বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
রাজনৈতিক মহলের মতে, নিশীথবাবুকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করার পর এখনও দলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব পুরোপুরি মেটেনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন কী বার্তা দেন সেদিকেই তৃণমূল কর্মীদের আগ্রহ ছিল। মাদার নাকি যুব কাকে তিনি অগ্রাধিকার দেন সেটাও বুঝে নিতে চেয়েছিলেন কর্মীরা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে লোকসভা নির্বাচনের আগে দ্বন্দ্বের বিরুদ্ধে কড়া মনোভাব দেখিয়ে কার্যত দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের উপরই তিনি ভরসা রাখলেন। তিনি চলে যাওয়ার পরই রবীন্দ্রনাথবাবু একজন বিধায়ককে সামনে পেয়েই জানিয়ে দেন শিং ভেঙে বাছুরের দলে আর যাবেন না। কোনও এদিক ওদিক করা যাবে না। দলের জেলা সহ সভাপতি আবদুল জলিল আহমেদ বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও আগে জেলার পর্যবেক্ষক হলে দলটা আরও ঐক্যবদ্ধ হতো।
অভিষেকবাবু তাঁর বক্তব্য শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যেই দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে তীব্র ভাষায় সতর্ক করা শুরু করেন। মঞ্চে তখন বিভিন্ন স্তরের যুব নেতা ও যুব ঘনিষ্ঠ বিধায়কদের একাংশ একে অপরের মুখ চাওয়াচায়ি শুরু করেন। বিরোধীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা প্রস্তুত রয়েছি। আগামী দিনে গণতান্ত্রিকভাবে জবাব দেব। পঞ্চায়েত স্তরে কোচবিহার জেলায় যে কয়েকটি আবর্জনা রয়েছে তা ঝেঁটিয়ে বিদায় কীভাবে করতে হয় তা জানা আছে। দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে বলেন, আমি বারবার বলেছি তৃণমূল কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কে বড় কে ছোট এসব করা যাবে না। আমাদের দল একটা। নেত্রীও একজন। মাথায় রাখবেন একজনকে আমি চিহ্নিত করেছি, আমি বারবার সুযোগ দিয়েছিলাম, বলেছিলাম সমঝে চল, নিজেরা সতর্ক হও। কিন্তু কেউ যদি ভাবে দলের ভিতরে থেকে দলকে দুর্বল করব, এই জেলার পর্যবেক্ষকের নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, আমি ছেড়ে কথা বলব না। দলে নতুন পুরনোর সংমিশ্রণে দলকে বলিষ্ঠ করার কথা নেত্রী বলেন। দলে অন্য দল থেকে কেউ আসতে চাইলে রবিদাকে বলছি আমরা স্বাগত জানাব।
অভিষেকবাবু আরও বলেন, একটা বটগাছের শাখা প্রশাখা কেটে দেওয়া হলে সেই গাছ শক্তিশালী হয় না। আবার তার শিকড় কেটে দিলেও শক্তিশালী হয়না। যুব যুব’র কাজ করবে। মাদার মাদারের কাজ করবে। মাথায় রাখবেন আমি বুক ঠুকে একটা কথা বলে যাচ্ছি তৃণমূলের মূল সংগঠনকে বাদ দিয়ে কোনও শাখা প্রশাখা চলবে না। নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে কেউ যদি দলের ক্ষতি করে তবে এটা আমার শেষবারের হুঁশিয়ারি আমি ছেড়ে কথা বলব না। মাস খানেকের মধ্যে ফের আসব। লোকসভা নির্বাচনে দলের প্রার্থীকে পাঁচ লক্ষ ভোটে জেতানোর দাবিও তিনি জানিয়েছেন। অন্যদিকে, ব্রিগেডের সভাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেতৃত্বরা আসবে বলে তিনি জানিয়েছেন। বিজেপির রথযাত্রার উদ্যোগ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধেও তিনি খড়্গহস্ত হন। তাঁর দাবি এবার বিজেপি ১৫০টি আসনও পাবে না। এদিনের সভাকে তিনি মিনি ব্রিগেড বলে উল্লেখ করেন।