বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৫জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি। মকর সংক্রান্তি ঘিরে উৎসবে মেতে ওঠেন দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলার মানুষ। আগামী ১৩তারিখ উৎসব শুরু হবে বলে ঠিক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মকর সংক্রান্তির সময় এই উৎসব হওয়ায় জঙ্গলমহল উৎসব পিছিয়ে দেওয়ার জন্য পশ্চিমাঞ্চল দপ্তরের অনেকেই আবেদন জানান। তারপরই মুখ্যমন্ত্রীর নজরে বিষয়টি আসে। মুখ্যমন্ত্রী আগামী ২৪জানুয়ারি থেকে উৎসব শুরু হবে বলে জানিয়ে দেন। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিষয়ক দপ্তর ও পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে এবার পঞ্চম বর্ষ শহরের কুমুদকুমারী ইনস্টিটিউশন মাঠে উৎসব হচ্ছে। আটদিনের এই উৎসবে পশ্চিমাঞ্চলের ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান এই সাতটি জেলার লোকশিল্পীরা যোগ দেবেন। উৎসবে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ৪২টি স্টল, পাঁচটি সুদৃশ্য প্যাভিলিয়ন, একটি বৃহৎ কারিগরি হাট রয়েছে। আট দিন ধরে চাং, রনপা, দশাই, সাড়পা, করম, বাউল, লাংড়ে, বাহা, মুণ্ডারী, লাংড়ে, ভুয়াং, পাইক, ঢালি, পাতা, নাটুয়া, ছৌ, ভাদু, টুসু সহ বিভিন্ন ধরনের লোকসংস্কৃতি অনুষ্ঠান ছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠান হবে। উৎসব ঘিরে প্রচার এবং প্যান্ডেল তৈরির কাজ শেষের মুখ। তবে মেলা পিছিয়ে যাওয়া খরচও বেড়েছে লক্ষাধিক টাকা।
পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাত বলেন, মকরসংক্রান্তি রাঢ় অঞ্চলের মানুষের বড় উৎসব। তাই এই উৎসব পিছিয়ে দেওয়ার জন্য অনেকেই আবেদন করেছিল। সেই মতো মুখ্যমন্ত্রী ২৪তারিখ উৎসব শুরুর তারিখ ঠিক করেছেন। উৎসব পিছলে খরচ তো বাড়বেই। এদিকে, ২৩জানুয়ারি থেকে ঝাড়গ্রাম মেলা ও যুব উৎসব শুরু হচ্ছে ঘোড়ধরা এলাকায়। দু’টি উৎসব একসঙ্গে হওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঝাড়গ্রাম জেলা মেলা যুব উৎসব কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক অজিত মাহাত বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ভালো বুঝেই জঙ্গলমহল উৎসব পিছিয়েছেন। ঝাড়গ্রাম মেলা কীভাবে কবে থেকে করা যায়, তা সবার সঙ্গে বসে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।