ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
রায়দিঘি কাছারি মোড় থেকে কিছুটা ভিতরে গেলেই প্রায় ৮৫ বিঘা জায়গা নিয়ে দিঘি। জমিদার বরদাপ্রসাদ রায়চৌধুরীর জায়গাতেই কাছারি মাঠ এবং এই দিঘি। জনশ্রুতি আছে, এই দিঘিকে কেন্দ্র করেই রায়দিঘি নাম। জেলা পরিষদের উদ্যোগে ২০১৯ সালে দিঘিকে কেন্দ্র করে ইকো ট্যুরিজম পার্ক গড়ার কাজ শুরু হয়। সাংসদ চৌধুরীমোহন জাটুয়ার তহবিলের এক কোটি টাকা তখন বরাদ্দ করা হয়। কাজ অনেকটাই এগিয়েছিল। কিন্তু দু’বছর ধরে করোনা পরিস্থিতি ও কঠোর আত্মশাসনে কাজ থমকে যায়। বিধানসভা নির্বাচনের পর রায়দিঘির বিধায়ক ফের এই কাজ শুরুর ব্যাপারে দরবার করেন। তারপরেই আবার জোরকদমে কাজ শুরু হয়েছে। দিঘির পাশে দুইদিকে টালির রাস্তা হয়েছে। বনদপ্তরের রায়দিঘি রেঞ্জের পক্ষ থেকে রাস্তার পাশে গাছ বসানো হয়েছে। রেঞ্জার স্বপনকুমার মণ্ডল এই কাজের দেখভাল করছেন। বনদপ্তর গেটে নোটিস দিয়ে নিয়মবিধির কথা জানিয়েও দিয়েছে। কাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পার্কে প্রবেশ করা যাবে, তবে মোটরবাইক নিয়ে ভিতরে যাওয়া যাবে না। প্লাস্টিক ব্যবহারে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। বিধায়ক বলেন, সুন্দরবনের সুন্দরী, গোলপাতা, হেতাল সহ আরও গাছ বসানো হবে। বোটানির ছাত্ররাও যাতে এই পার্ককে তাঁদের পড়াশোনার কাজে ব্যবহার করতে পারে। দিঘির পাশে বসার জায়গা সহ পর্যটকদের থাকার জন্য বেশ কয়েকটি কটেজ, কাফেটোরিয়া তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দিঘির মাঝে বুদ্ধমন্দির নির্মিত হবে। পাশাপাশি, বোটিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। সাতটি বোট চলবে এই দিঘিতে। বেশ কয়েকটি আলো বসানো হবে। পার্কে প্রবেশের রাস্তাও খুব তাড়াতাড়ি তৈরি করা হবে। নিজস্ব চিত্র