খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
সরকারি সূত্রের খবর, জানুয়ারি মাসের হিসেবে ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার কাছে ৫৬৫ লক্ষ টন চাল ও গম মজুত রয়েছে। যেখানে ভারতের জনসংখ্যা অনুযায়ী প্রয়োজন ২১৪ লক্ষ টন। অর্থাৎ আপৎকালীন প্রয়োজনের থেকে আড়াই গুণ বেশি খাদ্যপণ্য মজুত আছে এফসিআই গুদামগুলিতে। যা গণবন্টনের মাধ্যমে বিলি করা সম্ভব। পাশাপাশি নতুন করে গম আসতে চলেছে এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে। ভারতের খাদ্যভাণ্ডারে ৩০ লক্ষ টন বাফার স্টক রয়েছে চিনির। যা আমদানির মাধ্যমে ৪০ লক্ষ টনের পরিকল্পনা আগেই নেওয়া হয়েছিল। সাড়ে ৮ লক্ষ টন অতিরিক্ত ডালের ভাণ্ডার রয়েছে। যেহেতু করোনার প্রকোপের কারণে আন্তর্জাতিক আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে, তার ফলশ্রুতি খাদ্য পণ্যের মজুত থাকার ক্ষেত্রেও ইতিবাচক। অর্থাৎ ভারত যেমন আমদানিও করতে পারছে না কোনও পণ্য, একই সঙ্গে রপ্তানিও আপাতত বন্ধ আছে। অর্থাৎ প্রয়োজনে ওই অতিরিক্ত খাবার থাকতেই পারে। কিন্তু এই আশ্বাসবাণী কেন্দ্রীয় সরকার দিলেও ভারতের খাদ্যভাণ্ডারে মজুত থাকা খাদ্যের সঙ্গে সরবরাহ ব্যবস্থার বিপুল ঘাটতি। এই পরিস্থিতি আগে একাধিকবার হয়েছে। অর্থাৎ এফসিআই গুদামে খাবার নষ্ট হয়েছে, কিন্তু সরবরাহ প্রক্রিয়ার অভাবেই রাজ্যে প্রয়োজনীয় খাবার পৌঁছতে পারে না। এই নিয়ে কেন্দ্রকে রাজ্যগুলি অভিযোগ জানিয়েছে আগেও।
এবারও রাজ্যগুলির পক্ষ থেকে অতিরিক্ত খাদ্যপণ্যের সাপ্লাইয়ের আবেদন করা হয়েছে। প্রশ্ন হল, লকডাউনের সময় নিত্যপণ্যের দোকান বাজার খোলা রাখা এবং সাপ্লাই চেন চালু রাখার ব্যবস্থা আগামীদিনে থাকবে কিনা। এই ব্যবস্থা ধাক্কা খেলে খাবার ও নিত্যপণ্য নিয়ে রীতিমতো অনিশ্চয়তা তৈরি হবে বলে সাধারণ মানুষ মনে করছে। তাই দেশবাসীর প্রশ্ন, লকডাউনের সময় নিয়ম করে নিত্যপণ্যের দোকান ও বাজার খোলা থাকবে কিনা। এবং রেশন দোকানে কীভাবে পাওয়া যাবে গণবন্টন ব্যবস্থার খাদ্যপণ্য।