Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পুজোর বাজারেও কি এবার মন্দার টান লাগল?
শুভা দত্ত

আর মাত্র মাসখানেকের অপেক্ষা। তারপরই সংবৎসরে মহাপার্বণ এসে পড়বে বাঙালির ঘরে ঘরে পাড়ায় মহল্লায়। মা দুর্গার আরাধনায় মেতে উঠবে আসমুদ্রহিমাচল বাংলা। সারা বছর যে চারটে মহার্ঘ দিনের জন্য চাতকের মতো অপেক্ষা করে থাকে বাঙালি, আজকের এই পয়লা সেপ্টেম্বর তিরিশে গড়ালেই কার্যত তাদের নাগালে পেয়ে যাবেন তাঁরা। বারো মাস নিত্যদিনের পরিশ্রম ক্লান্তি হতাশা গ্লানি অভাব অভিযোগ প্রাপ্তি অপ্রাপ্তি ক্ষোভ বিক্ষোভ সব ভুলে বাঙালি মেতে উঠবে দেবী বন্দনায়, বাংলার উত্তর-দক্ষিণ পুব-পশ্চিম গ্রাম শহর মহানগর একাকার হবে মহোৎসবের মহানন্দে। রাস্তাজোড়া প্যান্ডেল ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যাম যন্ত্রণা, কাঠফাটা রোদ, অঝোর বৃষ্টি, লম্বা লম্বা প্রতীক্ষার লাইন, মণ্ডপ উপচানো ভিড় ভোরসকাল কি মধ্যরাত—কোনও কিছুরই খেয়াল রাখবে না আলোর মায়ায় ভরা গানে গল্পে আড্ডায় পানভোজনে মশগুল বাংলা ও বাঙালিজন। নিত্যদিনের কাজের ব্যস্ততায় জেরবার কলকাতা মহানগরীর রাস্তাগুলো সেই চার দিন অবধারিতভাবেই জনতার উদ্বেল মহাস্রোতে তলিয়ে যাবে, কোথাও কোথাও হয়তো কূল ছাপিয়ে আকার নেবে বন্যার এবং তা দেখে কেউ কিছুমাত্র বিস্মিত হবেন না। কারণ, ওটাই যে আমাদের মহাপুজোর ট্র্যাডিশন, সেই ট্র্যাডিশন যা যুগ যুগ ধরে সমানে চলেছে, চলেই চলেছে। সেইসঙ্গে একথাও হলফ করে বলা যায়, কেবল এই মহানগরী কলকাতা নয়, পশ্চিমবঙ্গের গ্রামগ্রামান্ত মফস্‌স঩লেও এর ব্যতিক্রম ঘটবে না। হয়তো সেখানে পুজোর প্রতিমায়, মণ্ডপে আলোকসজ্জায় কর্পোরেট চমকজমক কিছু কম হবে, কিন্তু তার মধ্যেই কোথাও সাবেকিয়ানা কোথাও আন্তরিকতা আর নিষ্ঠা মহাপূজার আয়োজনে আকর্ষণীয়তার ভিন্ন মাত্রা যোগ করে সেই সামান্য ফারাক অবলীলায় ভরিয়ে দেবে। মণ্ডপে মণ্ডপে তাই উৎসবমুখর ভক্তজনেরও অভাব হবে না। কোথাও কোথাও ভিড় সামলাতে হিমশিম খাবে পুলিস স্বেচ্ছাসেবক, রাস্তা অচল হয়ে কোথাও হাঁসফাঁস করবে নিশ্চল সার সার গাড়ি ট্যাক্সি বাস অটো! পায়ে চলা আনন্দমুখর মানুষের ঢল নামবে রাস্তার দু’পাশে। আর সেই জ্যাম জমাট ভিড়াক্রান্ত উৎসবের ছবির সঙ্গে কলকাতার শারদোৎসবের তফাৎ করা তখন রীতিমতো মুশকিল হয়ে পড়বে। পড়বেই। অন্তত আমাদের অভিজ্ঞতা তাই বলে। বলে না কি?
যাইহোক, সে তো মাসখানেক পরের ব্যাপার। তার আগে আসন্ন মহোৎসবের জন্য বাঙালির গোছগাছ সাজগোজ জোগাড়যন্তর—সেও কি কম! নতুন জামাকাপড়, নতুন নতুন জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার টিকিট কাটা, হোটেল বুকিং ইত্যাদি হাজার হাঙ্গামা, আত্মীয় পরিজনেদের সঙ্গে একযোগে চার দিন কাটানোর আগাম প্ল্যান প্রোগ্রাম ছকা, পুজোর দিনগুলোতে ঘরে-বাইরে পানভোজনের মেনু ঠিক করা বা অন্য আরও কত কিছু—সে এক বিস্তর ব্যাপার। এবং পুজোয় বেড়াতে যাওয়ার টিকিট কাটা ছাড়া (এটা তিন মাস আগে করতে হয়) বাদবাকিগুলো পুজোর আগের এই এক-দেড় মাস ধরেই যে চলে—এটা কে না জানেন? কিন্তু শোনা যাচ্ছে, এবার বাঙালির পুজোর প্রস্তুতিতেই নাকি ভাটার টান! দোকান বাজারে এখনও বেপাত্তা সেই জমজমাট ভিড় কেনাকাটা! এমনকী পাইকার সাধারণ জনেদের হরিশা হাট মঙলাহাটেও এবার সেই চাঙ্গা ভাবটা এখনও দেখা যাচ্ছে না। বিকিকিনি একেবারেই হচ্ছে না—এমন বলছেন না কেউই। কিন্তু সে বিকিকিনি নাকি এখনও বিগত বছরগুলোর তুলনায় অনেকটাই কম। পশরা সাজানো বা দামে ছাড়ের আয়োজনে ব্যবসায়ীরা কসুর করছেন না বটে, তবে তাতেও নাকি তাঁদের প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না। যত মানুষ পুজোর নতুন জামাকাপড়ের সম্ভার দেখতে আসছেন বিক্রিবাটা নাকি সেই অনুপাতে হচ্ছে না! আমার এক বন্ধুর কাছে শুনলাম, উত্তর কলকাতার খান্না মোড়ে যে হরিশা হাট এই সময় কেনাকাটার ভিড়ে ডুবে যায়, শেষরাত থেকে দুপুর অবধি যার সামনের রাস্তায় গাড়ি চলাচল অসম্ভব হয়ে ওঠে, গত রবিবার সেই হাটের পাতলা ভিড় বেশ চোখে লেগেছে! হাটের সামনের রাস্তাতেও জ্যাম ছিল না! এক ব্যবসায়ী নাকি আক্ষেপ করে তাঁকে বলেছেন, মন্দা লেগে গেছে দাদা, এবার আমাদের অবস্থা কাহিল! মানে?
কিছুদিন ধরেই অবশ্য শোনা যাচ্ছে, গোটা বিশ্বেই একটা মন্দার ভাব দেখা দিচ্ছে আর্থিক ক্ষেত্রে। আমাদের দেশও তার ব্যতিক্রম নয়। সেই মন্দার ধাক্কা অল্পে অল্পে নিঃশব্দে এসে লাগছে জনজীবনের নানা স্তরে। গাড়ি বাড়ি ফ্ল্যাটের বিক্রি কমছে, শিল্পে বিনিয়োগে ভাটা চাকরিবাকরির সুযোগও সেভাবে বাড়ছে না, উল্টে হাজার হাজার মানুষ চাকরি খোয়াচ্ছেন, বড় বড় কোম্পানি মায় রেলের মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানেও মন্দার চাপ বাড়ছে, নতুন কর্মসংস্থান যত হচ্ছে কর্মসংকোচন ছাঁটাই তার সঙ্গে পাল্লা দিয়েই চলছে, ব্যাঙ্ক সেক্টরও বিশেষ সুবিধেজনক অবস্থায় নেই এবং কয়েকটা ব্যাঙ্ক জুড়ে ব্যবস্থা শক্তিশালী করার চেষ্টা হচ্ছে আবার গতকালই জানলাম দেশে জিডিপি ৫-এ নেমে দাঁড়িয়ে নাকি সর্বকালীন রেকর্ড গড়েছে! আমি অর্থনীতির ছাত্রী নই। তবে এটুকু বুঝতে পারছি কোথাও একটা গোল হচ্ছে। তাছাড়া, বিশ্বের আর পাঁচটা দেশের মতো ভারতেও অর্থনৈতিক ব্যবস্থাতেও যে সব মিলিয়ে একটা সঙ্কটের ছায়া পড়েছে সংশ্লিষ্ট মহলের শীর্ষকর্তাদের অনেকেই সেটা অনুভব করছেন। ইতিমধ্যেই নীতি আয়োগের কর্তা রাজীব কুমার এ বিষয়ে চেতাবনি দিয়েছেন। তাঁর দাবি, নোটবন্দি জিএসটি দেউলিয়া বিধির পরিবর্তন ইত্যাদির জন্যই গত বছর চারেকে পরিস্থিতি জটিল হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, গত ৭০ বছরে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এমন সঙ্কট আসেনি! তবে, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এই তত্ত্ব মানছেন না। তাঁর মতে, একটি শক্তিশালী অর্থব্যবস্থার দিকে এগচ্ছে দেশ। জিএসটি সরলীকরণ, ভারী শিল্পের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নে সরকারের বিশেষ আর্থিক উদ্যোগ, বিদেশি ও বেসরকারি বিনিয়োগ নীতিতে বাড়তি নমনীয়তা ইত্যাদির মধ্য দিয়ে খুব শীঘ্রই অর্থনীতির হাল ফিরবে এবং গরিব মধ্যবিত্তের জীবন আরও সুঠাম সুন্দর হবে।
সে না হয় হবে। কিন্তু, আসন্ন পুজোয় তার সুফল কতটা মিলবে? আদৌ মিলবে? ব্যবসায়ীরা বলছেন, মানুষের হাতে টাকা নেই। থাকলেও ভবিষ্যৎ ভাবনায় খরচ করতে দ্বিধা করছেন। মূল সমস্যাটা সেখানেই। এতেই বিক্রি কমছে। পুজোর মুখে মার খাচ্ছেন ছোট-বড়-মাঝারি সব ব্যবসায়ী। বিক্রিবাটায় আর্থিক মন্দার ছায়াটাই যেন একটু একটু করে ঘনীভূত হয়ে উঠছে। বিশেষ করে এই পুজোর ব্যবসা সম্বল করে যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি দোকানি ব্যবসায়ীরা সারা বছর চলেন তাঁদের সমস্যা আরও বেশি। মহাজনের কাছ থেকে পুজোর বিক্রিবাটার জন্য প্রতি বছরের মতো এবারও তাঁরা প্রচুর মাল তুলেছেন। সেই মাল প্রত্যাশামতো বিক্রি না হলে তাঁদের কী হবে তা বলাই বাহুল্য। তবে এই বঙ্গের মহাপুজোর ঐতিহ্য বলছে, ঝড়ঝঞ্ঝা বন্যা খরা কোনও বিপর্যয়ই কোনওদিন বাঙালির এই বাৎসরিক উৎসবের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। না কেনাকাটায়, না আড়ম্বর রোশনাইতে। দেশ-বিশ্বের আর্থিক মন্দার যে আভাস আমাদের চারপাশে উড়ছে তা নজির গড়ে এবার বাঙালির সংবৎসরের আনন্দ পথে বিরাট বাধা হয়ে দাঁড়াবে—এমনটা অতি বড় নেতিবাদীও মনে করছেন না। বরং, তাঁদের কারও কারও মতে, নতুন জামাকাপড় খানাপিনায় মহাপুজোর মহাআনন্দ চেটেপুটে নেওয়ার জন্য বাঙালিজনেদের অধিকাংশ কপর্দকশূন্য হয়ে পড়ার সম্ভাবনাকেও শেষপর্যন্ত উপেক্ষা করে যাবে।
সেটাই স্বাভাবিক। পশ্চিমবঙ্গের উৎসবপ্রিয় আমুদে বাঙালি এত সহজে রণে ভঙ্গ দেবেন তা হতেই পারে না। চাঁদা বা বিজ্ঞাপনের আয়ে টান পড়ায় হয়তো কোথাও কোথাও সামান্য ব্যয়সংকোচ হবে, ছিটেফোঁটা কাটছাঁট হবে আয়োজন উদ্যোগে—কিন্তু দিনের শেষে উৎসবের আমেজে আনন্দে কোথাও কারও ভাগে কিছুমাত্র কম পড়বে না—এই বিশ্বাসে এখনও অটল পশ্চিমবঙ্গের আবালবৃদ্ধবনিতা। এবার এই সমস্যার কথা ভেবেই মনে হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের পুজো কমিটিগুলোর সরকারি অনুদান দশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার করে দিয়েছেন। মহিলা পরিচালিত পুজো পাবে আরও পাঁচ হাজার বেশি—তিরিশ হাজার।
কিন্তু মুশকিলটা অন্যত্র। টাকা না থাকায় পুজোর কেনাকাটায় ব্যাঘাত ঘটছে—সে ঘাটতি হয়তো শেষঅবধি অনেকটাই মিটে যাবে। পুজো কমিটির আয়ের ঘাটতি সরকারি অনুদানে খানিকটা হলেও ভরে যাবে। মা দুর্গার পুজো উৎসবের আনন্দভোগেও মানুষের অসুবিধে হবে না। কিন্তু যে কেনাকাটা দৈনন্দিন জীবনে বাধ্যতামূলক তাকে তো আর না কিনে থাকা যাবে না! মানুষ সব মানতে পারেন কিন্তু পেটের জ্বালা? তার দায় তো মেটাতেই হয়, তাই না? আর সেখানেই তো শুনছি আগুনের হলকা লাফিয়ে বাড়ছে। আলু এক লাফে পনেরো বিশ, পেঁয়াজ ৫০/৬০, লঙ্কা ১০০/১৫০, আদা-রসুন সেসবও নাকি ২০০/২৫০! এছাড়া বাদবাকি সব্জি ফলের দামও হু হু করে বাড়ছে। মাছ-মাংসের তো কথাই নেই! তার চেয়ে বড় কথা, এবার পুজোর সময় নাকি যাবতীয় শাকসব্জি মাছ থেকে শুরু করে নিত্য ব্যবহার্য সবকিছুর দাম আরও বাড়বে, আকাশ ছোঁবে। ব্যবসায়ীদের অভিমত তেমনই! তা যদি হয় তবে সন্দেহ নেই কাঁটা ফুটবে উৎসবের পথে। অস্বস্তি অসুবিধে বাড়বে বাংলার গরিব মধ্যবিত্তের ঘরে। কিন্তু, বাঙালি তাতেও কি দমবে, উৎসব থেকে সরে থাকবে!? অসম্ভব। মহামায়ার মহোৎসব থেকে বাঙালিকে দূরে রাখতে পারে এমন শক্তি এখনও এই ভূমণ্ডলের নেই। মন্দা তো কোন ছার! 
01st  September, 2019
রাষ্ট্রহীনতার যন্ত্রণা
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভিক্টর নাভরস্কি নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের লাইনে দাঁড়িয়ে আবিষ্কার করলেন, তিনি আচমকাই ‘রাষ্ট্রহীন’ হয়ে পড়েছেন। কারণ, তাঁর দেশ ক্রাকোজিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলির কাছে মানবিকতার নিরিখে ক্রাকোজিয়ার আর কোনও ‘অস্তিত্ব’ নেই।
বিশদ

10th  September, 2019
জাতির গঠনে জাতীয় শিক্ষানীতি
গৌরী বন্দ্যোপাধ্যায়

 অভিধান অনুসরণ করে বলা যায়, পঠন-পাঠন ক্রিয়াসহ বিভিন্ন অভিজ্ঞতালব্ধ মূল্যবোধের বিকাশ ঘটানোর প্রক্রিয়াই শিক্ষা। জ্ঞানকে বলা হচ্ছে অভিজ্ঞতালব্ধ প্রতীতি। শিক্ষা দ্বারা অর্জিত বিশেষ জ্ঞানকে আমরা বিদ্যা বলি। কালের কষ্টিপাথরে যাচাই করে মানুষ আবহমান কাল ধরে নিজ অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানরাশিকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য পুস্তকের মধ্যে লিখে সঞ্চিত করে গেছে।
বিশদ

09th  September, 2019
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের শতবর্ষে ভারত প্রান্তিক রাষ্ট্র থেকে প্রথম দশে, লক্ষ্য শীর্ষস্থান
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তির মুখে উড্রো উইলসন সমেত বিশ্বের তাবড় নেতারা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে শঙ্কিত হয়ে পড়েন। যুদ্ধের রাহুর গ্রাস থেকে এই সুন্দর পৃথিবীকে কীভাবে রক্ষা করা যায় তা নিয়ে তাঁরা চিন্তিত ছিলেন। উইলসন বুঝতে পেরেছিলেন মানুষের মগজে রয়েছে যুদ্ধের অভিলাষ। যুদ্ধভাবনা মুছে ফেলে শান্তিভাবনা প্রতিষ্ঠা করা দরকার।
বিশদ

09th  September, 2019
পুজোর মুখে বিপর্যয়: ঘরে বাইরে

 দুর্ঘটনা বিপর্যয় তো আর জানান দিয়ে আসে না! নেপালের ভূমিকম্প কি আমাদের আয়েলার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কত মানুষ ঘর-সংসার সব হারিয়ে রাতারাতি সর্বস্বান্ত হয়েছেন, কত সংসার উজাড় হয়ে গেছে—শত চেষ্টাতেও সেই ক্ষত পুরোটা পূরণ করা গিয়েছে কি? যায়নি। এই বউবাজারে রশিদ জমানার সেই ভয়ানক বিস্ফোরণের পর কত লোকের কত সর্বনাশ হয়েছিল—কজন তার বিহিত পেয়েছিলেন? মেট্রো রেলের সুড়ঙ্গ কাটতে গিয়ে সেপ্টেম্বরের শুরুতে বউবাজারে বাড়ি ধসে যে ক্ষতি বাসিন্দাদের হল তাতে তাই ‘অপূরণীয় ক্ষতি’ বললে কিছুমাত্র ভুল হয় না। বিশদ

08th  September, 2019
বন্ধ হোক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পঞ্চায়েত দখল
তন্ময় মল্লিক

পঞ্চায়েত কারও চোখে স্থানীয় সরকার, কারও চোখে উন্নয়নের হাতিয়ার, কারও চোখে চোর তৈরির কারখানা। পঞ্চায়েত সম্পর্কে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন হলেও একটা ব্যাপারে প্রায় সকলেই এক মত, পঞ্চায়েত আসলে মধুভাণ্ড। এই মধুভাণ্ডের নাগাল পাওয়া নিয়েই যত মারামারি, বোমাবাজি, খুনোখুনি। এই পঞ্চায়েতই নাকি এবার পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা ভোটে ওলট-পালটের নাটের গুরু।
বিশদ

07th  September, 2019
অজানা ভবিষ্যৎ
সমৃদ্ধ দত্ত

টাকা কোথায় গেল? একের পর এক গ্রামবাসীর টাকা উধাও। সকলে সেই অফিসে আবার গেলেন। তারা এবার ভালো করে কম্পিউটার চেক করে বললেন, তোমাদের আগে যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল সেটা তো চেঞ্জ হয়েছে। এখানে নতুন এক অ্যাকাউন্ট দেখাচ্ছে। ওখানেই গেছে টাকা। প্রমোদকুমাররা জানেই না কোথায় নতুন অ্যাকাউন্ট! এক সহৃদয় ব্যাঙ্ককর্মী আবিষ্কার করলেন মোবাইল সার্ভিস প্রভাইডার কোম্পানি পেমেন্ট ব্যাঙ্ক চালু করেছে। ওই যে ফোনে আধার নম্বর চাওয়া হল এবং প্রমোদকুমাররা গিয়ে লিংক করিয়ে এলেন, আসলে ওই আধার নম্বরের মাধ্যমে তাঁদের অজ্ঞাতেই তাঁদের নামে পেমেন্ট ব্যাঙ্ক ‌অ্যাকাউন্ট চালু হয়ে গিয়ে সেই অ্যাকাউন্টই শো করতে শুরু করেছে সরকারি দপ্তরে। আর সব টাকা সেখানে যাচ্ছে।
বিশদ

06th  September, 2019
নিজেকে জিজ্ঞেস করো, দেশের জন্য কী করতে পার
মৃণালকান্তি দাস

হোয়াইট হাউস-এর  পবিত্রতা নষ্ট করার দুর্নাম জুটেছিল কি না বেচারি বিল ক্লিন্টনের!‌ তখনও নাকি মার্কিন আম জনতা মুখ বেঁকিয়ে বলেছিল,  কোথায় মেরিলিন মনরো,  আর কোথায় মনিকা লিউইনস্কি!‌ তবে, মনরো–কেনেডির এই প্রেম রীতিমত ঢাক–ঢোল পিটিয়ে উদ্‌যাপিত হয়েছে মার্কিন গণজীবনে। ১৯ মে ১৯৬২। কেনেডির আসল জন্মদিনের ১০ দিন আগেই উৎসব হয়েছিল নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কোয়্যার গার্ডেনে। ১৫ হাজার অতিথির তালিকায় তাবড় রাজনীতিক ও হলিউড সেলেবদের ছড়াছড়ি। বিরাট কনসার্টে মারিয়া কালাস,  এলা ফিটজেরাল্ড-এর মতো ডাকসাইটে শিল্পীদের পাশাপাশি মেরিলিন মনরো!‌ ইতিহাস হয়ে গিয়েছে সেই সন্ধ্যায় মনরোর গাওয়া  ‘হ্যাপি বার্থডে টু ইউ মিস্টার প্রেসিডেন্ট’।  
বিশদ

06th  September, 2019
মানুষই কি মানুষের পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে দাঁড়াচ্ছে!
মেরুনীল দাশগুপ্ত

শেষের সেদিন কি আর খুব দূরে নয়? সাম্প্রতিককালে বিশ্বজুড়ে প্রকৃতির নজিরবিহীন খামখেয়াল, মানুষের লোভের আগুনে সবুজের নির্বিচার মৃত্যু এবং বহু বহু বছর ধরে সীমাহীন অপচয়ের ফলে ফুরিয়ে আসা পানীয় জলের ভাঁড়ার আমাদের মনে আজ এই ভয়ঙ্কর প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
বিশদ

05th  September, 2019
ব্যবহার একবার, দূষণ লাগাতার 
রঞ্জন সেন

সিঙ্গল-ইউজ-প্লাস্টিক (এসইউপি) বা একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক এখন দেশের পরিবেশের সামনে সবচেয়ে বড় বিপদ। খোদ প্রধানমন্ত্রীকে এর বিরুদ্ধে লালকেল্লা থেকে লড়াইয়ের ডাক দিতে হচ্ছে। নানা সতর্কতা ও নিষেধাজ্ঞা সত্বেও এই প্লাস্টিককে কিছুতেই কব্জা করা যাচ্ছে না।  
বিশদ

03rd  September, 2019
মুছে যাচ্ছে বাঙালির ব্যাঙ্ক-ব্যবসার উজ্জ্বল স্মৃতি
হারাধন চৌধুরী

গত অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০১৯) আয়কর জমার নিরিখে সেরাদের একটি তালিকা তৈরি করেছে আয়কর দপ্তর। তাতে বাংলার মাত্র চারজনের নাম রয়েছে। বলা বাহুল্য যে, তাঁদের কেউই বাঙালি নন। 
বিশদ

03rd  September, 2019
ব্যবহার একবার, দূষণ লাগাতার 

রঞ্জন সেন: ঙ্গল-ইউজ-প্লাস্টিক (এসইউপি) বা একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক এখন দেশের পরিবেশের সামনে সবচেয়ে বড় বিপদ। খোদ প্রধানমন্ত্রীকে এর বিরুদ্ধে লালকেল্লা থেকে লড়াইয়ের ডাক দিতে হচ্ছে। নানা সতর্কতা ও নিষেধাজ্ঞা সত্বেও এই প্লাস্টিককে কিছুতেই কব্জা করা যাচ্ছে না।  বিশদ

02nd  September, 2019
নীতির অভাবে ডুবছে দেশের অর্থনীতি 

সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়: খুব কঠিন একটা পরিস্থিতির মুখে পড়েছে ভারতের অর্থনীতি। গত এক বছরের মধ্যে আর্থিক বৃদ্ধির হার কমেছে ৩ শতাংশ, যা অভূতপূর্ব ও অভাবনীয়। পরিস্থিতিটা এমনই যে গ্রামবাংলায় মানুষের বিস্কুট কেনার টাকাতেও টান পড়ছে।   বিশদ

02nd  September, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, মালবাজার: মাত্র দেড় মাসের মধ্যে একটি অপহরণের ঘটনায় বড়সড় সাফল্য পেল মাল থানার পুলিস। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ওপর ভিত্তি করে মাল পুলিসের একটি দল সুদূর পাঞ্জাব থেকে উদ্ধার করল অপহৃত নাবালিকাকে।  ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ডিসি (পোর্ট) সৈয়দ ওয়াকার রেজা। শুক্রবার থেকে স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন (এসটিএম)-এ টানা চিকিৎসা চলেছে তাঁর। ট্রপিক্যাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডাঃ বিভূতি সাহার অধীনে ভর্তি হন রেজা সাহেব। ...

পাপ্পা গুহ, উলুবেড়িয়া: আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরেই বাঙালি মেতে উঠবে দুর্গোৎসবের আনন্দে। বাঙালিদের এই আনন্দ পরিপূর্ণ করতে ইতিমধ্যে সাজসাজ রব কুমোরটুলিতে। শুধু প্রতিমা তৈরি ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দুর্গাপুজো ও কালীপুজোর সময়ে যাত্রীদের বাড়তি ভিড় সামাল দিতে সাপ্তাহিক ১৩ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিল দক্ষিণ-পূর্ব রেল। তারা জানিয়েছে, সাঁতরাগাছি-চেন্নাই-সাঁতরাগাছি রুটে ট্রেনগুলি চালানো হবে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৬২- মার্কিন ছোট গল্পকার ও হেনরির জন্ম
১৮৯৩- শিকাগোর ধর্ম সম্মেলনে স্বামী বিবেকানন্দ ঐতিহাসিক বক্তৃতা করেন
১৯০৮- বিপ্লবী বিনয় বসুর জন্ম
১৯১১- ক্রিকেটার লালা অমরনাথের জন্ম
২০০১- নিউ ইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে এবং পেন্টাগনে বিমান হানায় অন্তত ৩ হাজার মানুষের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৮৪ টাকা ৭২.৫৪ টাকা
পাউন্ড ৮৬.৪২ টাকা ৮৯.৫৯ টাকা
ইউরো ৭৭.৫৭ টাকা ৮০.৫২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
10th  September, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৭১৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,২৬৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৭,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৭,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৫ ভাদ্র ১৪২৬, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বুধবার, ত্রয়োদশী ৫৯/১৩ শেষ রাত্রি ৫/৭। শ্রবণা ২১/২৫ দিবা ১/৫৯। সূ উ ৫/২৫/৩১, অ ৫/৪১/৩৮, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ৯/৩০ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ৩/১৩ গতে ৪/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৬/২৮ মধ্যে পুনঃ ৮/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১/৩১ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৮/২৯ গতে ১০/১ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৩ গতে ১/৫ মধ্যে, কালরাত্রি ২/৩০ গতে ৩/৫৮ মধ্যে।
২৪ ভাদ্র ১৪২৬, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বুধবার, ত্রয়োদশী ৫৮/৩৭/১১শেষরাত্রি ৪/৫১/৫৭। শ্রবণা নক্ষত্র ২৪/৫৬/২৬ দিবা ৩/২৩/৩৯, সূ উ ৫/২৫/৫, অ ৫/৪৩/৪৫, অমৃতযোগ দিবা ৭/২ মধ্যে ও ৯/৩১ গতে ১১/১০ মধ্যে ও ৩/১৮ গতে ৪/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৩৩ গতে ৮/৫৩ মধ্যে ও ১/৩১ গতে ৫/২৫ মধ্যে, বারবেলা ১১/৩৪/২৫ গতে ১/৬/৪৫ মধ্যে, কালবেলা ৮/২৯/৪৫ গতে ১০/২/৫ মধ্যে, কালরাত্রি ২/২৯/৪৫ গতে ৩/৫৭/২৫ মধ্যে। 
 ১১ মহরম

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। বৃষ: পারিবারিক অশান্তির ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮৬২- মার্কিন ছোট গল্পকার ও হেনরির জন্ম১৮৯৩- শিকাগোর ধর্ম সম্মেলনে ...বিশদ

07:03:20 PM

রাজ্যে এখনই চালু হচ্ছে না নয়া মোটর ভেইকেলস আইন 
রাজ্যে এখনই চালু হচ্ছে না নয়া মোটর ভেইকেলস আইন। আজ ...বিশদ

06:41:55 PM

এবার রেল স্টেশনেও নিষিদ্ধ হচ্ছে প্লাস্টিক
এবার একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিয়ে আর প্রবেশ করা যাবে না ...বিশদ

04:56:20 PM

কৈখালিতে গাড়ির ধাক্কায় মৃত যুবক 

04:17:00 PM

কলেজে ভর্তিতে দুর্নীতি রুখতে জেলায় সাহায্য কেন্দ্র খুলবে সরকার 
ভর্তি প্রক্রিয়া বেশ কিছু বছর ধরে অনলাইনেই চলছে। তবুও দুর্নীতি ...বিশদ

03:56:24 PM