ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই কোম্পানির রোলিং মিল ও রডের ব্যবসা রয়েছে। ব্যবসা বাড়ানোর জন্য সংস্থা আটটি ব্যাঙ্ক থেকে মোট ৫৫০ কোটি টাকা ঋণ নেয়। বিভিন্ন প্রজেক্ট দেখানো হয়। কিন্তু টাকা জমা না পড়ায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করে। দেখা যায়, তারা টাকা সরিয়ে ফেলেছে। কোম্পানি লোকসানে চলছে দেখিয়ে টাকা শোধ করা হয়নি। এরপরই সিবিআইতে অভিযোগ দায়ের করে তারা। তার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ব্যাঙ্ক জালিয়াতির মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে।
তদন্তকারী অফিসারদের নজরে আসে, যে প্রজেক্ট দেখিয়ে ঋণ নেওয়া হয়েছে, সেখানে এক পয়সাও খরচ করা হয়নি। তাহলে এই টাকা গেল কোথায়? তা খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, এই কোম্পানির তিনটি পাঁচতারা হোটেল, তিনটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট ও একাধিক জায়গায় জমি রয়েছে। তদন্তে উঠে আসে, ব্যাঙ্ক ঋণের টাকাই সেখানে বিনিয়োগ করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনি। ঘুরপথে এই টাকা বিনিয়োগের প্রসঙ্গ আসায় ইডিও তদন্ত শুরু করে। এই কেন্দ্রীয় সংস্থার নজরে এসেছে, একাধিক ভুয়ো লেনদেন দেখিয়েছে কোম্পানি। সেইসব লেনদেন হয়েছে অস্তিত্বহীন সংস্থার সঙ্গে। এভাবেই ঋণের টাকা বাইরে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যা বিনিয়োগ করা হয়েছে হোটেল, বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে। পাশাপাশি কেনা হয়েছে একাধিক জমিও। হোটেল বা অ্যাপার্টমেন্ট তৈরির জন্য একাধিক অ্যাকাউন্ট ঘুরিয়ে টাকা আনা হয়েছে। যাতে সহজে ধরা না পড়ে। এভাবেই নিজেদের সম্পত্তি বাড়িয়েছে ওই সংস্থা। এমনকী কর্ণধাররা ব্যাঙ্ক ঋণের টাকা ঘুরপথে বাইরে নিয়ে এসে তা দিয়ে ব্যক্তিগত সম্পত্তি বানিয়েছেন।
এরপরই এই সম্পত্তি কোথায় কোথায় রয়েছে, তার একটি তালিকা তৈরি করে সেগুলি চিহ্নিত করা হয়। সেই লেনদেনের কাগজপত্রও জোগাড় করা হয়। জোগাড় হয় ফাঁকা জমির মিউটেশন সংক্রান্ত কাগজও। সমস্ত নথি হাতে আসার পরই এগুলি বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় ইডি। হোটেল, জমি, অ্যাপার্টমেন্ট মিলিয়ে বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৯২ কোটি টাকা বলে দাবি করেছে ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।