Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মানুষই কি মানুষের পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে দাঁড়াচ্ছে!
মেরুনীল দাশগুপ্ত

শেষের সেদিন কি আর খুব দূরে নয়?!
সাম্প্রতিককালে বিশ্বজুড়ে প্রকৃতির নজিরবিহীন খামখেয়াল, মানুষের লোভের আগুনে সবুজের নির্বিচার মৃত্যু এবং বহু বহু বছর ধরে সীমাহীন অপচয়ের ফলে ফুরিয়ে আসা পানীয় জলের ভাঁড়ার আমাদের মনে আজ এই ভয়ঙ্কর প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। কিন্তু, আশ্চর্যের ব্যাপার হল এটাই যে, এখনও ওই প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়েও আমাদের অধিকাংশই নির্বিকার, হেলদোলহীন। ভয় ভাবনা যা কিছু ঘুরে বেড়াচ্ছে মুষ্টিমেয় সচেতনজন এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য সমর্থকদের মধ্যে। বাদবাকিরা যেমন চলছিলেন তেমনই চলছেন! বছরের পর বছর যা করে আসছিলেন তাই করছেন! কোথাও তাঁদের উদ্যোগে, কোথাও পরোক্ষ সমর্থনে আবার কোথাও তাঁদের নির্মম উদাসীনতার সুযোগ নিয়ে নানান অছিলায় (কোথাও রাস্তা চওড়া করার নামে, কোথাও জনবসতি গড়ার জন্য, কোথাও সেগুন মেহগনির মতো মহামূল্য গাছ বেচে টাকা কামানোর উদ্দেশ্যে বা অন্য কোনও কারণে) চলছে বৃক্ষ নিধন গাছ চুরি, চলছে পানীয় জলের ব্যাপক অপচয়, কল-কারখানার যাবতীয় দূষিত বিষাক্ত বর্জ্য সরাসরি গঙ্গার মতো নদীতে ফেলে জল-দূষণের মারাত্মক খেলা—চলছে আরও অনেক কিছুই, যা আখেরে নষ্ট করছে পরিবেশের ভারসাম্য, জীব-বৈচিত্র্য এবং আমাদের বাঁচার রসদগুলোকে ক্রমশ নিয়ে চলেছে তলানির দিকে! প্রতিকারহীন শক্তের এই অপরাধে ক্রমশ ক্রমশ আমাদের অস্তিত্ব সংকট ঘনীভূত হচ্ছে, আমরা জেনে, না-জেনে সেই ভয়াবহ পরিণতির দিকে এগিয়ে চলেছি, যেখানে এক ঢোক জল কি এক টান অক্সিজেনের জন্য আমাদের এমন মূল্য চোকাতে হবে যা জোগানোর সামর্থ্য খুব কম জনেরই থাকবে! বিশেষজ্ঞদের অনেকের মত তেমনই।
আজকের এই ইলেকট্রনিক ও সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচারযুগে কেউ এসব জানেন না এমন নয়। এসবের জন্য আমাদের বিপদ কোথায় গিয়ে দাঁড়াতে পারে সেটা বোঝেন না এমনও নয়। চিত্তাকর্ষক বিজ্ঞাপন শর্ট-ফিল্ম, পোস্টার-ব্যানার সভাসমিতি আলোচনাচক্র মিছিল ভোরের কাগজ টিভি চ্যানেল অহোরাত্র ২৪ ঘণ্টা সম্ভাব্য প্রাকৃতিক সংকটের অশনিবার্তা আমাদের চোখকানের ভিতর দিয়ে মরমে বিঁধে দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু, তাতে কার, ক’জনার পরান আকুল হচ্ছে, ভয় পাচ্ছেন কজন! এভাবে চলতে থাকলে যে কিছু বছরের মধ্যে ‘দ্য ডে আফটার টুমরো’ ছবির সেই অচিন্ত্য প্রাকৃতিক ধ্বংস-প্রলয় আমাদের এই বাস্তব সভ্যতার বুকে নেমে আসতে পারে এবং সেদিন ধনী-দরিদ্র শাসক-শোষিত বুদ্ধিজীবী-বুদ্ধিহীন নেতামন্ত্রী পাবলিক-মাস্তান সিপিএম-কংগ্রেস-তৃণমূল-বিজেপি ছোটলোক-ভদ্দরলোক কেউ রেহাই পাবে না—সে কথাই বা ভাবছেন ক’জন! বরং, একশ্রেণীর মানুষ (তাদের সংখ্যা খুব কম নয়) কোথাও চটজলদি মুনাফার লোভে আবার কোথাও নিছক উদাসীন থেকে প্রশ্রয় দিয়ে চলেছে প্রকৃতির এই সর্বনাশ! যশোর রোড, বিটি রোড কি ভিআইপি রোডের মতো রাস্তাগুলো মাত্র কয়েক বছর আগেও কী সুন্দর সবুজে ঢাকা ছিল! শতাব্দীপ্রাচীন গাছগুলো যশোর রোড বিটি রোডের দু’পাশ থেকে উপুড় হয়ে এসে প্রখর গরম দিনেও ছায়ার মায়ায় ঢেকে রাখত পথ। ভিআইপি রোডের দু’পাশের নয়ানজুলিগুলো আশপাশের এলাকার উপচানো বর্ষার জল যেমন বয়ে নিয়ে যেত, তেমনি চোখ জুড়নো সৌন্দর্যের একটা আলাদা মাত্রাও যোগ করত সেই পথে।
আজ কোথায় সেসব! উল্টে কাগজে মাঝেমধ্যেই তো দেখছি কাতারে কাতারে গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে যশোর রোড, বিটি রোড বা অন্যত্র! এমনকী রাজ্যে সবুজের অন্যতম পীঠস্থান জঙ্গলমহলেও! শুনলাম সেখানে নাকি পুলিস লাইন তৈরির অজুহাতে বন কেটে সাফ করা হচ্ছে! এমনকী নতুন গাছের চারাবাগানও রেহাই পাচ্ছে না! দার্জিলিং পাহাড় তরাই-ডুয়ার্সের অবস্থাও তথৈবচ। সেসব জায়গাতেও আগাছা পরগাছা কিন্তু গুন্ডামস্তান চোরাকারবারি আর মোটামাথা ধান্দাবাজ ব্যবসায়ী গাছ কেটে সাফ করে দিচ্ছে! বাধা দিতে গিয়ে হেনস্তা হচ্ছেন পরিবেশকর্মীরা! এমনও শুনেছি, বেশি বাধা দিতে গেলে নাকি নলিকাটা বডি মিলবে ডুয়ার্সের বনবাদাড়ে বা দুর্গম পাহাড়ি জঙ্গলে! শুধু পাহাড় ডুয়ার্স কেন হোটেল রিসর্ট দখলদারি প্রোমোটারির ঠেলায় সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ, দিঘা মন্দারমণি শঙ্করপুরের সাগরপ্রকৃতি পূর্ব কলকাতা সহ রাজ্যের দক্ষিণাংশের বিস্তীর্ণ জলাভূমির মতো সম্পদও তো আজ বিপন্নপ্রায়। সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ধ্বংস হয়ে গেলে সমুদ্রের লোনা জল কতদূর ঢুকে আসবে, বনের বিখ্যাত রয়্যাল বেঙ্গলের কী দশা হবে, এমনকী এই কলকাতা মহানগরীর কী হাল হবে ভাবছেন কেউ? ভাবলে ওই এলাকায় আইনকানুনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিরেট মূঢ়ের মতো যথেচ্ছ কাতারে কাতারে হোটেল রেস্তরাঁ রিসর্ট গজিয়ে তোলে কেউ!
খোদ কলকাতাতেই দেখুন না—পানীয় জলের ব্যবহারটা কেমন। আমার পরিচিত এক বন্ধুর কাছে শোনা, উত্তর কলকাতার একটি বাড়িতে দু’জনে মিলে নাকি দিনে দু/আড়াই হাজার লিটারেরও বেশি জল খরচ করে! যে রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো মুখ্যমন্ত্রী পরিবেশ বাঁচাতে, পানীয় জলের অপচয় ঠেকাতে মিছিল করে পথে নামেন, যে মহানগরীতে পুরসভা পানীয় জলের পাশাপাশি গঙ্গার অপরিশোধিত জল নষ্ট রুখতেও ট্যাপকলের মুখে চাবি লাগাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতা দেখাচ্ছে, সেই নগরীতে বসে বাড়ি গাড়ি ধুতে কাপড় কাচতে বা স্নানে যথেচ্ছ জল নষ্ট করতে দ্বিধা করছে না নির্বোধ পাবলিকের একাংশ—ভাবা যায়! বলছি না, জল বাঁচাতে লোকে স্নান বাথরুম কাপড় কাচা বন্ধ করে দিন। মোটেই না। কিন্তু, তাই বলে জনপ্রতি হিসেবে হাজার, দেড় হাজার লিটার কি মানা যায়! এমন পরিবারের সংখ্যা উত্তর দক্ষিণ পুব পশ্চিম সাধারণ বাড়ি হোক কি হাই রাইজ—কম নয়। আর এই জাতীয় নির্বিবেক কেবল কলকাতাতেই থাকে এমনও না, সারা রাজ্যেই আছে। এদের সহবত শেখানো সচেতন করা পুরসভা কি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কটা লোকের পক্ষে আদৌ কি সম্ভব? অসম্ভব। ঘরে কর্পোরেশনের অঢেল জল আসছে—অতএব ফেলো ঢালো ছড়াও—মন যত চায়! এই হল মানসিকতা। আর স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে বললে ক’মাস আগেও শুনতে হয়েছে, আহা, একটু জলই তো ব্যবহার করছে। কর্পোরেশনের ট্যাক্স দিচ্ছে—ওটুকু করবে না? ও আর এমন কী? সত্যিই তো ‘এমন কী’-টা যে কী ভয়ানক—সেটা বুঝলে তো মিটেই যেত। কিন্তু, বুঝছে না। বোঝার চেষ্টাও খুব বেশি লোকের মধ্যে এখনও খুব আছে বলে মনে হচ্ছে না। এত কথা এত বক্তৃতা এত মিছিলমিটিং প্রচারের পরও এই বুঝতে না পারা বা না চাওয়াটা যে কার্যত এক মারাত্মক আত্মঘাতী প্রবণতা আজও সেই বোধোদয়টা হল না আমাদের অধিকাংশের—এটা সত্যিই বিস্ময়কর!
অথচ, আমাজনে আগুন নিয়ে আমাদের সে কী উদ্বেগ আশঙ্কা! চারদিকে যেন একটা গেল গেল রব উঠে গেল! পথেঘাটে আলাপে আলোচনায় সর্বত্র আমাজন। হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জার ফেসবুকের মতো যাবতীয় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাগজে খবরে টিভি চ্যানেলে নানান ভিডিও মৃত পশুদের বিকৃত ছবি সহযোগে যেন ‘আমাজন নেভাও পৃথিবী বাঁচাও’ মার্কা আন্দোলনই শুরু হয়ে গেল। আমাজনে দাবানল প্রাকৃতিক না ম্যান-মেড তাই নিয়ে জল্পনার জিলিপিলিও চালু হয়ে গেল জোরকদমে। এবং ক্রমশ পাল্লা ভারী হয়ে উঠল ম্যান-মেডের পক্ষে! যেহেতু আগুনে দগ্ধ আমাজনের বেশিটাই ব্রাজিলে, ফলে সে দেশের প্রেসিডেন্ট উঠলেন জনতার কাঠগড়ায়। এর মধ্যেই মেরু-বরফের গলন বৃদ্ধি ইউরোপে নজিরবিহীন তাপপ্রবাহ বিশ্ব পরিবেশ সংক্রান্ত আশঙ্কা চিন্তার আলোচনা আসরে দুর্ভাবনায় বাড়তি মাত্রা যোগ করে দিল। আমাজনে আগুনের খবর পাওয়ার পর সে দুর্ভাবনা বঙ্গ জীবনের অঙ্গে অঙ্গে যে বিপুল ঢেউ তুলেছিল এখন তার রেশ খানিকটা স্তিমিত। এখন পুজোর মাতন উঠতে শুরু করেছে যে—আর্থিক মন্দা কেনাকাটায় ভাটা বৃষ্টির ভ্রুকুটি বাজেট সংকোচ রোজকার বাজারের চড়াভাব এসব কাটিয়ে শেষ অবধি বাঙালির পুজোর জাঁক এবার কতটা থাকবে, পুজো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পলিটিক্স কতটা জমবে, ছুটিতে বেড়ানোরই বা কী হবে আনন্দের আয়োজনে কোথায় কতটা টান পড়তে পারে—তাই নিয়ে এখন সরগরম হচ্ছে কলকাতা থেকে মফস্‌সল থেকে গাঁ-গঞ্জ।
ফলে, সঙ্গত কারণেই আর আমাজনের আগুন টিআরপি ধরে রাখতে পারছে না। কারণ, একটু ভালোভাবে লক্ষ করলেই দেখা যাবে আমাজনের জ্বলন্ত বৃষ্টি-অরণ্যের দৃশ্যাবলি ও ভয়াবহতা নিয়ে পাবলিকের সাম্প্রতিক আবেগ উৎকণ্ঠার একটা বড় অংশ জুড়ে ছিল এক ধরনের বিনোদন প্রবণতা! ভয়ের সিনেমা দেখার অনুভূতি! মিম এবং ভিডিওগুলো নিয়ে পথঘাটের প্রতিক্রিয়ায় অন্তত আমার তেমনটাই মনে হয়েছে। আর বলতে কী, আমাজনের আগুনের ভয়াবহতা ও অনিবার্য ফলশ্রুতি যদি আমরা সত্যিই হৃদয়ঙ্গম করতে পারতাম যদি বোঝার চেষ্টা করতাম প্লাস্টিক বিপদ, পৃথিবীর তাপবৃদ্ধি, মেরুপ্রদেশের বরফ গলনে আমাদের নিত্যদিনের অপকর্মগুলোর ভূমিকা—তাহলে এভাবে নির্বিচার সবুজ ধ্বংস বা জল অপচয় জলাভূমি ভরাট ইত্যাদি নষ্টামি করতে পারতাম কি! এই আত্মঘাতী প্রবণতা যে আমাদের মতো বিশ্বের নানা প্রান্তকেও গ্রাস করেছে—আমাজনের আগুন তার সাম্প্রতিকতম এবং নিষ্ঠুরতম দৃষ্টান্ত হতেই পারে। আর সেদিকে চেয়ে মনে হতেই পারে—তাহলে মানুষই কি মানুষের পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে দাঁড়াচ্ছে! উত্তরটা বাহুল্য। আজ শুধু অপেক্ষা সচেতনতার অপেক্ষা সংশোধনের। এবং সেই অপেক্ষার অবসান কবে ঘটবে বা আদৌ ঘটবে কি না তা বলবে সময়। ততদিন শেষের সেদিনের লক্ষ্যে আমাজনের আগুন জ্বলেই যাবে—নান্যঃ পন্থা!
05th  September, 2019
রাষ্ট্রহীনতার যন্ত্রণা
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভিক্টর নাভরস্কি নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের লাইনে দাঁড়িয়ে আবিষ্কার করলেন, তিনি আচমকাই ‘রাষ্ট্রহীন’ হয়ে পড়েছেন। কারণ, তাঁর দেশ ক্রাকোজিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলির কাছে মানবিকতার নিরিখে ক্রাকোজিয়ার আর কোনও ‘অস্তিত্ব’ নেই।
বিশদ

10th  September, 2019
জাতির গঠনে জাতীয় শিক্ষানীতি
গৌরী বন্দ্যোপাধ্যায়

 অভিধান অনুসরণ করে বলা যায়, পঠন-পাঠন ক্রিয়াসহ বিভিন্ন অভিজ্ঞতালব্ধ মূল্যবোধের বিকাশ ঘটানোর প্রক্রিয়াই শিক্ষা। জ্ঞানকে বলা হচ্ছে অভিজ্ঞতালব্ধ প্রতীতি। শিক্ষা দ্বারা অর্জিত বিশেষ জ্ঞানকে আমরা বিদ্যা বলি। কালের কষ্টিপাথরে যাচাই করে মানুষ আবহমান কাল ধরে নিজ অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানরাশিকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য পুস্তকের মধ্যে লিখে সঞ্চিত করে গেছে।
বিশদ

09th  September, 2019
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের শতবর্ষে ভারত প্রান্তিক রাষ্ট্র থেকে প্রথম দশে, লক্ষ্য শীর্ষস্থান
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তির মুখে উড্রো উইলসন সমেত বিশ্বের তাবড় নেতারা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে শঙ্কিত হয়ে পড়েন। যুদ্ধের রাহুর গ্রাস থেকে এই সুন্দর পৃথিবীকে কীভাবে রক্ষা করা যায় তা নিয়ে তাঁরা চিন্তিত ছিলেন। উইলসন বুঝতে পেরেছিলেন মানুষের মগজে রয়েছে যুদ্ধের অভিলাষ। যুদ্ধভাবনা মুছে ফেলে শান্তিভাবনা প্রতিষ্ঠা করা দরকার।
বিশদ

09th  September, 2019
পুজোর মুখে বিপর্যয়: ঘরে বাইরে

 দুর্ঘটনা বিপর্যয় তো আর জানান দিয়ে আসে না! নেপালের ভূমিকম্প কি আমাদের আয়েলার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কত মানুষ ঘর-সংসার সব হারিয়ে রাতারাতি সর্বস্বান্ত হয়েছেন, কত সংসার উজাড় হয়ে গেছে—শত চেষ্টাতেও সেই ক্ষত পুরোটা পূরণ করা গিয়েছে কি? যায়নি। এই বউবাজারে রশিদ জমানার সেই ভয়ানক বিস্ফোরণের পর কত লোকের কত সর্বনাশ হয়েছিল—কজন তার বিহিত পেয়েছিলেন? মেট্রো রেলের সুড়ঙ্গ কাটতে গিয়ে সেপ্টেম্বরের শুরুতে বউবাজারে বাড়ি ধসে যে ক্ষতি বাসিন্দাদের হল তাতে তাই ‘অপূরণীয় ক্ষতি’ বললে কিছুমাত্র ভুল হয় না। বিশদ

08th  September, 2019
বন্ধ হোক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পঞ্চায়েত দখল
তন্ময় মল্লিক

পঞ্চায়েত কারও চোখে স্থানীয় সরকার, কারও চোখে উন্নয়নের হাতিয়ার, কারও চোখে চোর তৈরির কারখানা। পঞ্চায়েত সম্পর্কে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন হলেও একটা ব্যাপারে প্রায় সকলেই এক মত, পঞ্চায়েত আসলে মধুভাণ্ড। এই মধুভাণ্ডের নাগাল পাওয়া নিয়েই যত মারামারি, বোমাবাজি, খুনোখুনি। এই পঞ্চায়েতই নাকি এবার পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা ভোটে ওলট-পালটের নাটের গুরু।
বিশদ

07th  September, 2019
অজানা ভবিষ্যৎ
সমৃদ্ধ দত্ত

টাকা কোথায় গেল? একের পর এক গ্রামবাসীর টাকা উধাও। সকলে সেই অফিসে আবার গেলেন। তারা এবার ভালো করে কম্পিউটার চেক করে বললেন, তোমাদের আগে যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল সেটা তো চেঞ্জ হয়েছে। এখানে নতুন এক অ্যাকাউন্ট দেখাচ্ছে। ওখানেই গেছে টাকা। প্রমোদকুমাররা জানেই না কোথায় নতুন অ্যাকাউন্ট! এক সহৃদয় ব্যাঙ্ককর্মী আবিষ্কার করলেন মোবাইল সার্ভিস প্রভাইডার কোম্পানি পেমেন্ট ব্যাঙ্ক চালু করেছে। ওই যে ফোনে আধার নম্বর চাওয়া হল এবং প্রমোদকুমাররা গিয়ে লিংক করিয়ে এলেন, আসলে ওই আধার নম্বরের মাধ্যমে তাঁদের অজ্ঞাতেই তাঁদের নামে পেমেন্ট ব্যাঙ্ক ‌অ্যাকাউন্ট চালু হয়ে গিয়ে সেই অ্যাকাউন্টই শো করতে শুরু করেছে সরকারি দপ্তরে। আর সব টাকা সেখানে যাচ্ছে।
বিশদ

06th  September, 2019
নিজেকে জিজ্ঞেস করো, দেশের জন্য কী করতে পার
মৃণালকান্তি দাস

হোয়াইট হাউস-এর  পবিত্রতা নষ্ট করার দুর্নাম জুটেছিল কি না বেচারি বিল ক্লিন্টনের!‌ তখনও নাকি মার্কিন আম জনতা মুখ বেঁকিয়ে বলেছিল,  কোথায় মেরিলিন মনরো,  আর কোথায় মনিকা লিউইনস্কি!‌ তবে, মনরো–কেনেডির এই প্রেম রীতিমত ঢাক–ঢোল পিটিয়ে উদ্‌যাপিত হয়েছে মার্কিন গণজীবনে। ১৯ মে ১৯৬২। কেনেডির আসল জন্মদিনের ১০ দিন আগেই উৎসব হয়েছিল নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কোয়্যার গার্ডেনে। ১৫ হাজার অতিথির তালিকায় তাবড় রাজনীতিক ও হলিউড সেলেবদের ছড়াছড়ি। বিরাট কনসার্টে মারিয়া কালাস,  এলা ফিটজেরাল্ড-এর মতো ডাকসাইটে শিল্পীদের পাশাপাশি মেরিলিন মনরো!‌ ইতিহাস হয়ে গিয়েছে সেই সন্ধ্যায় মনরোর গাওয়া  ‘হ্যাপি বার্থডে টু ইউ মিস্টার প্রেসিডেন্ট’।  
বিশদ

06th  September, 2019
ব্যবহার একবার, দূষণ লাগাতার 
রঞ্জন সেন

সিঙ্গল-ইউজ-প্লাস্টিক (এসইউপি) বা একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক এখন দেশের পরিবেশের সামনে সবচেয়ে বড় বিপদ। খোদ প্রধানমন্ত্রীকে এর বিরুদ্ধে লালকেল্লা থেকে লড়াইয়ের ডাক দিতে হচ্ছে। নানা সতর্কতা ও নিষেধাজ্ঞা সত্বেও এই প্লাস্টিককে কিছুতেই কব্জা করা যাচ্ছে না।  
বিশদ

03rd  September, 2019
মুছে যাচ্ছে বাঙালির ব্যাঙ্ক-ব্যবসার উজ্জ্বল স্মৃতি
হারাধন চৌধুরী

গত অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০১৯) আয়কর জমার নিরিখে সেরাদের একটি তালিকা তৈরি করেছে আয়কর দপ্তর। তাতে বাংলার মাত্র চারজনের নাম রয়েছে। বলা বাহুল্য যে, তাঁদের কেউই বাঙালি নন। 
বিশদ

03rd  September, 2019
ব্যবহার একবার, দূষণ লাগাতার 

রঞ্জন সেন: ঙ্গল-ইউজ-প্লাস্টিক (এসইউপি) বা একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক এখন দেশের পরিবেশের সামনে সবচেয়ে বড় বিপদ। খোদ প্রধানমন্ত্রীকে এর বিরুদ্ধে লালকেল্লা থেকে লড়াইয়ের ডাক দিতে হচ্ছে। নানা সতর্কতা ও নিষেধাজ্ঞা সত্বেও এই প্লাস্টিককে কিছুতেই কব্জা করা যাচ্ছে না।  বিশদ

02nd  September, 2019
নীতির অভাবে ডুবছে দেশের অর্থনীতি 

সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়: খুব কঠিন একটা পরিস্থিতির মুখে পড়েছে ভারতের অর্থনীতি। গত এক বছরের মধ্যে আর্থিক বৃদ্ধির হার কমেছে ৩ শতাংশ, যা অভূতপূর্ব ও অভাবনীয়। পরিস্থিতিটা এমনই যে গ্রামবাংলায় মানুষের বিস্কুট কেনার টাকাতেও টান পড়ছে।   বিশদ

02nd  September, 2019
পুজোর বাজারেও কি এবার মন্দার টান লাগল?
শুভা দত্ত

আর মাত্র মাসখানেকের অপেক্ষা। তারপরই সংবৎসরে মহাপার্বণ এসে পড়বে বাঙালির ঘরে ঘরে পাড়ায় মহল্লায়। মা দুর্গার আরাধনায় মেতে উঠবে আসমুদ্রহিমাচল বাংলা। সারা বছর যে চারটে মহার্ঘ দিনের জন্য চাতকের মতো অপেক্ষা করে থাকে বাঙালি, আজকের এই পয়লা সেপ্টেম্বর তিরিশে গড়ালেই কার্যত তাদের নাগালে পেয়ে যাবেন তাঁরা।  
বিশদ

01st  September, 2019
একনজরে
পাপ্পা গুহ, উলুবেড়িয়া: আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরেই বাঙালি মেতে উঠবে দুর্গোৎসবের আনন্দে। বাঙালিদের এই আনন্দ পরিপূর্ণ করতে ইতিমধ্যে সাজসাজ রব কুমোরটুলিতে। শুধু প্রতিমা তৈরি ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জেএমবির অন্যতম বড় মাথা আসাদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। মঙ্গলবার ভোররাতে চেন্নাইয়ের একটি বাড়ি থেকে ধরা হয়েছে তাকে। ভুয়ো পরিচয় দিয়ে সে এখানে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল। তার কাছ থেকে মিলেছে একটি মোবাইল ফোন, ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ডিসি (পোর্ট) সৈয়দ ওয়াকার রেজা। শুক্রবার থেকে স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন (এসটিএম)-এ টানা চিকিৎসা চলেছে তাঁর। ট্রপিক্যাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডাঃ বিভূতি সাহার অধীনে ভর্তি হন রেজা সাহেব। ...

বিএনএ, সিউড়ি ও সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন: নানুরে নিহত বিজেপি কর্মী স্বরূপ গড়াইয়ের মৃতদেহ নেওয়া নিয়ে মঙ্গলবার দিনভর টানাপোড়েন চলল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের মর্গ থেকে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৬২- মার্কিন ছোট গল্পকার ও হেনরির জন্ম
১৮৯৩- শিকাগোর ধর্ম সম্মেলনে স্বামী বিবেকানন্দ ঐতিহাসিক বক্তৃতা করেন
১৯০৮- বিপ্লবী বিনয় বসুর জন্ম
১৯১১- ক্রিকেটার লালা অমরনাথের জন্ম
২০০১- নিউ ইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে এবং পেন্টাগনে বিমান হানায় অন্তত ৩ হাজার মানুষের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৮৪ টাকা ৭২.৫৪ টাকা
পাউন্ড ৮৬.৪২ টাকা ৮৯.৫৯ টাকা
ইউরো ৭৭.৫৭ টাকা ৮০.৫২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
10th  September, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৭১৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,২৬৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৭,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৭,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৫ ভাদ্র ১৪২৬, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বুধবার, ত্রয়োদশী ৫৯/১৩ শেষ রাত্রি ৫/৭। শ্রবণা ২১/২৫ দিবা ১/৫৯। সূ উ ৫/২৫/৩১, অ ৫/৪১/৩৮, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ৯/৩০ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ৩/১৩ গতে ৪/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৬/২৮ মধ্যে পুনঃ ৮/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১/৩১ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৮/২৯ গতে ১০/১ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৩ গতে ১/৫ মধ্যে, কালরাত্রি ২/৩০ গতে ৩/৫৮ মধ্যে।
২৪ ভাদ্র ১৪২৬, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বুধবার, ত্রয়োদশী ৫৮/৩৭/১১শেষরাত্রি ৪/৫১/৫৭। শ্রবণা নক্ষত্র ২৪/৫৬/২৬ দিবা ৩/২৩/৩৯, সূ উ ৫/২৫/৫, অ ৫/৪৩/৪৫, অমৃতযোগ দিবা ৭/২ মধ্যে ও ৯/৩১ গতে ১১/১০ মধ্যে ও ৩/১৮ গতে ৪/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৩৩ গতে ৮/৫৩ মধ্যে ও ১/৩১ গতে ৫/২৫ মধ্যে, বারবেলা ১১/৩৪/২৫ গতে ১/৬/৪৫ মধ্যে, কালবেলা ৮/২৯/৪৫ গতে ১০/২/৫ মধ্যে, কালরাত্রি ২/২৯/৪৫ গতে ৩/৫৭/২৫ মধ্যে। 
 ১১ মহরম

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। বৃষ: পারিবারিক অশান্তির ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮৬২- মার্কিন ছোট গল্পকার ও হেনরির জন্ম১৮৯৩- শিকাগোর ধর্ম সম্মেলনে ...বিশদ

07:03:20 PM

রাজ্যে এখনই চালু হচ্ছে না নয়া মোটর ভেইকেলস আইন 
রাজ্যে এখনই চালু হচ্ছে না নয়া মোটর ভেইকেলস আইন। আজ ...বিশদ

06:41:55 PM

এবার রেল স্টেশনেও নিষিদ্ধ হচ্ছে প্লাস্টিক
এবার একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিয়ে আর প্রবেশ করা যাবে না ...বিশদ

04:56:20 PM

কৈখালিতে গাড়ির ধাক্কায় মৃত যুবক 

04:17:00 PM

কলেজে ভর্তিতে দুর্নীতি রুখতে জেলায় সাহায্য কেন্দ্র খুলবে সরকার 
ভর্তি প্রক্রিয়া বেশ কিছু বছর ধরে অনলাইনেই চলছে। তবুও দুর্নীতি ...বিশদ

03:56:24 PM