বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালের ভর্তি থাকা রোগীদের রক্ত সহ অন্যান্য পরীক্ষার জন্য বাইরের একাধিক ল্যাবের এজেন্টরা ওয়ার্ডে এসে নমুনা সংগ্রহ করে যেতেন। সেই পদ্ধতি কর্তৃপক্ষ আটকাতে পারেনি। দালালদের দাপটে বছর দু’য়েক আগে পুলিস দু’জনকে আটকও করে। পরে মহকুমা হাসপাতালে থাকা পুরুষ, মহিলা উভয় বিভাগের মেডিসিন ওয়ার্ড নব নির্মিত সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও আঁটোসাঁটো করা হয়। তারপরও নিরাপত্তা রক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে একশ্রেণীর দালাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢুকে রোগীদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করছে বলে কর্তৃপক্ষ বুঝতে পেরেছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে বর্তমানে প্রত্যেক রোগী পিছু একজন করে বাড়ির লোক থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১০টা এবং বিকেল ৪টে থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত রোগীর সঙ্গে বাড়ির লোকেদের সাক্ষাতের সময় দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, সাক্ষাতের সময় রোগীর বাড়ির লোকের কাছে থাকা লাল কার্ড নিরাপত্তা রক্ষীদের দেখিয়ে বাইরের ল্যাবের দালালরা ঢুকে যাচ্ছিল। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা রক্ষীদের বোঝার উপায় থাকত না। তাই এই ঘটনায় রাশ টানতেই যেসব পরীক্ষা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ল্যাবে হয় না তার প্রেসক্রিপশনে বেড ইনচার্জের স্বাক্ষরের পাশাপাশি স্ট্যাম্প দেওয়া হচ্ছে। কিছুদিন ধরে এই প্রক্রিয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শুরু করেছে।
এব্যাপারে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সিস্টার ইনচার্জ তনুশ্রী বক্সি বলেন, ওয়ার্ডে একাধিক রোগী থাকেন। তাই সবসময় বাইরের লোকেদের চেনা যায় না। কর্তৃপক্ষের নির্দেশমতো প্রেসক্রিপশন বাড়ির লোক আমাদের কাছে নিয়ে এলে তাতে স্ট্যাম্প দিয়ে তবেই বাইরে পাঠানো হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে রোগীর পরিজনদেরও সচেতন হওয়া উচিত।
সুপারের দাবি, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রক্তের পরীক্ষা করার পরিকাঠামো নেই। তবে এখানে অধিকাংশ প্রয়োজনীয় পরীক্ষা বিনামূল্যে হয়। কিন্তু, প্রেসক্রিপশনে একাধিক পরীক্ষা লেখা হলে সবই রোগীর পরিজনদের বাইরের ল্যাবে করাতে বাধ্য করানো হতো। বর্তমানে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সঠিক পরিকাঠামোর অভাবে বহু রোগীই পরিষেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হন। সেইজন্য রোগীর পরিজনরা বাইরের ল্যাবে গিয়ে রক্ত পরীক্ষা করাতে বাধ্য হন। শুধু তাই নয়, এখনও স্ক্যানের ব্যবস্থা হয়নি। তাই মাথায় চোট লাগলে রোগীকে বাইরের প্যাথোলজি সেন্টারের উপরই ভরসা করতে হয়। এছাড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ডিজিটাল এক্স রে মেশিন থাকলেও প্লেটের অভাবে সেই পরিষেবাও চালু হয়নি। দূর দূরান্ত থেকে আসা গরিব রোগীদের মোটা টাকা দিয়ে তবে চিকিৎসা সংক্রান্ত বিভিন্ন পরীক্ষা বাইরে করাতে হয়।