শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতারা এই গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা শুরু করেছেন। পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার এটা কী শুরু করেছে? হুরিয়ৎ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতবাদী নেতাদের এভাবে অবাধে গ্রেপ্তার করার কারণ কী? মুফতির প্রশ্ন, তাহলে কি কাশ্মীরকে সম্পূর্ণ মিলিটারি রাজ্যে পরিণত করছে কেন্দ্রীয় সরকার? এর ফল অত্যন্ত খারাপ হতে চলেছে। পিপলস কনফারেন্স নেতা সাজিদ লোন বলেছেন, ১৯৯০ সালে এই একই প্রক্রিয়া একবার নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনওভাবেই জঙ্গি দমন করা যায়নি। তাই কাশ্মীরে জোর করে দমনমূলক নীতি নেওয়া উচিত নয়। তাহলে হিতে বিপরীত হবে। তার থেকে আলোচনার রাস্তাই একমাত্র পথ। কাশ্মীর যে পুরোদস্তুর বারুদের স্তূপে পরিণত করা হয়েছে, পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর গোয়েন্দা সংস্থাগুলি সেরকমই খবর পেয়েছে। বিশেষ করে সবথেকে উদ্বেগজনক বার্তা হল বিপুল পরিমাণ আরডিএক্স ঢুকেছে উপত্যকায়। আবার একইসঙ্গে জয়েশ ই মহম্মদের একঝাঁক জঙ্গি গোপনে ঢুকে লুকিয়ে আছে। পুলওয়ামার হামলায় যে আত্মঘাতী জঙ্গি প্রধান আক্রমণকারী সেই আদিল আহমেদ দার স্থানীয় তরুণ। তাই তাকে যারা ট্রেনিং দিয়েছে এবং এই আক্রমণের আগে যে গ্রুপটি ঢুকেছে তারা কোথায়? সেই জঙ্গিদের খোঁজেই এবং বিস্ফোরক ও অস্ত্রশস্ত্র খুঁজে বের করতেই তুমুল অভিযান শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কাশ্মীরের অন্দরে যেমন অভিযান চলছে, তেমনই অতিরিক্ত বিএসএফ বাহিনী নিয়ে এসে গোটা কাশ্মীর সীমান্ত ও নিয়ন্ত্রণরেখা সিল করে দেওয়ার চেষ্টা শুরু হয়েছে। কারণ একদিকে যেমন তল্লাশি অভিযান চলছে তেমনই যাতে একজনও সীমান্ত পেরিয়ে পালাতে না পারে সেটাই লক্ষ্য। এই কারণেই ১০ হাজার আধা সেনা নেমেছে। আসছে আরও বাহিনী। মোতায়েন করা হচ্ছে সেনাও। শুধু কাশ্মীরেই নয়, বিগত কয়েকদিন ধরেই দিল্লির আকাশে নিয়ম করে এয়ারফোর্সের বিমানের মহড়া চলছে। সেই জল্পনাও তুঙ্গে। বায়ুসেনা অবশ্য জানিয়েছে সবটাই রুটিন মহড়া!