বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
এদিন কোর্সগুলির আনুষ্ঠানকিভাবে ক্লাস শুরু নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী, রেজিস্ট্রার জয়ন্তকিশোর নন্দী, এনএসকিউএফের নোডাল অফিসার সৌদীপকুমার সাউ সহ অন্যান্যরা।
উপাচার্য বলেন, এধরনের সার্টিফিকেট কোর্সের গুরুত্ব বর্তমানে অনেকটাই। স্বাধীনতার এত বছর পরেও চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বর্তমান প্রজন্মের পড়ুয়াদের অনেক সমস্যা হয়। তবে পাশাপাশি এটাও ভাবতে হবে, এ ধরনের পড়াশুনার বিষয়ে ভারত সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়ায় ভালো গবেষণা, নতুন আবিষ্কারের মতো ঘটনা কমছে। জানা, শেখার জন্য শিক্ষা নেওয়া এখন কমছে। এটা একটা আক্ষেপের বিষয়।
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, এ ব্যাপারে প্রথমে ইউজিসির থেকেই প্রস্তাব আসে। সেই মতো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিক অধ্যাপক বেশকিছু কোর্স প্রস্তাব আকারে জমা দেয়। সেখান থেকে বাছা হয় এই তিনটি কোর্স। তা প্রস্তাব আকারে ইউজিসির কাছে পাঠানো হলে, ইউজিসি এই তিনটি সার্টিফিকেট কোর্সকে মান্যতা দেয়। সৌদীপবাবু বলেন, ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এই কোর্সগুলি করা নিয়ে উৎসাহ রয়েছে। আশা করছি, তারা অনেকটাই লাভবান হবেন।
‘সার্টিফিকেট পোগ্রাম ইন এন্ট্রিপ্রিনিয়রশিপ ডেভেলপমেন্ট’ কোর্সে ভরতি হয়েছেন ২৭জন। এই কোর্স সম্পর্কে এমবিএ বিভাগের বিভাগীর প্রধান অধ্যাপক দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, এমবিএ করে অধিকাংশ ছাত্রই বড় বা মাঝারি কোনও চাকরিতে যোগ দিচ্ছেন। কেউ নিজের উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগাচ্ছে না। এ ধরনের কোর্স করে পড়ুয়ারা নিজেরাই নিজেদের ইচ্ছেমতো ব্যাবসা শুরু করুক। কীভাবে সেটা করতে হয়, আইন কী, এই ধারণা আমরা দেব। আর জেলার কিছু বেসরকারি শিল্প সংস্থা তাদের হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেবে। সে ব্যাপারে কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে আমাদের কথা হয়ে গিয়েছে।
‘সার্টিফিকেট কোর্স অন ডায়েটেটিক্স’ প্রসঙ্গে অধ্যাপক সন্দীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, শহরাঞ্চলের সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের কী কী খেতে হবে, কী খাওয়া প্রয়োজন, এসব গাইড করার লোক থাকে। কিন্তু একটু মফস্সলে এ ধরনের লোক পাওয়া যায় না। এই কোর্স করে পড়ুয়ারা এ ব্যাপারে একটা ধারণা পাবে। সঙ্গে কলকাতার নামী বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে আমরা ওদের হাতেকলমে প্রশিক্ষণও দেব। এই কোর্সে ভরতি হয়েছেন ৩৩ জন। ‘সার্টিফিকেট কোর্স ইন বিকিপিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের’ মাধ্যমে মৌমাছি প্রতিপালন শিখে স্বাবলম্বী হওয়া অনেকটাই সহজ হবে। এই কোর্সে ভরতি হয়েছেন ২৫ জন। অধ্যাপক প্রকাশ কর্মকার বলেন, গ্রামীণ এলাকার ছেলেমেয়েরা এ ধরনের কোর্স করে অনেকটাই উপকৃত হবেন।