বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
কৃষির ভবিষ্যৎ এবং রূপান্তর প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নাবিশকে আহ্বায়ক করে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গড়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আজ ছিল সেই কমিটির প্রথম বৈঠক। নীতি আয়োগে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার। কমিটির সদস্য হিসেবে গুজরাত, হরিয়ানা, অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ প্রধানমন্ত্রীর তৈরি এই উচ্চপর্যায়ের কমিটির সদস্য হলেও, এদিন দিল্লিতে আসেননি। ভোপাল থেকেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দিয়েছেন।
কৃষিমন্ত্রক এবং নীতি আয়োগ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকে কৃষিঋণ, সৌরশক্তি, ন্যাশনাল এগ্রিকালচার মার্কেটিং, ক্ষুদ্র সেচ ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশে জোর দেওয়া হয়েছে ২০২২ অর্থাৎ আগামী তিন বছরের মধ্যে কী করে কৃষকদের উপার্জন দ্বিগুণ করা যায়, তা নিয়েই। এবং সেখানেই উৎপাদন বাড়ানোর দিকে যেমন জোর দেওয়া হয়েছে, তেমনি বেসরকারি বিনিয়োগের কথাও বলা হয়েছে। কৃষিক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগ না বাড়ালে উন্নয়নে গতি পাবে না বলেই কমিটির বেশিরভাগ সদস্যের মত। একইসঙ্গে এপিএমসি আইনের সংস্কারও প্রয়োজন বলেই আলোচনা হয়েছে। চুক্তি চাষ নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
হরিয়ানা, পাঞ্জাবের কৃষকের বেশিরভাগ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির চাষের সুবিধা পেলেও দেশের অধিকাংশ কৃষকই তা পায় না। কিন্তু আগামী তিন বছরের মধ্যে কৃষকের উপার্জন দ্বিগুণ করতে হলে চাষের খরচ যেমন কমাতে হবে, একইসঙ্গে উৎপাদন বৃদ্ধির দিকেও জোর দিতে হবে। তাই ফসলের ওপর নজর রাখার জন্য ও ফসল যাতে নষ্ট না হয় তার ব্যবস্থা করার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক কৃষকদেরও যাতে ড্রোন ব্যবহার, স্যাটেলাইট প্রযুক্তির সুবিধা পায়, সেদিকে জোর দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে বাড়তি উদ্যোগ প্রয়োজন বলে আলোচনা হয়েছে। আগামী ১৬ আগস্ট মুম্বইতে মোদির তৈরি এই উচ্চ পর্যায়ের কৃষি কমিটির পরবর্তী বৈঠক হবে।