শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
এদিন ঘটনার খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এক ট্যুইট বার্তায় মালদহের নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, উত্তরপ্রদেশ থেকে নিহত শ্রমিকদের মৃতদেহ মালদহে আনার জন্য রাজ্য পুলিসের একটি দল সবরকম সহযোগিতা করবে। রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই নিহত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে মালদহ রওনা দিয়েছেন।
মালদহ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণে মৃত ওই ৯ জন শ্রমিকের প্রায় সকলেই মানিকচকের এনায়েতপুরের বাসিন্দা। মৃতরা হলেন-আতায়ুর মোমিন, আবদুল গফ্ফর, মহম্মদ সুভান আনসারি, ইসরাফিল মোমিন, আবদুল কালাম মোমিন, আলমগির মোমিন, আজাদ মোমিন, আবদুল কাদির এবং মোসোয়ার। এদের মধ্যে মোসোয়ার মানিকচকের মথুরাপুরের কামালপুর গ্রামের এবং বাকিরা এনায়েতপুরের বাসিন্দা। মৃতদের বয়স ২৮-৩৫ বছরের মধ্যে। এরা উত্তরপ্রদেশে একটি কার্পেটের কারখানায় কাজ করতেন। এদের মধ্যে সাত জন মাস দুয়েক আগে সেখানে কাজে যান। বাকি দু’জন গত বুধবারই সেখানে গিয়েছেন। এদের অনেকেরই ছোট ছোট ছেলেমেয়ে রয়েছে। দুঃসংবাদ গ্রামে আসতেই পরিবারগুলির মাথায় বাজ ভেঙে পড়ে। ঘরে ঘরে কান্নার রোল পড়ে যায়। এদিকে মৃতদেহ গ্রামে ফিরিয়ে আনতে জেলা প্রশাসন ও পুলিসের একটি দল স্থানীয়দের নিয়ে আজই উত্তরপ্রদেশের উদ্দেশে রওনা হয়ে গিয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের ভাদোহি এলাকায় বিস্ফোরণের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শনিবার বিকেলের ওই বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, কারখানার পাশের তিনটি বাড়ি ভয়ঙ্কর শব্দে ভেঙে পড়ে। প্রশাসনিক তরফে আশঙ্কা করা হচ্ছে ওই ধ্বংসস্তূপের ভিতরেও বেশ কয়েকজন আটকে থাকতে পারেন। ঘটনায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল (এনডিআরএফ) উদ্ধারকাজে নেমেছে। জেলাশাসক রাজেন্দ্র প্রসাদ বলেন, কলিয়ার মনসুরি নামে এক ব্যক্তির রোহতা বাজার এলাকার ওই কার্পেট কারখানা লাগোয়া একটি দোকান রয়েছে। ওই দোকানেই বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তাঁরও মৃত্যু হয়েছে। মনসুরির দোকানের পিছনেই তাঁর ছেলের কার্পেট তৈরির কারখানা রয়েছে। বিস্ফোরণে ওই কারখানারই শ্রমিকদের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে স্থানীয়দের দাবি, মনসুরির বাজি তৈরির বেআইনি ব্যবসা ছিল। ওই দোকান লাগোয়া কার্পেট কারখানায় গোপনে বাজি বানানো হত। পুলিসের সন্দেহ, বাজি বানানোর সময়েই বিস্ফোরণ ঘটেছে। ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক দল, এনডিআরএফ এবং জেলা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা পৌঁছেছেন।