ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
যাঁরা ঘটনার দিন ওই অঞ্চলেই ছিলেন, তাঁদের মধ্যে ক্যান্সারের হার ১০ থেকে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে বলে জানিয়েছেন নিউ ইয়র্ক ফায়ার ডিপার্টমেন্টের চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডেভিড প্রিজ্যান্ট। এদিকে, এই কারণে শারীরিক ব্যাধিতে ভুগতে থাকা মানুষদের জন্য ক্ষতিপূরণেরও ব্যবস্থা করেছে আমেরিকা সরকার। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষতিপূরণের আবেদন জানানোর সময়সীমা বৃদ্ধিতে সম্মতি জানিয়েছেন। নয়া নিয়মে, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ২০৯০ সালের মধ্যে কোনও আক্রান্ত ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন।
ওই ঘটনায় পরোক্ষভাবে ক্ষতির শিকার হয়েছেন জ্যাকলিন ফ্যাব্রিলেট, রিচার্ড ফাহরের মতো অসংখ্যা আমেরিকানবাসী। জ্যাকলিন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের দুটি ব্লক পরে অবস্থিত একটি অফিসে কাজ করতেন। ৯/১১-র পরও দীর্ঘদিন তিনি সেখানেই কাজ করেছেন। কিন্তু, সেই অফিসে শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে তাঁর শরীরে যে মেটাস্টেটিক ক্যান্সার বাসা বাঁধবে, তা ঘুণাক্ষরে টের পাননি তিনি। জ্যাকলিনের কথায়, আমি দীর্ঘদিন ওখানে কাজ করেছি। কিন্তু, কেউ আমাদের বলেনি যে, এত বড় ক্ষতি হতে পারে। অন্যদিকে, ৩৭ বছর বয়সি রিচার্ড কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত। তাঁরও মত একই। ফেব্রিলেট নামে ৪৪ বছর বয়সি এক ব্যক্তির কথায়, ঘটনার কয়েকমাস পর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। মানুষও স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরতে শুরু করেন। কিন্তু, কয়েক বছর পর থেকেই বোঝা যায়, হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।
বিমান হামলার পরই পুলিসকর্মী, দমকলকর্মী, উদ্ধারকারী দলের সদস্য সহ হাজার হাজার মানুষ সেখানে ছুটে গিয়েছিলেন। গ্রাউন্ড জিরো থেকে ধ্বংসস্তুপ সরানোর কাজেও বহু কর্মী অংশ নিয়েছিলেন। তাদের মধ্যেও বাসা বেঁধেছে বিভিন্ন মারণ রোগ। বিষয়টি সরকারের কাছেও অজানা নয়। তাই তাদের চিকিৎসার জন্য ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার হেল্থ প্রোগ্রাম চালু হয়। ফি বছর এতে নথিভুক্তকরণের সংখ্যা বেড়ে চলছে। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ২১ হাজার মানুষ পরবর্তী সময় আক্রান্ত হয়েছেন বলে নাম নথিভুক্ত করেছেন। ২০১৬ সালে জুন মাসের তুলনায় যা প্রায় দ্বিগুণ।