শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
বুধবার সন্ধ্যায় দিল্লির মিঠেকড়া ঠান্ডার আবহে শারদ পাওয়ারের বাসভবনে এই তিন প্রধান ধারা একসঙ্গে মিলিত হল। সঙ্গে যোগ দিল আরও কয়েকটি ছোটবড় ধারা। এগুলির কোনওটির সর্বেসর্বা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, আবার কোনওটির সুপ্রিমো জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা। এই বিশিষ্ট নেতা-নেত্রীরা আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্তে এলেন, মোদিদের ‘অপশাসনে’র কবল থেকে দেশকে মুক্ত করতে বিরোধী দলগুলি প্রাক্ভোট মহাজোট গড়ে তুলবে। তৈরি হবে কমন মিনিমাম প্রোগ্রাম বা ন্যূনতম অভিন্ন কর্মসূচি। সেই পথেই জাতীয়স্তরে ঘোষিত হবে যৌথ নির্বাচনী ইস্তেহার। ইতিহাস বলে, ১৯৭৭ সালে ইন্দিরা গান্ধীকে পরাস্ত করতে সর্বোদয় নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বে এরকম একটি সার্বিক জোট গড়ে উঠেছিল। সেই জোটে সমাজবাদী থেকে শুরু করে বাম, বিজেপি (তখন নাম জনসঙ্ঘ) সবাই শামিল হয়েছিল। সেবার ওই জোট নিজেদের লক্ষ্যপূরণে সফল হয়। ওই ঘটনার বারো বছর বাদে ১৯৮৯ তে ফের একবার বিরোধীরা প্রায় একইরকম জোট বেঁধেছিল রাজীব গান্ধীকে হঠাতে। সেবার নেতা ছিলেন বিশ্বনাথপ্রতাপ সিং। সেবারও তাদের ‘মিশন’ সফল হয়েছিল।
ঠিক তিন দশক বাদে এবার ২০১৯-এ দেশের বিরোধী দলগুলি ফের এককাট্টা হচ্ছে। তবে এবার পটভূমি খানিক অন্যরকম। এবারের আক্রমণের লক্ষ্য গত পাঁচবছর ক্ষমতায় থাকা নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর দলবল। মমতা না রাহুল—এবারের লড়াইয়ে প্রধান সেনাপতি কে হবেন তা এই মুহূর্তে বলা কঠিন। তবে বাংলার অগ্নিকন্যা নিজের একটি বিশেষ জায়গা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। বুধবারের দিল্লির ধর্নামঞ্চ থেকে শুরু করে সন্ধ্যার বৈঠক, সর্বত্রই মমতাই ছিলেন মধ্যমণি। তাঁর ওইদিনের কর্মসূচিও ছিল উল্লেখ করার মতোই। সকালে সংসদ চত্বরে দলের সদস্যদের নিয়ে তিনি গান্ধীমূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে মোদি বিদায়ের শপথ নেন। বিষয়টি নিঃসন্দেহে অভিনব। দুপুরে যন্তর মন্তরের ধর্নামঞ্চে বাংলার অগ্নিকন্যা অভিহিত হন ‘বঙ্গাল কি শেরনি’ অর্থাৎ বাংলার বাঘিনী বলে। বিশিষ্ট নেতাদের কেউ কেউ এমনও মন্তব্য করেন—মোদির রাতের ঘুম যদি কেউ কেড়ে নিতে পারেন, তিনি হলেন আয়রন লেডি মমতা। বাংলার অগ্নিকন্যা এবার বাঘিনী ও লৌহমানবী হয়ে লক্ষ্যপূরণে সফল হলে রাজ্যের জন্য ফের নতুন ইতিহাস রচিত হবে, তা বলাই বাহুল্য।