সংবাদদাতা, বারুইপুর: ফের বাঘের পায়ের ছাপ দেখে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সুন্দরবনের মৈপীঠ উপকূল থানা এলাকায়। রবিবার সকালে গুড়গুড়িয়া-ভুবনেশ্বরী গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব দেবীপুর গ্রামে ঠাকুরান নদীর চরে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকী, শনিবার গভীর রাতে বাঘের গর্জনও শোনা গিয়েছে বলে দাবি তাঁদের। খবর দেওয়া হয়েছে বনদপ্তর ও মৈপীঠ উপকূল থানায়। রায়দিঘির রেঞ্জার, কুলতলির চিতুরি বিট অফিসার সহ বনদপ্তরের কর্মীরা গিয়ে বাঘের পায়ের ছাপ পরীক্ষা করেছেন। পরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনবিভাগের এক আধিকারিক বলেন, খবর পাওয়ার পরেই এলাকায় গিয়ে জোরদার তল্লাশি চালানো হয়েছে। কিন্তু বাঘ বেরিয়ে থাকলেও তা ফের আজমলমারি ১ নম্বর জঙ্গলে ঢুকে গিয়েছে। গ্রামবাসীদের তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। উল্লেখ্য, ৩০ নভেম্বর এই পঞ্চায়েতের মনসাতলা গ্রামে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পেয়েছিলেন স্থানীয় মৎস্যজীবীরা। পরপর এমন ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এদিন তন্ময় মহাপাত্র নামে একজনের ঘরের পাশেই কাদামাটিতে বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে। রাতে বাঘের গর্জনও শোনা গিয়েছে বলে দাবি। বনদপ্তর অবশ্য আশ্বাস দিয়েছে। তা সত্ত্বেও রাতে নদীর পাড়ে পাহারা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন গ্রামবাসীরা।
তাঁরা বলেন, জঙ্গল থেকে বেরিয়ে নদী সাঁতরে বাঘের লোকালয়ে চলে আসার ঘটনা নতুন নয়। শীতের এই সময়ে বাঘের এমন উপদ্রব বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, গত বছরের শীতের সময়ে এই পঞ্চায়েত এলাকাতেই এক গৃহস্থের গোয়ালঘরে হানা দিয়ে বাছুর খেয়ে রাতে গ্রামে রাস্তার উপরেই আশ্রয় নিয়েছিল সুন্দরবনের রাজা।