বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজে রাজ্যের উচ্চপদস্থ আমলারা কান্দিতে এলে তাঁরা দিনেরবেলায় যাবতীয় কাজকর্ম সেরে রাত কাটান বহরমপুর সার্কিট হাউসে। এমনকী, রাজ্য সরকারের মন্ত্রীরাও কান্দিতে এলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রাত কাটান বহরমপুরের সার্কিট হাউসে। সেই কারণে কান্দি এলাকার জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক নেতাদের মন্ত্রী, আমলাদের সঙ্গে দেখা বা আলোচনা করার ক্ষেত্রে বহরমপুরে যেতে হতো। সেই কারণে বহুবছর ধরেই এলাকার জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক নেতারা কান্দি শহরে সার্কিট হাউস গড়ার দাবি করছিলেন।
এদিকে, ২০১৫সালের সেপ্টেম্বর মাসে বহরমপুরে প্রশাসনিক সভা করতে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কান্দি শহরে একটি সার্কিট হাউস গড়ার কথা জানিয়েছিলেন। পরবর্তীতে সার্কিট হাউস তৈরির জন্য প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা বরাদ্দও হয়। সার্কিট হাউস তৈরির দায়িত্ব পায় পূর্ত দপ্তর। টেন্ডারের পর সার্কিট হাউসের কাজ শুরু হয় কান্দি মহকুমা শাসকের অফিস সংলগ্ন এলাকায়। কিন্তু, কাজ শুরুর পর সেখানে জমি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। কান্দি মহকুমা আদালতের কয়েকজন আইনজীবী জমির দাবিদার সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করেন কান্দি মহকুমা আদালতে। এরপর আদালত থেকে ওই জায়গায় সার্কিট হাউস তৈরির ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।
কয়েকমাস ধরে মামলা চলার পর সার্কিট হাউসের জমি পরিবর্তন করে মহকুমা প্রশাসন। সার্কিট হাউস কান্দি শহরের রেগুলেটেড মার্কেটিং সোসাইটির মাঠে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়। অনুমোদন পাওয়ার পর প্রায় আটমাস আগে ফের নতুন জমিতে সার্কিট হাউসের কাজ শুরু হয়।
কান্দি মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সার্কিট হাউসের পুরো ভবনের কংক্রিটের কাজ প্রায় শেষের দিকে। এখন শুধু রং ও কিছু মার্বেল পাথরের কাজ বাকি। এ ব্যাপারে কান্দির মহকুমা শাসক অভীককুমার দাস বলেন, সার্কিট হাউসের কাজ প্রায় শেষের দিকে। কাজটি সম্পূর্ণ হতে মাস দুয়েক লাগবে। এরপরেই এটির উদ্বোধন করা হবে।
এদিকে, কান্দিতে সার্কিট হাউস হওয়ায় এলাকার জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক নেতারা খুশি। কান্দির বিধায়ক তৃণমূলের অপূর্ব সরকার বলেন, প্রশাসনিক মহল এবং জনপ্রতিনিধিদের বহুবছরের দাবি ছিল সার্কিট হাউসের। অবশেষে সেই দাবি পূরণ হওয়ার মুখে। এর উদ্বোধন হওয়ার পর আমলা এবং মন্ত্রীরা কান্দিতে এলে ওখানেই রাত কাটাতে পারবেন। জরুরি বৈঠকও ওখানে করা যেতে পারে। প্রশাসনের কাজ করার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হবে।
কান্দি মহকুমা তৃণমূল সভাপতি গৌতম রায় বলেন, আমাদের বহু বছরের দাবি ছিল সার্কিট হাউসের। কান্দি একটি প্রাচীন এলাকা। সার্কিট হাউস তৈরি হওয়ার পর এলাকার উন্নয়ন আরও গতি পাবে। কান্দি ব্লক তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম সরকার বলেন, সার্কিট হাউস উদ্বোধনের পর কান্দিতে উন্নয়নের একটি নতুন পালক যোগ হবে। আমরা মন্ত্রীদের আরও কাছে পাব। এলাকার উন্নয়ন নিয়ে আরও কাজ করা যাবে।