বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
বিদেশের বাজারে পর্ক বা শূকরের মাংসের প্রচুর চাহিদা। অপ্রচলিত মাংসের মধ্যে বেশ ভালো চাহিদা রয়েছে খরগোশেরও। কেন্দ্রীয় সরকার চায়, ওই দুই প্রজাতির মাংসের পাশাপাশি শিভন বা খাসির মাংসও বাইরের দেশে বিক্রি হোক। সেই কাজে গতি আনতেই দরকার রাজ্যে রাজ্যে বেশি পরিমাণ পশুপালন। তার জন্য প্রয়োজন পশুপালনের একটি ‘সফল’ মডেলকে সামনে আনা, যা দেখে অন্য রাজ্যগুলি উৎসাহিত হবে। কীভাবে মাংস বেচে লাভবান হওয়া যায় এবং চাষিদের লাভের মুখ দেখানো যায়, সেই তথ্যই রাজ্যে রাজ্যে জানাবে কেন্দ্র। ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভ স্টক কর্পোরেশনের কর্তাদের বক্তব্য, এ রাজ্যের খরগোশ চাষকে সবার আগে নজরে আনে কেন্দ্র। গোটা দেশে কোথাও সংগঠিতভাবে খরগোশ চাষ করা হয় না। সরকারপক্ষ থেকেও তেমন উৎসাহ দেওয়া হয় না। অথচ দেশ-বিদেশে বিরাট বাজার পড়ে আছে এই মাংসের। উত্তর ২৪ পরগনা, নদীয়া এবং হুগলিতে যেভাবে কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে খরগোশ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা, সেটাই এবার সরেজমিনে দেখে যেতে চান কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের কর্তারা। তবে কেন্দ্রের উৎসাহ খরগোশের পাশাপাশি শূকর ও ছাগল নিয়েও। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় কীভাবে তাদের বাড়বাড়ন্ত, তারও তত্ত্বতালাশ করতে চায় কেন্দ্র। রাজ্য প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের কর্তারা বলছেন, হুগলি ও নদীয়ায় অন্তত ২২ জন কৃষক বৈজ্ঞানিকভাবে ছাগল প্রতিপালন করছেন, যার মাংস সরাসরি কিনে নিচ্ছে ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভ স্টক কর্পোরেশন। শূকরের ক্ষেত্রে কৃষকের সংখ্যা ৩০ জনেরও বেশি।
কেন্দ্র ঠিক কী চাইছে? ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভ স্টক কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর গৌরীশঙ্কর কোনারের কথায়, দিল্লি থেকে আমাদের কাছে জানতে চাওয়া যায়, আমরা কীভাবে কৃষকদের পশুপালনে উৎসাহ দিচ্ছি এবং সরাসরি তাদের থেকে মাংস কিনে নিচ্ছি। প্রাথমিক কথাবার্তা যতটুকু এগিয়েছে, তাতে আমাদের রাজ্যকে অন্য রাজ্যের কাছে মডেল হিসেবে তুলে ধরতে চায় তারা। শীঘ্রই দিল্লি থেকে অফিসাররা আসবেন কলকাতায়। তাঁরা দেখতে চান, বাস্তবে ঠিক কী কাজ করছি আমরা। সেই মতো রিপোর্ট তৈরি করবেন তাঁরা। মাংস রপ্তানি করতে যেহেতু উৎপাদন বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই, তাই পশুপালনের বহর বৃদ্ধির চাবিকাঠি জানতে আগ্রহী দিল্লি।
‘হরিণঘাটা মিট’ ব্র্যান্ডের আওতায় মাংস বেচে ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভ স্টক কর্পোরেশন। তবে এখানকার কর্তাদের বক্তব্য, মুনাফা করার চেয়েও সংস্থার বড় দায়িত্ব কৃষকদের লাভের মুখ দেখানো। কর্তাদের দাবি, সেই কাজে কর্পোরেশন সফল। এ ব্যাপারে কেন্দ্র যদি তাদের পরামর্শ চায়, তাহলে তা দিতে অসুবিধা কী, বলছেন তাঁরা।