শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
গত ১২ ফেব্রুয়ারির ঘটনা। চিত্রকূট শহরের নামকরা তেল ব্যবসায়ী ব্রিজেশ রাওয়াতের যমজ সন্তানকে অপহৃত করে দুষ্কৃতীরা। দুই ভাই-ই সদগুরু পাবলিক স্কুলের কিন্ডারগার্ডেনের ছাত্র। পুলিস জানিয়েছে, ওইদিন স্কুলের বাসে করে দুই ভাই বাড়ি ফিরছিল। নির্দিষ্ট স্থানে নামিয়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দুষ্কৃতীরা তাদের অপহরণ করে চম্পট দেয়। দুষ্কৃতীরা বাইকে চেপে এসেছিল। কালো কাপড়ে তাদের মুখ ঢাকা ছিল। দুই ভাইয়ের মাথায় রিভলবার ঠেকিয়ে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশ সীমান্ত শহরে দুষ্কৃতীদের এই প্রকাশ্য-তাণ্ডবে প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, অপহরণ করার কয়েক ঘণ্টা পর মুক্তপণ চেয়ে ওই ব্যবসায়ীর কাছে ফোন আসে। পুরো ঘটনাটি তিনি পুলিসকেও জানিয়েছিলেন।
অপহরণের ঘটনাটি সীমান্ত এলাকায় হওয়ায় উত্তরপ্রদেশ পুলিসও তদন্ত শুরু করে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে শুরু হয় যৌথ অভিযান। কিন্তু এগারো দিন বাদেও যমজ দুই ভাইয়ের হদিশ পেতে ব্যর্থ হয় পুলিস। দুই ভাইয়ের খোঁজ দিলে ৫০ হাজার টাকার আর্থিক পুরস্কারও ঘোষণা করে মধ্যপ্রদেশ পুলিস। কিন্তু পুলিসের সব চেষ্টাই বিফলে যায়। শনিবার সন্ধ্যায় যমজ ভাইয়ের দেহ যমুনা নদীর জলে ভেসে উঠতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। উত্তরপ্রদেশ পুলিস দেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ঘটনার নিন্দা করে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি তুলেছেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। রাজ্যের মন্ত্রী পি সি শর্মা জানিয়েছেন, পুলিস ইতিমধ্যেই সন্দেহভাজন ছ’জনকে গ্রেপ্তার করেছে। উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশ পুলিসের যৌথ অভিযানে বাকি দুষ্কৃতীরাও শীঘ্রই গ্রেপ্তার হবে।