বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
এদিকে এদিন সকালে ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বহির্বিভাগে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ওই যুবকের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। তাঁর ইসিজির পাশাপাশি মানসিক চিকিৎসককে দিয়েও পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষার পরেই হাসপাতালের সুপার চন্দন ঘোষ জানিয়ে দেন, ওই যুবককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যুবকের পরিবারের অভিযোগ, তাদের ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যুবকের বাবা রাজমোহনবাবু ও কাকা ললিতমোহনবাবু বলেন, বিনোদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছেলেকে ভর্তি করার পর আমাদের রোগীকে দেখার জন্য ভিজিটিং কার্ডও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে ছেলেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ছেলেকে হাসপাতালে খুঁজে না পেয়ে সন্ধ্যার দিকে পরিবারের লোকজন ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখায়। হাসপাতালে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদেরও। এনিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের বচসাও হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে হাসপাতালে পুলিসকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। শেষ পর্যন্ত হাসপাতালের সুপার চন্দনবাবুকে কড়া পুলিসি পাহারায় তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনার পর সন্ধ্যায় জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ডেপুটি সিএমওএইচ সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখার পর ওই যুবককে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সে একা একা বাড়ি চলে গিয়েছে। এদিকে হাসপাতালে এই ঘটনার পর সন্ধ্যার দিকে যুবকের বাবা রাজমোহনবাবু থানায় ছেলেকে মারধর করার জন্য জেলাশাসক ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। হাসপাতালে ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে যুবকের পরিবার থানায় নিখোঁজেরও অভিযোগ করেছে।
যুবকের এক কাকা গৌরাঙ্গ সরকারের অভিযোগ, তাঁর ভাইপোকে মামলা না করার জন্য সরকারি চাকরি দেওয়ার টোপ দেওয়া হয়েছিল। আমাদের ধারণা সে জন্যই বলা হচ্ছে সে হাসপাতালে নেই। বিতর্কিত এই ঘটনার তদন্তে পুলিস সুপার সুনীল কুমার যাদব এদিন ফালাকাটা থানায় ঘাঁটি গেড়ে বসেছিলেন। থানা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় পুলিস সুপার এই ঘটনা নিয়ে কোন মন্তব্যও করতে চাননি। সন্ধ্যার পর পুলিস সুপার তাঁর মোবাইল ফোনও বন্ধ করে দেন। থানায় ঢুকে জেলাশাসক ও তার স্ত্রী কীভাবে এক যুবককে মারধর করলেন তা নিয়ে ফালাকাটা থানার আইসি সৌম্যজিৎ রায়ের ভুমিকা নিয়েও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও এবিষয়ে আইসি কোনও মন্তব্য করেননি।