ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
মহকুমা সেচদপ্তরের আধিকারিক দীনবন্ধু ঘোষ বলেন, এবছর বন্যায় খানাকুল-২ ব্লকের মাইতি পাড়া, জেলে পাড়া ও খানাকুল-১ ব্লকের পশ্চিম ঠাকুরানিচকের ভীমতলা, ডহরকুণ্ডর বেরাপাড়া, ঘাসুয়ার হাজরাপাড়া, তালিত ও আরামবাগের বন্দিপুর, দৌলতপুরে বাঁধ ভেঙে যায়। দ্রুত গতিতে ভাঙা বাঁধগুলির সংস্কারের কাজ চলছে। গাছের মোটা গুঁড়ি পুঁতে মাটি ফেলা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বাঁধগুলির ৭০শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ। এছাড়াও নদীপাড়ের ৬০ থেকে ৭০টি জায়গার পাড় মাটি ফেলে চওড়া করা হচ্ছে। আশা করছি, বাদবাকি কাজ দ্রুত শেষ হবে। নিম্নচাপের কারণে রবিবার দিনভর বৃষ্টি হয়েছে। শক্তপোক্তভাবে বাঁধ তৈরি করা হচ্ছে, খুব বেশি ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। তবে আমরা সবরকমভাবে সতর্ক রয়েছি।
বন্যার ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি আরামবাগ। তারমধ্যেই জওয়াদ হানা দেওয়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন মহকুমাবাসী। এর আগে একাধিক ঘূর্ণিঝড়ের স্মৃতি টাটকা রয়েছে বাসিন্দাদের মনে। ‘উম-পুন’ থেকে ‘যশ’ প্রতিটা ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হয় চাষিদের। তাই জওয়াদ নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কে রয়েছেন মানুষ।
চলতি বছরে বন্যায় দ্বারকেশ্বর ও রূপনারায়ণ নদের বেশ কয়েকটি বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছিল বিস্তীর্ণ এলাকা। মহকুমার মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হয়। এলাকা ছেড়ে বহু মানুষকে ত্রাণশিবিরে কাটাতে হয়। মহকুমা প্রশাসন বাসিন্দাদের কথা ভেবে বন্যার জল কমতেই ভাঙা বাঁধ সংস্কারে উদ্যোগী হয়। কাজ শুরু করে সেচদপ্তর। গাছের মোটা গুঁড়ি পুঁতে মাটি ফেলে বাঁধ সংস্কার চলছে। তার সঙ্গে নদীর দুর্বল পাড় চওড়া করার কাজও শুরু হয়। এই পরিস্থিতিতে জওয়াদের প্রভাবে রবিবার দিনভর বৃষ্টি হওয়াই বাঁধের মাটি ধসে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। রঘুনাথপুর আদকপাড়ার একটা নির্মীয়মাণ বাঁধের অংশ কয়েকদিন আগেই ধসে গিয়েছিল। তাতেই উদ্বেগ বাড়ছে প্রশাসনের।
খানাকুল-১ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ হায়দার আলি বলেন, দ্বারকেশ্বর নদ সংলগ্ন ঘোষপুর, আদকপাড়ায় দু’টো বাঁধের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। ১০দিন আগে আদকপাড়ার বাঁধের অর্ধেকটা অংশ ধসে যায়। এদিন থেকে যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে বাকিটাও ধসে যেতে পারে। যেভাবে বাঁধ সংস্কার হওয়া দরকার, কোথাও সেভাবে কাজ হচ্ছে না। প্রশাসনের সদিচ্ছা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। তবে এই কাজে প্রশাসনের আধিকারিকদের আরও নজর দিতে হবে।
ঘোষপুরের স্থানীয় বাসিন্দা প্রীতম রায় বলেন, এমনিতেই এখানকার মাটি ধসপ্রবণ। বাঁধ সংস্কারের কাজ হচ্ছে, তবে সেটা আরও মজবুত করে করতে হবে। না হলে এই বাঁধগুলি টিকবে না।
জওয়াদের প্রভাবে মহকুমায় আলু ও ধানচাষের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। এখনও বহু জমির ধান ওঠেনি। ভারী বৃষ্টি হলে চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হবে চাষিদের। তাছাড়া খানাকুলে বন্যার ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে আলু চাষ শুরু করেছিলেন চাষিরা। বৃষ্টির জল জমে থাকলে আলুবীজ নষ্ট হয়ে যাবে। চরম ক্ষতির মুখে পড়বেন মহকুমার চাষিরা। কৃষিদপ্তরের তরফে অবশ্য এনিয়ে চাষিদের সতর্ক করা হয়েছে।