বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
এদিন সভামঞ্চ থেকে তৃণমূল নেতারা দলীয় কর্মীদের আরও সংঘবদ্ধ হওয়ার ডাক দেন। আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে রেকর্ড ব্যবধানে জয় হাসিল করার লক্ষ্যে এখন থেকেই আদাজল খেয়ে ময়দানে নামার জন্য কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়। সংসদ সদস্য সৌমিত্র খাঁয়ের দলত্যাগের বিষয়টি মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলার জন্য এদিন কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে বলা হয়।
উল্লেখ্য, বড়জোড়া বিধানসভা কেন্দ্রটি বিষ্ণুপুর লোকসভার অন্তর্গত। গত বিধানসভা নির্বাচনে বড়জোড়ায় তৃণমূলের তারকা প্রার্থী সোহম সিপিএমের কাছে হেরে যান। তখন থেকেই বড়জোড়ায় শাসক দল কিছুটা ব্যাকফুটে রয়েছে। গত তিন বছরে ওই বিধানসভা এলাকার কয়েকটি পঞ্চায়েতে বিজেপি-র সংগঠন বৃদ্ধি পেয়েছে। লাগোয়া গঙ্গাজলঘাটিতে বিজেপি একটি গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়লাভ করে। এদিকে, বুধবার দলের সংসদ সদস্য বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ফলে তৃণমূলের অন্দরে শোরগোল পড়ে যায়। সংসদ সদস্য দল ছাড়ায় তৃণমূলের যে বিন্দুমাত্র ক্ষতি হয়নি সেটা প্রমাণের জন্য জনসভায় ভালো জনসমাগমের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল। এদিনের সভায় ব্যাপক ভিড় হওয়ায় নেতৃত্ব সন্তোষ প্রকাশ করেন। এদিন বড়জোড়া উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন ফুটবল ময়দানের সভায় প্রচুর জনসমাগম দেখে শাসক দলের নেতারা দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করার লক্ষ্যে বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ করেন।
এদিনের সভায় অরূপ চক্রবর্তী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বহু লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তৃণমূল তৈরি হয়েছে। এই দলকে আমরা চোখের মণির মতো আগলে রেখেছি। আর যাঁরা সিঙ্গুর, নেতাই, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় দলে ছিলেন না, তাঁরা তৃণমূলের আবেগ ততটা নাও বুঝতে পারেন। কারও বিরুদ্ধে ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকলে দলীয় শৃঙ্খলা মেনে তা নেতৃত্বকে জানাতে হবে। কিন্তু, দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খোলা উচিত নয়। দলকে অপদস্থ করা কোনও অবস্থাতেই মেনে নেওয়া যায় না। বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি হালে পানি পাবে না। লোকসভা কেন্দ্রের কোণায় কোণায় গিয়ে মিছিল-সভা, পাড়ায় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করে প্রমাণ করে দেব, মাথার উপর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছাতা সরে গেলে, তৃণমূলের বাইরে গেলে তথাকথিত সেই ‘হেভিওয়েট’ নেতার মানুষের কাছে কদর কতটা!