বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
এদিকে, সংবর্ধনা সভার পাশাপাশি দিনভর হরিশ্চন্দ্রপুর, রতুয়া সহ উত্তর মালদহের বিভিন্ন এলাকা থেকে কংগ্রেসের বুথস্তরের নেতাকর্মীরা দলে দলে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের প্রথম সভাতেই কংগ্রেস থেকে প্রায় দু’শো বুথস্তরের নেতাকর্মী তৃণমূলে যোগ দেন। ওই সভাতেই অন্যদল থেকে আসা কিছু বুথস্তরের নেতৃত্বও তৃণমূলের পতাকা নিয়েছেন। এদিনই রতুয়ার বাহারালে কংগ্রেসের বাহারাল অঞ্চল সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তিনি তাঁর অনুগামীদের নিয়ে মৌসম নূরের রতুয়ার সভাতে নেত্রীর হাত থেকে পতাকা নেবেন বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, মৌসম নূরের হাত থেকেই পতাকা নিতে চেয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর, রতুয়া সহ উত্তর মালদহের বিভিন্ন এলাকার কংগ্রেসীদের একাংশ রাতে মৌসমের চাঁচলের অস্থায়ী নির্বাচনী শিবির হাজির হয়েছিলেন।
দিনভর মানুষের ঢল দেখে উৎসাহিত মৌসম বলেন, তৃণমূল নেতাকর্মী তো বটেই আমজনতার উচ্ছ্বাসেও আমি আপ্লুত। তবে আমার মনে হয়, মানুষের এই উৎসাহের পুরোটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের প্রতি ভালবাসা আর সাম্প্রদায়িক বিজেপি’র বিরুদ্ধে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদের প্রকাশ। পাশাপাশি, যেভাবে কংগ্রেসী মানুষ, তৃণমূলস্তরের কর্মীরা আমার পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন তাতে দলনেত্রী আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা সুচারুভাবে পালন করতে পারব, এই বিশ্বাস আরও দৃঢ় হচ্ছে। এদিন দিনভর বহু মানুষ দলে যোগ দিয়েছেন যাঁরা মাঠেঘাটে প্রতিদিন হেঁটে কংগ্রেস দলটাকে এজেলায় প্রাসঙ্গিক রেখেছিলেন। দলের সম্পদে পরিণত হওয়া এই মানুষদের উপস্থিতিই সবচেয়ে বেশি করে জানান দিচ্ছে মানুষ প্রতিরোধের জন্যে কীভাবে প্রস্তুত হয়ে গিয়েছেন। এদিকে, ধারাবাহিকভাবে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসার গত কয়েকদিনে বেড়ে যাওয়াকে মানতে চায়নি কংগ্রেস। দলের জেলা সভাপতি মোস্তাক আলম বলেন, হরিশ্চন্দ্রপুরের দু’টি সংবর্ধনা সভাতে তৃণমূলের লোকরাই ছিল। যাঁদের তৃণমূলে নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে তাঁরা আগেই সেখানে ভিড়েছিল। মৌসম নূর চলে যাওয়ায় হু হু করে কংগ্রেসীরা চলে যাচ্ছে, হরিশ্চন্দ্রপুরে এমন কিছু ঘটেনি।
মৌসমের তৃণমূল কংগ্রেসে যাওয়ার পরই উত্তর মালদহে কংগ্রেসের নিচুতলার নেতাকর্মীদের একাংশ তাঁর সঙ্গে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে। বস্তুত সেই নিরিখেই দলীয় সংবধর্না সভার মধ্যে দিয়ে যোগদান করানোর কৌশলও মৌসমশিবির নিয়েছিল। গোটা উত্তর মালদহের জন্যে নির্দিষ্ট সফরসূচি তৈরি করে শুক্রবার থেকে সেই পরিকল্পনা রূপায়ণ শুরু হয়। মৌসমশিবিরের মতে, প্রথম দিনের সাফল্য যথেষ্ট উৎসাহব্যাঞ্জক। তবে সভাগুলিতে যোগদানের পাশাপাশি, শুধু মৌসমের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্যে পৃথকভাবে আবেদন আসতে শুরু করায় নেতৃত্ব সংকটে পড়েছে। শুক্রবারেরই যে কারণে আলদা করে সন্ধ্যে থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় মৌসমের চাঁচলের নির্বাচনী শিবিরে যোগদান অনুষ্ঠান করতে হয়েছে।