভায় গিয়ে লোক দেখতে না পাওয়ায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে এই সব বলছেন। তবে তিনি তৃণমূলের জেলা সভাপতি থাকার সুবাদে গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জেলা পরিষদ, তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ আছে একথা ঠিক।
বিজেপির জেলা নেতৃত্ব বিপ্লববাবুর উপর ভরসা রেখে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদের ক্ষমতায় বসার স্বপ্ন দেখছে। বিজেপিতে যোগদান করার পর তাঁর জেলা পরিষদের অনুগামী সদস্যদের ধরে রাখতে পারেননি বিপ্লববাবু। এবারে পুজোর পর তিনি কী রণনীতি নেন তা নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে চর্চা চলছে।