বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৫ জুলাই রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামীণ উন্নয়ন দপ্তরের যুগ্মসচিব দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য জেলাশাসক ও জেলা পরিষদের এগজিকিউটিভ অফিসারদের কাছে চিঠি পাঠান। তাতে বলা হয়, গ্রামীণ সড়ক যোজনার তহবিল ছাড়াও জেলায় জেলায় বিভিন্ন তহবিলের টাকায় রাস্তা তৈরি হয়েছে। ওইসব রাস্তা সারাইয়ের জন্য অর্থ সংস্থান করা হয়েছে। গ্রামীণ সড়ক যোজনার তহবিলে না হওয়া রাস্তা সংস্কারের জন্য দ্রুততার সঙ্গে আনুমানিক ব্যয় তৈরির অনুরোধ করা হচ্ছে। বরাদ্দকৃত টাকার এক শতাংশ রাস্তা সংস্কারের কাজে মনিটরিং ও সুপারভাইজিংয়ের জন্য খরচ করা যেতে পারে। দপ্তরের অনুমোদন পাওয়ার পর চলতি আর্থিক বছরের মধ্যেই রাস্তা সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
ওই চিঠির সঙ্গে কোন জেলার জন্য কত টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে তাও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ওই তালিকা অনুযায়ী জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ২২টি ব্লকের জন্য ২৩ কোটি ১০ লক্ষ টাকা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২৯টি ব্লকের জন্য ৩০ কোটি ৫০ লক্ষ, হুগলি জেলার ১৮টি ব্লকের জন্য ১৮ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা ও হাওড়া জেলার ১৪টি ব্লকের জন্য ১৪ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এছাড়া পূর্ব মেদিনীপুরের ২৫টি ব্লকের জন্য ২৬ কোটি ৩০ লক্ষ, পশ্চিম মেদিনীপুরের ২১টি ব্লকের জন্য ২২ কোটি ১০ লক্ষ, বাঁকুড়ার ২২টি ব্লকের জন্য ১৩ কোটি ১০ লক্ষ, পুরুলিয়ার ২০টি ব্লকের জন্য ১০ কোটি, বীরভূমের ১৯টি ব্লকের জন্য ১৫ কোটি, ঝাড়গ্রামের ৮টি ব্লকের জন্য ৪ কোটি ৮০ লক্ষ, মুর্শিদাবাদের ২৬টি ব্লকের জন্য ২৭ কোটি ৩০ লক্ষ, নদীয়ার ১৭টি ব্লকের জন্য ১৪ কোটি ৯০ লক্ষ, পশ্চিম বর্ধমানের ৮টি ব্লকের জন্য ৬ কোটি টাকা, পূর্ব বর্ধমানের ২৩টি ব্লকের জন্য ২৪ কোটি ২০ লক্ষ , শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ৪টি ব্লকের জন্য ৩ কোটি, উত্তর দিনাজপুরের ৯টি ব্লকের জন্য ৫কোটি, জলপাইগুড়ির সাতটি ব্লকের জন্য ৪ কোটি ৪০ লক্ষ, কোচবিহারের ১২টি ব্লকের জন্য ৭ কোটি ৬০ লক্ষ, আলিপুরদুয়ারের ৬টি ব্লকের জন্য ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ গোস্বামী বলেন, আমরা অর্থ বরাদ্দের চিঠি পেয়েছি। গ্রামীণ সড়ক যোজনার বাইরে বিভিন্ন প্রকল্পে তৈরি রাস্তা নিয়ে সুসংগঠিতভাবে চিন্তাভাবনা করা হয়েছে। এর ফলে গ্রামীণ বাংলার মানুষ প্রচণ্ড উপকৃত হবেন।