শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
‘রোবোকন ২০১৯’ নামে এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ২০০৫ সালে এইমস-এ দেশের প্রথম রোবোটিক সার্জারি (প্রস্টেট অপারেশন) করা পদ্মশ্রী প্রাপক বিখ্যাত সার্জেন ডাঃ অশোক হেমল। এদিনের অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা টাটা মেডিক্যাল সেন্টার (টিএমসি)-এর বিশিষ্ট ইউরো-অঙ্কো রোবোটিক সার্জেন ডাঃ সত্যদীপ মুখোপাধ্যায়, ডাঃ সুজয় গুপ্ত প্রমুখের দাবি, যতদিন যাচ্ছে এ পদ্ধতির অপারেশন আরও জনপ্রিয় হচ্ছে। কারণ, এক, সময় কম লাগে। দুই, কম কাটাকাটি করতে হয়। তিন, কম রক্তপাত হয়। চার, কম সময় হাসপাতালে থাকতে হয় এবং পাঁচ, ওপেন সার্জারির থেকে কম সময়েই স্বাভাবিক জীবনে ফেরা যায়। তাঁরা জানান, ২০১৮ সালেই সারা দেশে প্রায় ১০ হাজার রোবোটিক সার্জারি হয়েছে। আগামী ১০ বছরে সংখ্যাটি ১০ গুণ বাড়বে। দেশ তথা পৃথিবীর অন্যতম সেরা হেমাটো-অঙ্কোলজিস্ট এবং টিএমসি’র ডিরেক্টর পদ্মশ্রী প্রাপক ডাঃ মাম্মন চণ্ডী বলেন, এ ধরনের সম্মেলনের আয়োজন করতে পেরে আমরা গর্বিত।
প্রশ্ন হল, এই সার্জারি কি পুরোটাই রোবোটরাই করে? এতে কি ভুলচুক হয় না? এ ধরনের অপারেশন করতে গিয়ে গাফিলতির অভিযোগ উঠলে, কার দিকে আঙুল তোলা হবে? কখনও কি এমন হয়নি, এই সার্জারি করতে করতে বাধ্য হয়ে ওপেন সার্জারি করতে হয়েছে? রোবোটিক সার্জেনরা জানান, একটি কনসোল বা ক্যাবিনেটের মধ্যে ঢুকে এই অপারেশন পরিচালনা করেন সার্জেনরাই। তাঁরা যেভাবে হাত নাড়েন, পরিচালনা করেন, ঠিক সেইভাবেই মানবদেহে অপারেশন করতে থাকে রোবোটরা। ডাঃ রাওয়াল বলেন, বাধ্য হয়ে এক-দু’বার ওপেন সার্জারি করার মতো ঘটনার উল্লেখ রয়েছে পরিসংখ্যানে। কিন্তু, তা কয়েক হাজারে এক কী দু’বার। আর গাফিলতির অভিযোগ উঠলে এমসিআই বা রাজ্য কাউন্সিলের কাছে সে অভিযোগ উঠবে চিকিৎসকের বিরুদ্ধেই। রোবোটের বিরুদ্ধে নয়।
আর খরচ? এক-একটি রোবোটের দাম কমবেশি ১০ কোটি টাকা হওয়ায়, অপারেশন খরচও ওপেন অপারেশনের থেকে কিছুটা বেশি। কিন্তু, হাসপাতালের থাকার সময় কমে যাওয়া, ক্ষত সারতে কম সময় লাগায় ওষুধ খরচ কম হওয়া, দ্রুত কাজে ফেরা এই সুবিধা ধরলে খরচের ফারাক অনেকটাই কম হয়ে আসে। এমনই দাবি রোবোটিক সার্জেনদের।