উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
শুক্রবার সকাল থেকেই রামকেলির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন রাজ্য ও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা অনেক ভক্ত। মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল বলেন, রেল স্টেশন ও বাসস্ট্যান্ডে পুণ্যার্থীদের রামকেলি নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষ বন্দোবস্ত করা হয়েছে। মালদহ জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন সভাধিপতি।
জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, পুণ্যার্থীরা আসতে শুরু করেছেন। আমরা তাঁদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে আগেই বেশ কয়েক দফা বৈঠক করা হয়েছে। আশাকরি পুণ্যার্থীরা সুখস্মৃতি নিয়েই ফিরে যাবেন।
ইংলিশবাজারের বিধায়ক নীহার ঘোষের বিধানসভা এলাকার মধ্যে পড়ে রামকেলি। বিধায়ক জানান, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের পক্ষ থেকে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকারও বেশি আর্থিক সাহায্য এসেছে। বিধায়ক তহবিলের অর্থ দিয়ে ইতিমধ্যেই অনেকগুলি এলইডি লাইট বসিয়ে দেওয়া হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণে এবং আশেপাশের এলাকাগুলিতে। এছাড়াও শ্রীচৈতন্যদেব ও তাঁর দুই বিশিষ্ট অনুগামী রূপ গোস্বামী ও সনাতন গোস্বামীর মূর্তিও বসানো হচ্ছে মেলা প্রাঙ্গণে।
জেলা পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একাধিক বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকা সংলগ্ন অঞ্চলে মেলা হওয়ায় বিশেষ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। সাদা পোশাকেও পুলিসি টহলের ব্যবস্থা থাকছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ করা ছাড়াও জল সরবরাহের সময়ও মেলা চলাকালীন বাড়ানো হবে।
মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্স সহ একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পুণ্যার্থীদের বিনামূল্যে খাবার সরবরাহের বন্দোবস্ত করেছে বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার রাত পর্যন্ত অন্তত ৩০টি বৈষ্ণব আখড়া তাঁদের নির্ধারিত জায়গায় তাঁবু খাটিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পার্শ্ববর্তী রাজ্য অসম, ত্রিপুরা, বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকেও অনেক পুণ্যার্থী ইতিমধ্যেই মেলায় আসতে শুরু করেছেন।
তবে রাজ্যে চলতে থাকা স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অচলাবস্থার কারণে পুণ্যার্থীদের স্বাস্থ্য পরিষেবা কতটা দেওয়া সম্ভব হবে তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই।