ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
জানা গিয়েছে, সুন্দরবনের জঙ্গল থেকে ১ কিলোমিটার দূরে নদীর পাড়ের গ্রামগুলিকে নিয়ে গঠিত এই যুগ্ম বন পরিচালন কমিটি। তিনটি-চারটি পঞ্চায়েত মিলিয়ে একটি করে কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে থাকেন ২০-২৫ জন গ্রামবাসী। কী কাজ এই কমিটির? নদী সাঁতরে বাঘ লোকালয়ে হানা দিলেই ডাক পড়ে তাদের। ব্যাঘ্র প্রকল্পের কর্মীদের সঙ্গে রাত পাহারা দেয় তারা। বাঘ জঙ্গলে না ঢোকা পর্যন্ত তাদের ছুটি নেই। আবার নদীতে টহলদারি, বন ও বণ্যপ্রাণী রক্ষার্থে গ্রামে সচেতনতার প্রচারও করেন কমিটির লোকজন।
কমিটির জেমসপুর ক্যাম্পের উপানন্দ মণ্ডল বলেন, কয়েকদিন আগেই সুন্দরবনের জঙ্গল থেকে জখম হরিণ নদী সাঁতরে লোকালয়ে চলে এসেছিল। সেই হরিণকে আমরাই সুস্থ করে সজনেখালি ব্যাঘ্র প্রকল্পে পাঠিয়ে দিয়েছি। এইভাবেই আমরা দিনের পর দিন ব্যাঘ্র প্রকল্পের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে আসছি। এখন এলাকায় নদীবাঁধের অবস্থা খুব খারাপ। ব্যাঘ্র প্রকল্পের দেওয়া আর্থিক অনুদান থেকে গ্রামের দুর্বল নদীবাঁধ মাটি, বস্তা দিয়ে পাইলিং করার কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি, গ্রামের অনেক জায়গায় ইটের রাস্তা নির্মাণ, নদীর পাড়ে বৃক্ষরোপণ করা হবে। দয়াপুর ক্যাম্পের সদস্য চিত্তরঞ্জন রায় বলেন, কোনও কোনও গ্রামে পানীয় জলের সমস্যা আছে। তাও এবার মিটবে। আবার কোনও গ্রামে আলো বসানো হবে, অনেকগুলি ঢালাই রাস্তাও নির্মাণ করা হবে। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকে ফি বছরেই এই অনুদান দেওয়া হয়। এর জেরেই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত বহু জায়গায়। গোসাবা, দয়াপুর, সাতজেলিয়া, লাহিড়ীপুর, দুলকি, সোনারগাঁ, বালি দ্বীপ– সব এলাকাতেই হয়েছে এবং হবে উন্নয়নের কাজ।
চলছে চেক বিলি। -নিজস্ব চিত্র