বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্কে রয়েছে ছোটদের আনন্দ দেওয়ার মতো একাধিক খেলার সামগ্রী। এছাড়াও থাকছে ফুডকোর্ট, অত্যাধুনিক আলো ও শব্দ নিয়ন্ত্রিত ফোয়ারা, ওয়াচ টাওয়ারের পাশাপাশি অত্যাধুনিক আলোকসজ্জায় মুড়ে ফেলা হয়েছে পার্কটিকে। বিনোদিনী পার্কের বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে টয় ট্রেনের ব্যবস্থা। ইতিমধ্যে সেই ট্রেনের জন্য লাইন পাতার কাজ শেষ হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়েছে টয় ট্রেন।
রানাঘাট পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পাপাই সাহা বলেন, নদীর পাড়ের জায়গা অনেকদিন ধরেই খালি পড়েছিল। পুরসভার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। পার্কটি চালু হলে ছোটদের সময় কাটানোর জন্য পার্কটি যথার্থ হয়ে উঠবে। স্থানীয় আর এক বাসিন্দা বুবাই কুণ্ডু বলেন, রানাঘাটে এই ধরনের আকর্ষণ প্রথম। শুধুমাত্র ছোটদের জন্য এরকম কোনও পার্ক ছিল না। স্বভাবতই আমরা খুশি। সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে পার্কটিকে মুড়ে ফেলা হয়েছে সবুজে। রয়েছে হাজারো রকমের বাহারী ফুল গাছ। রানাঘাটবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল ছোটদের জন্য পৃথক পার্কের। বর্তমানে সেই চাহিদা পূরণ হতে চলেছে। পার্কের ভিতর নির্মিত হচ্ছে কমিউনিটি হল। ইচ্ছে করলেই রানাঘাটবাসী পার্ক সহ এই হল যেকোনও সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া নিতে পারবেন। এমনটাই পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।
রানাঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বলেন, ২০১৪ সালে রানাঘাট পুরসভার সার্ধশতবর্ষ অনুষ্ঠান উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করা হয়েছিল একটি পার্কের। মুখ্যমন্ত্রীর অর্থ বরাদ্দ করা সেই পার্ক নির্মিত হয়েছে। যা রানাঘাটবাসীর জন্য নতুন বছরের অন্যতম উপহার বলা যেতে পারে। প্রতিদিনই সকাল-বিকেল স্থানীয় কচি-কাঁচারা উঁকি দিচ্ছে এই পার্কে। কবে ঝলমলে আলোর সঙ্গে টয় ট্রেনে পার্কটি ঘোরা যাবে, সেই আশায় দিন গুনছে তারা। রকমারি নাগরদোলার পাশাপাশি বিনামূল্যে ফ্রি জোনেও থাকছে আনন্দমূলক একাধিক খেলার সামগ্রী। পার্কের মূল ফটক গড়ে তোলা হয়েছে পিরামিডের আদলে। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শুরু হয় পার্কের নির্মাণ কাজ। এক বছর আগেও যেখানে ইট-পাথর জঙ্গলে ভর্তি ছিল, সেই জায়গা এখন ভোল বদলে সেজে উঠেছে অন্য রূপে। পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মিতা মুহুরি বলেন, রানাঘাট শহরে এমন পার্ক নেই। ছোটরা তো বটেই, আশাকরি সবস্তরের রানাঘাটবাসী মনোরঞ্জনের কেন্দ্র হয়ে উঠবে এটি।