ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় দাস বলেন, ডাকাতির বিষয়টি স্পষ্ট নয়। কয়েকজন মিলে একটি বাড়িতে ঢুকে ছিল। আমরা প্রাথমিকভাবে খবর পেয়ে তদন্ত শুরু করেছি। কিছু টাকা পয়সা, কানের সোনা নিয়ে গিয়েছে। আমরা তদন্ত করছি।
পরিবারটি জানিয়েছে, সশস্ত্র ডাকাত দল দুটি ভাগে ভাগ হয়ে হামলা করে। তারা বাড়ির লোকজনকে মারধর করে সোনাদানা, টাকা-পয়সা নিয়ে পালিয়ে যায়। পেশায় কৃষক আব্দুর রহমান ঘটনার রাতে বাড়িতেই ছিলেন। বড় ছেলে সেজাবুল রহমানের বাড়িতে ডাকাত দল প্রথমে প্রবেশ করে। ছেলে-বৌমাকে আটকে টাকা-পয়সা সোনা-গয়না দাবি করে। আরেকটি দল আব্দুর সাহেবের শোয়ার ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। দুষ্কৃতীরা দরজা খুলতে বলে ধাক্কা মারতে থাকে। দরজা ভেঙেই ঢোকে। ঘটনায় গোটা পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। দুষ্কৃতীরা ওই ব্যক্তির দুই মেয়েকে মারধর করে। রাত দেড়টা থেকে ২টো ২৫ মিনিট পর্যন্ত আগ্নেয়াস্ত্র, ধারলো অস্ত্র দেখিয়ে লুটপাট চালায়। দীর্ঘক্ষণ মারধরের পর পরিবারের লোকেরা বাড়িতে রাখা ৮২০০ টাকা এবং গৃহকর্ত্রীর সোনার কানের দুল দিয়ে দিলে চম্পট দেয়।
গৃহস্থ আব্দুর রহমান বলেন, রাত ১১টার সময় আমরা ঘুমাতে যাই। গভীর রাতে মুখে কাপড় বেঁধে হাতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আট-দশ জন ঘরে ঢুকে পড়ে। তারা প্রথমে বড় ছেলে এবং বৌমাকে মারধর করে। আমার শোয়ার ঘরের সামনে তিন জন দাঁড়িয়েছিল। তারা টাকাপয়সা সোনাদানা কোথায় কী আছে তাড়াতাড়ি বের করে দিতে বলে। প্রাণ ভয়ে আমরা যা পেরেছি তাদের দিয়ে দিয়েছি। জমি জায়গায় কাজ করে সংসার চলে। আমাদের বাড়িতে কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটল নিজেও বুঝতে পারছি না। তারা হিন্দি ও বাংলা ভাষায় কথা বলছিল। পুলিসকে সব জানিয়েছি। থানায় অভিযোগ করেছি।
গৃহকর্তার স্ত্রী নার্গিস বিবি বলেন, ডাকাতদের কাছে হাতজোড় করে প্রাণ ভিক্ষা চেয়েছি। তারা বাড়িতে কী আছে বের কর দিতে বলে। নাতিকে মারধর করে। তার চোখ জখম হয়েছে। কিছু টাকা আর কানের দুল দিয়ে দিই। বাকি জিনিস ব্যাংকে আছে বলে জানাই। এতে ওরা আরও রেগে গিয়ে মারধর করে। পরে চলে যায়।
স্থানীয় বিধায়ক কংগ্রেসের মোস্তাক আলম বলেন, ঘটনার কথা লোকমুখে শুনে অবাক হয়ে যাচ্ছি। দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য বেড়ে যাওয়ায় এধরনের ঘটনা ঘটছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিসকে জানাব। এলাকাবাসীদের অনুমান স্থানীয় দুষ্কৃতীদের সঙ্গে বিহারের দুষ্কৃতীরা একাজ করেছে। গাঙনদীয়া একেবারে বাংলা-বিহার সীমান্তের গ্রাম।
প্রসঙ্গত, চাঁচল ও হরিশ্চন্দ্রপুর গত কয়েক মাসে এরকম কয়েকটি ঘটনা পরপর ঘটল। কয়েক মাস আগে চাঁচলের পাহাড়পুরে একটি স্বর্ণকারের বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতি হয়। হরিশ্চন্দ্রপুরে কুশিদায় দিনেদুপুরে ডাকাত দলের হাতে একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মী খুন হন। হরিশ্চন্দ্রপুরের বরই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এক ব্যক্তির কাছ থেকে দু লক্ষ টাকা লুট করে দুষ্কৃতীরা। পরপর ঘটনা ঘটতে থাকায় এলাকার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বাসিন্দারা।