বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এবছর গোটা রাজ্যে তিন কোটির অল্প কিছু বেশি গাপ্পি মাছ ছাড়া হবে। যেখানে গতবছর মাত্র ৪০ লক্ষের কিছু বেশি গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছিল। গাপ্পি মাছ সরবরাহের দায়িত্বে থাকা এক আধিকারিক জানান, গত বছর উত্তরবঙ্গে সেভাবে গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়নি। দক্ষিণবঙ্গে শুধুমাত্র পুরসভা এলাকায় ছাড়া হয়েছিল। তবে কয়েকটি গ্রামীণ এলাকায় সামান্য কিছু গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছিল। এবছর পুরসভা, পঞ্চায়েত এলাকা এবং আধা শহুরে এলাকায় গাপ্পি মাছ সরবরাহ করা হবে। দক্ষিণবঙ্গে রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগম এবং উত্তরবঙ্গে মৎস্য দপ্তর সরাসরি এই মাছ স্থানীয় প্রশাসনকে সরবরাহ করবে।
মৎস্য দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলতি মাসের প্রথম থেকে গাপ্পি মাছ সরবরাহের কাজ শুরু হয়েছে। ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে এই কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গের আটটি জেলায় (দার্জিলিং, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং এবং গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) এক কোটি গাপ্পি মাছ দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই সেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে বাকি মাছ দেওয়ার কাজও সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে মৎস্য দপ্তরের এক কর্তা জানান। অন্যদিকে, নিগমের পক্ষ থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন পুরসভা এবং ব্লক প্রশাসনকে মোট ২ কোটি ২ হাজার ৮১৮টি গাপ্পি মাছ বিলি করা হবে। যার মধ্যে প্রায় এক কোটির কাছাকাছি মাছ ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়ে গিয়েছে। বাকি মাছও ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে দেওয়া হবে। নিগম সূত্রে জানানো হয়েছে, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সর্বাধিক গাপ্পি মাছ ছড়ানো হবে। যার মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা এবং বসিরহাট মিলিয়ে মোট ৬১ লক্ষ ১২ হাজার ৬৮৯টি গাপ্পি মাছ ছাড়া হবে। বাকি ৫৬ লক্ষের বেশি মাছ জেলার বিভিন্ন অংশে ছড়ানো হবে। অন্যদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা এবং ডায়মন্ডহারবার মিলিয়ে ৪১ লক্ষ ২৮ হাজার ১০০টি গাপ্পি মাছ ছাড়া হবে। যার মধ্যে শুধু ডায়মন্ডহারবারে ৩৩ লক্ষ ৭৮ হাজার ১০০টি মাছ ছাড়া হবে।