শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
আরপিএফ সূত্রের খবর, রেল রোকোর কারণে মাঝেমধ্যেই প্রবল সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় সাধারণ যাত্রীদের। যে কোনও দাবিদাওয়া আদায় করতে চাইলেই দলবল নিয়ে রেললাইনে বসে পড়ে ট্রেন আটকে দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। সকালের দিকে অফিস আওয়ার্সে ব্যস্ত রেল শাখাগুলিতে অবরোধের কারণে অনেক সময়ই চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় অফিস যাত্রীদের। সম্প্রতি রেলের গ্রুপ ডি পদের পরীক্ষা চলার সময়ে রেল অবরোধের কারণে ভুবনেশ্বরে পৌঁছে পরীক্ষাই দিতে পারেননি পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী। সবথেকে বড় কথা, রেল অবরোধ করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় স্টেশন চত্বর এবং ট্রেনে ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। এই যাবতীয় পরিস্থিতির মোকাবিলায় এবার আরও কড়া হতে চাইছে রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স।
রেল রোকোর কারণে গ্রেপ্তারের সংখ্যা বৃদ্ধির পরিমাণটি ঠিক কেমন? জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে সারা দেশে এই ইস্যুতে মোট তিন হাজার ৬১১ জন রেল অবরোধকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ২০১৭ সালে সেই সংখ্যাটি বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৭০৯ এ। এবং ২০১৮ সালে রেল অবরোধ এবং ভাঙচুরের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মোট চার হাজার ১১৩ জন আন্দোলনকারীকে। একইভাবে বেড়েছে এই সংক্রান্ত দায়ের হওয়া অভিযোগের সংখ্যাও। তার পরিমাণটা কীরকম? আরপিএফ সূত্রের খবর, ২০১৭ সালে সারা দেশে রেল রোকো এবং ভাঙচুরের ঘটনা সংক্রান্ত মোট চার হাজার ৪০৫টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে পাঁচ হাজার ৩৪৬টি অভিযোগ। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এসব ক্ষেত্রে দোষী সাব্যস্ত হলে আন্দোলনকারীদের প্রচুর সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। যিনি কর্মরত, তাঁকে চাকরি হারাতে হতে পারে। রাজনীতির সঙ্গে যিনি সরাসরি যুক্ত, তিনি বেকসুর প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে লড়তে পারেন না। ফলে এক্ষেত্রে কঠোর আইনের প্রয়োগ করে অবরোধকারীদের দমানোর পন্থা নিতে চাইছে আরপিএফ।