শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
ভারতের গাফিলতি নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠলে দেশাত্মবোধের আওয়াজের নীচে তা সাময়িকভাবে চাপা পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু সংশ্লিষ্টদের একদিন এর জবাব দিতেই হবে। শহিদের রক্তের ঋণ শুধু মোমবাতি জ্বালিয়ে, মিছিল করে, আর পাকিস্তানকে হুঙ্কার দিলেই শেষ হয়ে যাবে না। সাচ্চা দেশাত্মবোধের ধারকদের শপথ নিতে হবে, সীমান্তের ওপার থেকে আর যাতে এভাবে চোরাগোপ্তা হানা না হয়। গোয়েন্দাবাহিনীতে যোগ্য লোকের থেকে তোষামুদে লোকের সংখ্যা বেশি থাকলে ব্যর্থতার চাপ বাড়বেই। সে চাপ দিনে দিনে বিশাল আকার ধারণ করে নিজের ঘাড়েই ভেঙে পড়তে পারে।
সরকারকে এই মুহূর্তে কঠোর হাতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। এই মুহূর্তে তারা যে পদক্ষেপই নিক না কেন, তা তাকে গোপনেই নিতে হবে। তবে দেশের মানুষ সরকারের পাশেই থাকবে। আমরা জানি, অপরাধীদের যেমন অপরাধবোধ সবসময় তীক্ষ্ণ থাকে, তেমনই পাকজঙ্গিদের অপরাধবোধ যে তীব্র হয়েছে, তা বোঝা যাচ্ছে। কারণ, আর একটা সার্জিকাল স্ট্রাইকের ভয়ে এখন তারা লেজ গুটিয়ে পালাচ্ছে। কোথায় পালাচ্ছে! সে কথাও আমাদের জানা। তারা আশ্রয় নিচ্ছে সেনাশিবিরগুলিতে। বহুক্ষেত্রে পাকসেনারাই জঙ্গির ছদ্মবেশে এদেশে ঢুকে পড়ে নাশকতার উদ্দেশে। আর বরাবরই এটাতে গোপন সিলমোহর দিয়ে এসেছে পাক সরকার। এক সময় মনে হয়েছিল, এটা কেটে যেতে পারে। ক্ষমতায় এসেই ইমরান খান যেভাবে শান্তির বার্তার ফানুস উড়িয়েছিলেন, তাতে বোঝাই যাচ্ছিল বিশ্বকে ভঙ্গি দিয়ে ভোলানো চেষ্টায় ছিলেন তিনি। কিন্তু ভারত সেই ফাঁদে পা দেয়নি। এখন বোঝাই যাচ্ছে, ইমরানও একজন বিড়ালতপস্বী মাত্র। অথবা ক্ষমতার ছিটেফোঁটাও তাঁর হাতে নেই। পুরো রাষ্ট্রটাই সেনার নিয়ন্ত্রণে।
যুদ্ধ হবে কি হবে না, সেটা পরের কথা। কিন্তু একটা ব্যাপারে সকলেই একমত। সেটা হল পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দিতে হবে। সেটা শুধু দেশের মানুষই চায় না, সেই বার্তাই দিয়েছে বিশ্বের অন্তত ৪৯টি দেশ। তার মধ্যে আগে রয়েছে আমেরিকা। এছাড়া আছে ইজরায়েল, জার্মানি,কানাড়া, ব্রিটেন। পুলওয়ামার এই হত্যালীলা সারা বিশ্বের কাছে পাকিস্তানকে নগ্ন করে দিয়েছে। আরও তাকে মাটিতে আছড়ে ফেলার প্রস্ততি নেওয়া হোক। আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাকে একবারে কোণঠাসা করে ফেলা হোক কূটনৈতিক কৌশলে। এইকাজে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কতটা সফল হন, সে দিকে তাকিয়ে শুধু শহিদের পরিবার নয়, সারা দেশই।